সন্তান পালন এবং ইসলামী মূল্যবোধ
সন্তান লাভের পর বাবা-মায়ের অন্যতম প্রধান দায়িত্ব হলো সন্তানকে সঠিক শিক্ষা,
চরিত্র গঠন এবং ইসলামী মূল্যবোধে বড় করা। ইসলাম সন্তানের প্রতি দায়িত্বশীল
আচরণকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয় এবং আদর্শ বাবা-মা হওয়া এক মহান ধর্মীয় কর্তব্য
হিসেবে চিহ্নিত করে। বিশেষ করে পুত্র সন্তানের জন্মের পর তার নৈতিকতা,
আধ্যাত্মিকতা এবং সামাজিক জীবনযাপনের শিক্ষায় অভিভাবকদের সচেতন হওয়া আবশ্যক।
সন্তানকে সৎ, দয়ালু ও আল্লাহভীরু মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বাবা-মায়ের
সক্রিয় ভূমিকা অত্যন্ত জরুরি। পুত্র সন্তানও ইসলামের আদর্শ অনুযায়ী বড় হতে
পারবে যদি তার পরিবার তাকে ঈমান, ভালোবাসা এবং ইসলামি নৈতিকতা শিক্ষা দিতে
পারে। এছাড়া, সন্তানের মনের মধ্যে আল্লাহর ভয় ও ভালবাসার সঞ্চার ঘটানো
প্রয়োজন, যা তার জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আলোকবর্তিকা হয়ে উঠবে। সন্তান পালন এবং ইসলামী মূল্যবোধ থেকে একজন বাবা-মা এর দায়িত্ব হলোঃ
১. সন্তানের জন্য ধর্মীয় শিক্ষাঃ সন্তানকে ছোটবেলা থেকেই ইসলামী
মূল্যবোধ ও ধর্মীয় দীক্ষায় শিক্ষিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, শৈশবে
শেখা শিক্ষাই তার চরিত্র ও ভবিষ্যৎ জীবনের ভিত্তি গড়ে তোলে। এ সময়ের শিক্ষা
তার মন-মানসিকতায় গভীরভাবে প্রভাব ফেলে এবং স্থায়ী প্রভাব সৃষ্টি করে। নিয়মিত
নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত, ভালো-মন্দের পার্থক্য বোঝানো এবং আল্লাহর ভয় ও প্রেম
তার অন্তরে প্রোথিত করা জরুরি।
বাবা-মায়ের দায়িত্ব হলো নিজেরা ইসলামী আদর্শে চলা এবং সন্তানদের সামনে সেই
আদর্শের বাস্তব উদাহরণ হওয়া। পবিত্র কুরআন, রাসূল (সা.)-এর জীবনকথা এবং সহিহ
হাদীসের আলোকে সন্তানের মধ্যে ধর্মীয় সচেতনতা ও নৈতিকতা গড়ে তোলা উচিত। এতে
সন্তান প্রকৃত ইসলামী জীবনধারায় অভ্যস্ত হয়ে উঠবে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি
অর্জনের পথেই জীবন গড়বে, ইনশাআল্লাহ।
২. সন্তানের প্রতি ভালোবাসা এবং দয়াঃ সন্তানের প্রতি ভালোবাসা ও
দয়া প্রদর্শন করা শুধুমাত্র পারিবারিক বন্ধন মজবুত করে না, বরং এর মাধ্যমে
আল্লাহর রহমত লাভ করাও সম্ভব। ইসলাম সন্তানের সঙ্গে কোমলতা, মমতা ও
সহানুভূতির আচরণকে উৎসাহিত করেছে। প্রিয় নবী মুহাম্মদ (সা.) নিজেও সন্তানদের
প্রতি অত্যন্ত স্নেহশীল ছিলেন এবং সাহাবিদেরকে সন্তানদের ভালোবাসার বিষয়ে
উৎসাহ দিতেন।
বিশেষ করে, সন্তানের মা-বাবার মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা থাকলে
সন্তানও নিরাপদ, সুস্থ ও আত্মবিশ্বাসী পরিবেশে বেড়ে ওঠে। মায়ের প্রতি
শ্রদ্ধা, তার আদরের পরিবেশ এবং বাবার দয়া ও সহানুভূতিপূর্ণ আচরণ সন্তানের
ব্যক্তিত্ব গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।একটি শিশু যখন দেখে যে তার বাবা-মা
তার প্রতি ভালোবাসা, সময় ও মনোযোগ দিচ্ছেন, তখন সে নিজেও মানুষের প্রতি
সহানুভূতিশীল, দায়িত্ববান এবং সদাচারী হয়ে ওঠে।
৩. সন্তানের চরিত্র গঠনঃ সন্তানের চরিত্র গঠন তার সমগ্র জীবনের
ভিত্তি রচনা করে। ইসলাম শিশুদেরকে জীবনের শুরু থেকেই শুদ্ধ, সৎ ও আল্লাহভীরু
হিসেবে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দেয়। একজন সন্তান যেন বড় হয়ে একজন ভালো মানুষ
হয়, এজন্য তাকে ছোটবেলা থেকেই সৎকর্ম, শিষ্টাচার, এবং আল্লাহর প্রতি দৃঢ়
বিশ্বাস শেখানো অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে পুত্র সন্তানকে নম্রতা, ধৈর্য,
ইমানদারি ও সহানুভূতির মতো গুণাবলী শেখাতে হবে।
একজন শিশুর প্রথম ও প্রধান শিক্ষাগুরু তার মা-বাবা। সন্তান যদি বাবার কাছ
থেকে সাহস ও দিকনির্দেশনা এবং মায়ের কাছ থেকে ভালোবাসা ও স্নেহ পায়, তবে তার
ব্যক্তিত্ব উন্নতভাবে বিকশিত হয়। তার মন-মানসিকতা হয় দৃঢ়, পরিপক্ব এবং সুস্থ।
শিশুকে আত্মবিশ্বাসী, বিনয়ী ও সৎভাবে বড় করতে চাইলে তার সামনে জীবন্ত ইসলামী
আদর্শ তুলে ধরতে হবে। মা-বাবার কথাবার্তা, আচরণ ও ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমেই
শিশু শিক্ষা পায়।
৪. সমাজে সঠিক আচরণ শেখানোঃ একজন পুত্র সন্তানের যথাযথ ইসলামি
শিক্ষার পাশাপাশি সমাজে শালীন ও সদাচরণমূলক আচরণ শেখানো অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ। শিশুকে শুধুমাত্র নামাজ-রোজা শেখালেই যথেষ্ট নয়, বরং তার ভেতরে
মানবিকতা, সহানুভূতি ও সামাজিক দায়িত্ববোধ গড়ে তোলা দরকার। মুসলিম পিতা-মাতার
কর্তব্য হলো সন্তানের মধ্যে সদ্ব্যবহার, অন্যদের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ এবং
পরোপকারের মনোভাব সৃষ্টি করা।
প্রিয়নবি (সা.) বলেছেন, তোমরা মানুষের সাথে ভালো আচরণ করো (হাদিস)। এই
নির্দেশনা পারিবারিক গণ্ডির বাইরেও সমাজের প্রতিটি স্তরে প্রযোজ্য। সন্তান
যেন আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী এবং বন্ধুদের সাথে ভদ্রতা ও সহানুভূতির আচরণ
করে, সেটি ছোটবেলা থেকেই শিক্ষা দিতে হবে।একজন সন্তান যদি ছোটবেলা থেকেই
পারস্পরিক সহানুভূতি, সত্যবাদিতা এবং ইবাদত-বন্দেগির গুরুত্ব বুঝে বড় হয়, তবে
সে সমাজের একজন সচেতন, নৈতিক এবং উপকারী নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে।
ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে সন্তান লালন-পালন
ইসলামের দৃষ্টিতে সন্তান শুধু পার্থিব জীবনের শোভা নয়, বরং আখিরাতের জন্যও একটি অমূল্য নিয়ামত। পবিত্র কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ধন-সম্পদ ও সন্তান-সন্ততি পার্থিব জীবনের শোভা, তবে সৎকর্মগুলোই আখিরাতে উত্তম পুরস্কার ও আশা। (সুরা কাহফ, আয়াত ৪৬) এই আয়াত থেকে বোঝা যায়, সন্তান যদি সঠিক পথে লালিত-পালিত হয়, সে হতে পারে পিতা-মাতার জন্য জান্নাতের উসিলা।
তাই একজন মুসলিম মা-বাবার দায়িত্ব সন্তান জন্ম দেওয়ার পরপরই শুরু হয়। শুধু দুনিয়াবি সফলতা নয়, বরং আধ্যাত্মিক উন্নতির লক্ষ্য নিয়েই সন্তানকে লালন-পালন করতে হয়। সন্তান যেন ইসলামের আদর্শ অনুযায়ী গড়ে ওঠে, এজন্য ছোটবেলা থেকেই তাকে নামাজের শিক্ষা, কুরআন পাঠ, সত্যবাদিতা, দয়ালুতা ও আল্লাহভীরুতা শেখানো জরুরি। হাদিসে এসেছে, তোমরা প্রত্যেকে একজন অভিভাবক এবং তোমরা তোমাদের অধীনস্তদের ব্যাপারে জবাবদিহি করবে। (সহীহ বুখারী) এটি প্রমাণ করে, সন্তানের নৈতিক, ধর্মীয় ও সামাজিক বিকাশের দায়িত্ব মা-বাবার উপরই অর্পিত।
অনেক সময় মা-বাবা বিশেষ করে পুত্র সন্তান লাভের জন্য দোয়া করে থাকেন। কুরআনে হযরত ইব্রাহিম (আ.) এবং হযরত জাকারিয়া (আ.)-এর দোয়াগুলো পুত্র সন্তান লাভের প্রত্যাশার সুন্দর দৃষ্টান্ত। তবে ইসলামে দোয়ার পাশাপাশি ধৈর্য ও তাওয়াক্কুল (আল্লাহর উপর ভরসা) রাখার নির্দেশনা রয়েছে। আল্লাহ তায়ালা পছন্দ অনুযায়ী কাউকে কন্যা, কাউকে পুত্র সন্তান এবং কাউকে উভয়ই দেন, আবার কাউকে কিছুই দেন না এ সবই তার হিকমতের অন্তর্ভুক্ত। (সুরা আশ-শুরা, আয়াত ৪৯-৫০)
পুত্র সন্তান লাভের জন্য দোয়া করাটা অস্বাভাবিক নয়, তবে সন্তানের প্রকৃত সফলতা নির্ভর করে তার আদর্শ চরিত্র ও দ্বীনদারিতার উপর। ইসলাম এটিই শিক্ষা দেয় যে, সন্তান ছেলে হোক বা মেয়ে, তাকে আল্লাহর পথে পরিচালিত করাই আসল দায়িত্ব। আধুনিক সমাজে সন্তানদের মাঝে নৈতিক অবক্ষয় রোধ করতে ইসলামী শিক্ষা ও মূল্যবোধের চর্চা অপরিহার্য। সন্তানের প্রতি মা-বাবার দয়া, স্নেহ, সহমর্মিতা ও ন্যায়নিষ্ঠা তাদের আত্মিক গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ইসলামে মা-বাবার প্রতি সন্তানের দায়িত্ব যেমন আছে, তেমনি সন্তানের প্রতিও মা-বাবার দায়িত্ব রয়েছে।
সন্তান যদি সৎ, নেককার এবং আল্লাহভীরু হয়, তবে সে হয়ে ওঠে সাদকায়ে জারিয়ার অন্যতম অংশ। হাদিসে আছে, “মানুষ মারা গেলে তার সব আমল বন্ধ হয়ে যায়, তবে তিনটি জিনিস চলমান থাকে: সাদকায়ে জারিয়া, এমন জ্ঞান যা মানুষ উপকারে লাগায়, এবং নেক সন্তান যে তার জন্য দোয়া করে। (সহীহ মুসলিম)
পুত্র সন্তান নিয়ে বাবা-মায়ের বিশেষ দায়িত্ব
পুত্র সন্তান নিয়ে বাবা-মায়ের বিশেষ দায়িত্ব ও কিছু কর্তব্য রয়েছে। পুত্র
সন্তান ইসলামের দৃষ্টিতে একটি বড় নিয়ামত এবং ভবিষ্যতের উম্মাহ গঠনে
গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। তিনি পরিবারের অভিভাবক ও দ্বীনের রক্ষক হয়ে উঠতে পারে,
যদি সঠিকভাবে লালন-পালন করা হয়। তাই মুসলিম মা-বাবার দায়িত্ব তাকে শুধু
দুনিয়াবি সাফল্য নয়, বরং নেককার, দায়িত্বশীল ও আল্লাহভীরু মানুষ হিসেবে গড়ে
তোলা। নিচে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হলোঃ
১. দ্বীনি শিক্ষা প্রদানঃ পুত্র সন্তানকে ছোটবেলা থেকেই নামাজ,
কুরআন তেলাওয়াত, রোজা, ও অন্যান্য ফরজ ইবাদত সম্পর্কে শিক্ষা দেওয়া আবশ্যক।
প্রতিদিনের ঘরোয়া আমল, গল্প ও উদাহরণে আল্লাহভীতি, রাসুলের ভালোবাসা ও
সহমর্মিতা গেঁথে দিলে চরিত্র মজবুত হয়। এতে তার অন্তরে আল্লাহভীতি গড়ে ওঠে।
ইসলামিক আদর্শে গড়ে না উঠলে সে ভবিষ্যতে পরিবার ও সমাজের জন্য হুমকি হতে
পারে। আল্লাহ বলেন, হে মুমিনগণ! তোমরা নিজেদেরকে এবং নিজেদের পরিবারকে আগুন
থেকে রক্ষা কর। (সুরা তাহরিম, আয়াত ৬)
২. চরিত্র ও নৈতিকতা গঠনঃ চরিত্র ও নৈতিকতা গঠনে পুত্র সন্তানের
জন্য সত্যবাদিতা, ধৈর্য, দয়া ও শিষ্টাচার শেখানো অত্যন্ত জরুরি। হাদিসে বলা
হয়েছে, তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম সে, যে নিজের পরিবারে উত্তম আচরণ করে
(তিরমিজি)। এজন্য বাবা-মাকেই হতে হবে আদর্শ—তাদের নিজের আচরণ, কথা ও জীবনের
মাধ্যমে সন্তান শিখবে কীভাবে একজন নেককার ও সম্মানিত মানুষ হওয়া যায়। তাই
সন্তান শুধু কথায় নয়, কাজে-কর্মেও যেন নৈতিকতা অনুশীলন করতে শেখে, সে
দায়িত্ব মা-বাবার।
৩. নেতৃত্ব ও দায়িত্বশীলতা শেখানোঃ নেতৃত্ব ও দায়িত্বশীলতা
শেখানো পুত্র সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাকে ছোটবেলা
থেকেই বোঝাতে হবে, সে একদিন পরিবার, সমাজ ও জাতির নেতৃত্ব দেবে। এজন্য তার
মাঝে দায়িত্ববোধ, ন্যায়ের বিচারবুদ্ধি এবং আত্মনিয়ন্ত্রণের গুণাবলি গড়ে তুলতে
হবে। ভবিষ্যতের একজন পিতা, স্বামী ও নাগরিক হিসেবে যেন সে সঠিকভাবে দায়িত্ব
পালন করতে পারে এজন্য তাকে ধাপে ধাপে সেই প্রস্তুতি দিতে হবে। এই শিক্ষাই
তাকে একজন আল্লাহভীরু, ন্যায়পরায়ণ ও সফল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবে।
৪. হালাল-হারামের শিক্ষাঃ পুত্র সন্তানকে হালাল ও হারামের সঠিক
জ্ঞান দেওয়া অত্যন্ত জরুরি, কারণ বর্তমান যুগে এ বিষয়টি একটি বড় চ্যালেঞ্জ।
মা-বাবার উচিত পুত্র সন্তানকে শেখানো, কোন কাজ ইসলামসম্মত, কোনটি নয়। তাকে
হালাল পথে অর্থ উপার্জন, নারীর প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং আত্মসংযমের গুরুত্ব
বোঝাতে হবে। এসব শিক্ষাই তার চরিত্র গঠনে এবং একটি সৎ জীবনযাপন নিশ্চিত করতে
সহায়তা করবে।
৫. আল্লাহর উপর আস্থা ও ধৈর্য শেখানোঃ পুত্র সন্তানের মাঝে
আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা এবং ধৈর্য ধরার মানসিকতা গড়ে তোলা অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ। তাকে শেখাতে হবে, জীবনের সব ক্ষেত্রে আল্লাহই তার ভাগ্য
নির্ধারণকারী, তাই যেকোনো সমস্যা ও বিপদে ধৈর্য ধরে শোকর আদায় ও তাওয়াক্কুল
করতে হবে। এই গুণাবলী তার মানসিক শক্তি বৃদ্ধি করবে এবং জীবনের চ্যালেঞ্জ
মোকাবেলায় সাহস জোগাবে। আল্লাহর উপর বিশ্বাস রেখে ধৈর্য ধারণ করাই মুমিনের
সেরা বৈশিষ্ট্য, যা পুত্র সন্তানের চরিত্রের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হওয়া উচিত।
৬. আখিরাতমুখী চিন্তাধারা সৃষ্টিঃ পুত্র সন্তানের মাঝে দুনিয়া ও
আখিরাতের সঠিক ভারসাম্য বজায় রাখা জরুরি। তাকে বুঝিয়ে দিতে হবে যে, দুনিয়ার
সাময়িক সফলতার চেয়ে আখিরাতের চিরস্থায়ী সফলতা অনেক বড় ও মূল্যবান। এজন্য সে
যেন নিজের জীবন আল্লাহর নিয়ম ও আদেশ অনুযায়ী পরিচালনা করে। আল্লাহ তায়ালা
বলেন, তোমরা নিজেদের এবং নিজেদের পরিবারকে আগুন থেকে রক্ষা করো। (সুরা
তাহরিম: ৬)। এই আখিরাতমুখী দৃষ্টিভঙ্গি পুত্র সন্তানের চরিত্র ও জীবনমুখী
সিদ্ধান্তকে আলোকিত করবে।
বিডি টেকল্যান্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url