বাসক পাতার উপকারিতা ও ক্ষতিকর দিক সমূহ জেনে নিন
পোস্ট সূচিপত্রঃ বাসক পাতার উপকারিতা ও ক্ষতিকর দিক সমূহ
বাসক পাতা
বাসক পাতার উপকারিতা
বাসক পাতার ঔষধি গুণ
- Vasicine
- Vasicinone
- Essential Oils
- Alkaloids
- Flavonoids
- কাশি, হাঁপানি, ব্রঙ্কাইটিস, ও যক্ষা রোগে কফ দূর করে শ্বাসনালী পরিষ্কার রাখে।
- জ্বর ও সংক্রমণজনিত সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
- লিভার পরিষ্কার করে এবং রক্ত বিশুদ্ধ করে যা জন্ডিস প্রতিরোধে সহায়ক।
- দাঁতের মাড়ির প্রদাহ, মুখের দুর্গন্ধ এবং ব্যথায় কার্যকর।
- নারীদের মাসিক অনিয়মে উপকারী এবং জরায়ুর কার্যক্ষমতা ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
- বাত ও গাঁটের ব্যথায় আরাম দেয়।
- শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়।
বাসক পাতার রস খাওয়ার নিয়ম
- প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য দিনে ১–২ বার, প্রতিবার ১ চা চামচ (৫–১০ মি.লি.)। সকালে খালি পেটে এবং রাতে ঘুমানোর আগে। বিশেষ করে কাশি বা শ্বাসকষ্ট থাকলে দিনে ২ বার যথেষ্ট।
- ১০ বছরের বেশি শিশুদের জন্য দিনে ১ বার, ১/২ চা চামচ করে সকালে খালি পেটে অথবা রাতে ঘুমানোর আগে।
- ৫ বছরের নিচে শিশুদের ক্ষেত্রে সাধারণত বাসক পাতার রস খাওয়ানো উপযুক্ত নয়। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া না খাওয়ানোই ভালো।
- গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী নারীদের বাসক পাতার রস জরায়ুর সংকোচন ঘটাতে পারে। তাই এদের ক্ষেত্রে এটি সেবন নিষিদ্ধ, চিকিৎসকের অনুমতি ছাড়া খাওয়া উচিত নয়।
৪. কোন সমস্যায় কিভাবে খাওয়া উচিত
- কাশি, সর্দি, কফঃ খালি পেটে সকালে বাসক পাতার রস খেলে শ্লেষ্মা দুর হয়।
- শ্বাসকষ্ট ও হাঁপানিঃ দিনে ২ বার খেলে শ্বাসপ্রশ্বাসে আরাম মেলে।
- জন্ডিস ও লিভার ক্লিনজঃ প্রতিদিন সকালে খেলে লিভার পরিষ্কার হয় এবং রক্ত বিশুদ্ধ হয়।
- মাসিক অনিয়মঃ ঋতুর আগের সপ্তাহ থেকে প্রতিদিন সকালে ১ চা চামচ করে রস খাওয়া যেতে পারে।
- দাঁতের ব্যথা বা মুখের দুর্গন্ধঃ রস মুখে নিয়ে ১-২ মিনিট রেখে কুলি করলে জীবাণু ধ্বংস হয়।
- গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী নারীদের জন্য বাসক পাতার রস সেবন নিষিদ্ধ।
- রস খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অতিরিক্ত ঝাল, তেল বা দুধজাত খাবার এড়িয়ে চলা ভালো।
- যাদের পেটে আলসার বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে, তারা চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সেবন করুন।
- যেকোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (যেমন বমি, পেটব্যথা, বা এলার্জি) দেখা দিলে সাথে সাথে বন্ধ করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
বাসক পাতার রস তৈরির নিয়ম
বাসক পাতার ব্যবহার পদ্ধতি
বাসক পাতার রস খাওয়ার সঠিক সময় ও পরিমাণ
- প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য দিনে ১–২ বার, প্রতিবার ১ চা চামচ (৫–১০ মি.লি.)। সকালে খালি পেটে এবং রাতে ঘুমানোর আগে। বিশেষ করে কাশি বা শ্বাসকষ্ট থাকলে দিনে ২ বার যথেষ্ট।
- ১০ বছরের বেশি শিশুদের জন্য দিনে ১ বার, ১/২ চা চামচ করে সকালে খালি পেটে অথবা রাতে ঘুমানোর আগে।
- ৫ বছরের নিচে শিশুদের ক্ষেত্রে সাধারণত বাসক পাতার রস খাওয়ানো উপযুক্ত নয়। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া না খাওয়ানোই ভালো।
- গর্ভবতী ও স্তন্যদানকারী নারীদের বাসক পাতার রস জরায়ুর সংকোচন ঘটাতে পারে। তাই এদের ক্ষেত্রে এটি সেবন নিষিদ্ধ, চিকিৎসকের অনুমতি ছাড়া খাওয়া উচিত নয়।
বাসক পাতার রস যাদের খাওয়া উচিত নয়
বাসক পাতার ক্ষতিকর দিক সমূহ
শেষকথাঃ বাসক পাতার উপকারিতা ও ক্ষতিকর দিক
বাসক পাতা প্রাচীনকাল থেকে নানা রোগের প্রতিকার হিসেবে ব্যবহৃত একটি মূল্যবান ভেষজ উদ্ভিদ। এর ঔষধি গুণাগুণ যেমন প্রশংসনীয়, তেমনি কিছু সতর্কতামূলক দিকও রয়েছে। বাসক পাতায় থাকা ভাসিসিন, অ্যালক্যালয়েড ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, কাশি, সর্দি, শ্বাসকষ্ট ও যক্ষ্মার মতো শ্বাসনালী সংক্রান্ত রোগে কার্যকর। এছাড়া এটি রক্ত বিশুদ্ধকরণ, পেটের বিভিন্ন সমস্যা ও বাতের ব্যথা উপশমেও সাহায্য করে।
বাসক পাতা শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করে ডিটক্সিফিকেশন প্রক্রিয়ায় সহায়তা করে, যা সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে ভূমিকা রাখে। তবে, বাসক পাতার ব্যবহারে কিছু সতর্কতা অপরিহার্য। গর্ভবতী নারীদের জন্য বাসক পাতার রস অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ, কারণ এটি জরায়ু সংকোচন ঘটিয়ে গর্ভপাতের কারণ হতে পারে। এছাড়া গ্যাস্ট্রিক বা আলসারে ভুগা ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে বাসক রস পেটের জ্বালাপোড়া ও অম্লতা বাড়াতে পারে।
দীর্ঘমেয়াদি সেবনে লিভার ও কিডনির ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ার সম্ভাবনাও থাকে। যারা উচ্চ রক্তচাপ বা হৃদরোগে ভুগছেন, তাদের জন্য বাসক পাতার রস খাওয়া বিপজ্জনক হতে পারে কারণ এটি রক্তচাপ বাড়াতে পারে। তাই বাসক পাতা একটি শক্তিশালী প্রাকৃতিক ঔষধ হলেও, এর ব্যবহার চিকিৎসকের পরামর্শক্রমে এবং সঠিক মাত্রায় হওয়া উচিত। আশা করছি, বাসক পাতার উপকারিতা ও ক্ষতিকর দিক সমূহ জানতে পেরেছেন।
বিডি টেকল্যান্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url