এতে করে আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর বৃদ্ধি পাবে। এই কারণে, ওয়েবসাইটের নতুন
পোস্ট করলে সাথে সাথে সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে শেয়ার করতে হবে।এতে করে কম
সময়ের মধ্যে ভিজিটর বাড়বে। এবং আপনার ওয়েবসাইট খুব সহজে র্যাংক করবে। এই
কারণে সোশ্যাল মিডিয়া ভিজিটর এবং ট্রাফিক বাড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা
রাখ।
ওয়েবসাইটে অর্গানিক ভিজিটর বাড়ানোর জন্য কয়েকটি কার্যকর উপায় রয়েছে।
ওয়েবসাইটে অর্গানিক ভিজিটর বলতে বোঝায় সেইসব ভিজিটর, যারা কোনো পেইড অ্যাড
ছাড়াই গুগল বা অন্য সার্চ ইঞ্জিন থেকে আপনার সাইটে আসে। এটি সবচেয়ে সাশ্রয়ী
এবং দীর্ঘমেয়াদে লাভজনক ট্রাফিক সোর্স। নিচে এমন কিছু প্রমাণিত কৌশল দেওয়া
হলো, যা আপনার ওয়েবসাইটে অর্গানিক ভিজিটর বাড়াতে সাহায্য করবেঃ
১. এসইও-সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশনঃ সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন
(এসইও) হলো এমন একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে একটি ওয়েবসাইটকে সার্চ
ইঞ্জিনের (যেমন গুগল, বিং, ইয়াহু) সার্চ রেজাল্টে ভালো র্যাঙ্কিংয়ে আনা
যায়। এর মূল লক্ষ্য হলো ওয়েবসাইটের ভিজিবিলিটি বাড়ানো, যাতে মানুষ যখন
নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড বা বিষয়বস্তু সার্চ করে, তখন সেই ওয়েবসাইটটি সবার আগে
আসে। সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশনের মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট বিভিন্ন সার্চ
ইঞ্জিনের (যেমন গুগল, বিং) র্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকে। এটি মূলত দুইভাবে কাজ
করেঃ
-
ক. অন-পেজ এসইওঃ অন-পেজ এসইও (On-Page SEO) হলো সার্চ ইঞ্জিন
অপ্টিমাইজেশনের একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে একটি ওয়েবসাইটের অভ্যন্তরীণ
কনটেন্ট এবং উপাদানগুলোকে অপ্টিমাইজ করা হয়, যাতে সার্চ ইঞ্জিন যেমন
গুগল, বিং, বা ইয়াহু সহজে ওয়েবসাইটটি ক্রোল করতে পারে এবং সার্চ রেজাল্টে
ভালোভাবে দেখাতে পারে। অন-পেজ SEO হলো এমন কৌশল যা সরাসরি আপনার
ওয়েবসাইটের কনটেন্টে ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে আছে সঠিক
কিওয়ার্ড নির্বাচন, কন্টেন্টের শিরোনাম, মেটা ডিসক্রিপশন, এবং
হেডিংগুলো সঠিকভাবে ব্যবহার করা।
-
খ. অফ-পেজ এসইওঃ অফ-পেজ SEO হলো এমন কৌশল, যা আপনার ওয়েবসাইটের
বাইরে থেকে প্রভাব ফেলে। এটি মূলত ব্যাকলিঙ্কের ওপর ভিত্তি করে। অন্যান্য
ওয়েবসাইট থেকে আপনার সাইটে লিঙ্ক দিলে আপনার ওয়েবসাইটের বিশ্বাসযোগ্যতা
এবং র্যাঙ্কিং বাড়ে। এছাড়া সোশ্যাল সিগন্যাল (যেমন ফেসবুক লাইক, শেয়ার)
এবং গেস্ট পোস্টিংও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ প্রক্রিয়ায় আপনার
ওয়েবসাইটের প্রতি অন্যান্য প্রভাবশালী ওয়েবসাইট বা সোর্সের সমর্থন
বৃদ্ধি করা হয়, যা সার্চ ইঞ্জিনে আপনার ওয়েবসাইটের র্যাঙ্কিং উন্নত
করতে সহায়তা করে। অফ-পেজ SEO ওয়েবসাইটের সার্বিক সফলতার জন্য অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ।
২. কি-ওয়ার্ড রিসার্চঃ কি-ওয়ার্ড রিসার্চ হলো সেই প্রক্রিয়া যেখানে
আপনি এমন শব্দ বা বাক্যাংশ খুঁজে বের করেন, যা মানুষ ইন্টারনেটে কোনো
নির্দিষ্ট তথ্য, পণ্য বা সেবা খুঁজতে ব্যবহার করে। এটি সার্চ ইঞ্জিন
অপটিমাইজেশনের (SEO) একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা আপনার ওয়েবসাইট বা
কন্টেন্টকে সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম দিকে নিয়ে আসতে সহায়তা করে। সঠিক
কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করলে সার্চ ইঞ্জিনগুলো আপনার ওয়েবসাইট বা কন্টেন্টকে
প্রাসঙ্গিক খুঁজে পাবে এবং সেগুলোকে সার্চ রেজাল্টে উপরের দিকে দেখাবে, ফলে
বেশি ভিজিটর পাবেন।
কিওয়ার্ড রিসার্স করার জন্য আপনি Google Keyword Planner, Ahrefs, SEMrush,
Moz ও Ubersuggest টুলস ব্যবহার করতে পারেন। কি-ওয়ার্ড রিসার্চের সময়
প্রতিটি কি-ওয়ার্ডের মাসিক সার্চ ভলিউম দেখুন। উচ্চ সার্চ ভলিউম মানে
অনেকেই এটি খুঁজছে, কিন্তু বেশি প্রতিযোগিতা থাকলে আপনার র্যাংক করা কঠিন
হতে পারে। কম প্রতিযোগিতার কি-ওয়ার্ডগুলো বেছে নিন যেগুলোর সার্চ ভলিউম
তুলনামূলকভাবে ভালো। লং-টেইল কি-ওয়ার্ডগুলো সাধারণত তিন বা ততোধিক শব্দ
নিয়ে তৈরি হয়। এগুলোতে কম প্রতিযোগিতা থাকে, কিন্তু নির্দিষ্ট অডিয়েন্সের
কাছে পৌঁছাতে কার্যকরী।
৩. টাইটেল ও সাব-টাইটেল অপ্টিমাইজেশনঃ টাইটেল ও সাব-টাইটেল
অপ্টিমাইজেশন ভিজিটর বাড়ানোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এগুলো সার্চ
ইঞ্জিন এবং ভিজিটরদের নজর কাড়ার প্রধান মাধ্যম। সঠিকভাবে অপ্টিমাইজড টাইটেল
এবং সাব-টাইটেল ব্যবহার করলে আপনার ওয়েবসাইট বা কন্টেন্ট সার্চ ইঞ্জিনে
উচ্চ র্যাংক পেতে পারে এবং ভিজিটরদের আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়। একটি ভালো
টাইটেল কেবল সার্চ ইঞ্জিনে র্যাংকিং বাড়ায় না, এটি ব্যবহারকারীদেরও আকর্ষণ
করে, ফলে আপনার ওয়েবসাইটে আরো ভিজিটর আসার সম্ভাবনা থাকে।
সার্চ ইঞ্জিনগুলো টাইটেল ট্যাগ দেখে নির্ধারণ করে কোন কন্টেন্ট প্রাসঙ্গিক,
এবং সেটিকে প্রথম দিকে দেখাবে। যদি টাইটেল এবং সাব-টাইটেলে সঠিক কীওয়ার্ড
ব্যবহার করা হয়, তাহলে সার্চ ইঞ্জিনে আপনার পেজ র্যাঙ্ক করার সম্ভাবনা
বেড়ে যায়, ফলে অর্গানিক ট্র্যাফিক বৃদ্ধি পায়।গুগল সার্চ রেজাল্টে,
ব্যবহারকারীরা প্রথমে টাইটেল দেখেন। একটি আকর্ষণীয় টাইটেল ভিজিটরদের ক্লিক
করার প্রবণতা বাড়ায়। সাব-টাইটেল বা মেটা ডিসক্রিপশন আরো বিস্তারিত তথ্য
দেয়, যা ব্যবহারকারীর আগ্রহ বাড়াতে পারে। ফলে ক্লিক-থ্রু রেট (সিটিআর)
বাড়ে, যা আবার সার্চ র্যাংকিংয়ে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
৪. মেটা ডেসক্রিপশনঃ মেটা ডেসক্রিপশন হলো একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ, যা
আপনার ওয়েবসাইটের পেজের বিষয়বস্তু সম্পর্কে সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজে
(SERP) প্রদর্শিত হয়। যদিও এটি সরাসরি সার্চ ইঞ্জিন র্যাঙ্কিংয়ে প্রভাব
ফেলে না, তবে ভিজিটরদের ক্লিক করার জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মেটা
ডেসক্রিপশন ব্যবহারকারীদেরকে আপনার পেজে ক্লিক করার আগ্রহ বাড়াতে সাহায্য
করে এবং ক্লিক-থ্রু রেট (CTR) উন্নত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
একটি ভালোভাবে লেখা মেটা ডেসক্রিপশন কেবলমাত্র ক্লিক-থ্রু রেট বাড়ায় না,
এটি আপনার পেজকে প্রতিযোগীদের থেকে আলাদা করে তুলতে এবং দীর্ঘমেয়াদে
ওয়েবসাইটের ট্র্যাফিক বাড়াতে সাহায্য করে। যদি মেটা ডেসক্রিপশনটি
প্রাসঙ্গিক এবং আকর্ষণীয় হয়, তাহলে ব্যবহারকারীরা সেটি দেখে আপনার পেজে
প্রবেশ করার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। উদাহরণ- এই ব্লগ পোস্টে আমরা ৫টি সহজ উপায়ে
ওজন কমানোর সেরা কৌশলগুলো শেয়ার করেছি। জানুন কীভাবে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে
দ্রুত ওজন কমাবেন।
৫. হেডিং ট্যাগ অপ্টিমাইজেশনঃ হেডিং ট্যাগ অপ্টিমাইজেশন ভিজিটর
বাড়াতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ। এটি কন্টেন্টের গঠন ও প্রাসঙ্গিকতা স্পষ্ট
করে তোলে, সার্চ ইঞ্জিনের কাছে আপনার পেজকে আরো গুরুত্বপূর্ণ করে এবং
ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উন্নত করে। হেডিং ট্যাগগুলো (H1, H2, H3 ইত্যাদি)
কন্টেন্টের জন্য একটি কাঠামো তৈরি করে এবং এটি সার্চ ইঞ্জিন ও ভিজিটর
উভয়কেই সাহায্য করে কন্টেন্ট দ্রুত এবং সহজে বুঝতে। এর ফলে ওয়েবসাইটে
ভিজিটর বাড়ানো যায় এবং ভিজিটরদের এনগেজমেন্ট বজায় রাখা সহজ হয়।
সঠিক কিওয়ার্ড-সমৃদ্ধ হেডিং ব্যবহার করলে সার্চ ইঞ্জিন সহজে বুঝতে পারে
আপনার পেজটি কোন বিষয়ে এবং সেটিকে প্রাসঙ্গিক সার্চ রেজাল্টে উপরে নিয়ে
আসে, যা ভিজিটর বাড়াতে সাহায্য করে। হেডিং ট্যাগ কন্টেন্টকে ভিজিটরদের জন্য
সহজপাঠ্য ও সুসংগঠিত করে তোলে। ভিজিটররা পেজে প্রবেশ করার পর দ্রুত হেডিং
দেখে কন্টেন্টের মূল পয়েন্টগুলো বুঝতে পারে। আকর্ষণীয় ও স্পষ্ট হেডিং
দর্শকদেরকে ক্লিক করতে উত্সাহিত করে, যা আপনার ওয়েবসাইটে অর্গানিক ভিজিটর
বাড়ায়।
৬. ইমেজ অপ্টিমাইজেশনঃ ইমেজ অপ্টিমাইজেশন ওয়েবসাইটের গতি বৃদ্ধি
করে, সার্চ ইঞ্জিনে দৃশ্যমানতা বাড়ায়, এবং ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উন্নত
করে। সঠিকভাবে অপ্টিমাইজ করা ইমেজগুলো ওয়েবসাইটের লোডিং টাইম কমিয়ে এনে
বাউন্স রেট কমায় এবং ভিজিটরদের আকৃষ্ট করতে সাহায্য করে। এছাড়া, ইমেজ
অপ্টিমাইজেশন এসইও-এর অংশ হিসেবে সার্চ ইঞ্জিনে ইমেজ র্যাঙ্কিং বাড়াতে
সাহায্য করে, যা অর্গানিক ট্রাফিক বাড়ায়। সঠিকভাবে অপ্টিমাইজ করা ইমেজগুলো
শুধু এসইও-তে সহায়তা করে না, বরং ভিজিটর ধরে রাখতে এবং ওয়েবসাইটের সামগ্রিক
পারফরম্যান্স বাড়াতে সাহায্য করে।
ওয়েবসাইট যত ধীরে লোড হয়, তত বেশি ভিজিটররা সাইট ত্যাগ করে, যা বাউন্স রেট
বাড়ায়। দ্রুত লোডিং ওয়েবসাইট ভিজিটরদের ধরে রাখতে এবং সার্চ ইঞ্জিনের
র্যাঙ্কিংয়ে উপরে আসতে সাহায্য করে।কোনো ওয়েবসাইটের লোডিং টাইম যদি ৩ সেকেন্ডের বেশি হয়, তবে ৫৩ শতাংশ ভিজিটর
ওয়েবসাইট ত্যাগ করে। সঠিকভাবে ইমেজ অপ্টিমাইজ করলে এই সমস্যা এড়ানো যায়।
ইমেজ ফাইল নাম এবং Alt টেক্সটে প্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ড ব্যবহার করলে ইমেজ
সার্চ রেজাল্টেও আপনার পেজ উপরে আসবে, যা অর্গানিক ট্রাফিক বাড়াতে সাহায্য
করে।
৭. অল্টার টেক্সট অপ্টিমাইজেশনঃ অল্টার টেক্সট অপ্টিমাইজেশন ভিজিটর
বাড়ানোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি ইমেজের বিষয়বস্তু ও উদ্দেশ্য
বোঝাতে সহায়তা করে। এটি ব্যবহারকারীদের জন্য একটি সহজলভ্য অভিজ্ঞতা তৈরি
করে, সার্চ ইঞ্জিনের জন্য ইমেজ র্যাঙ্কিং উন্নত করে এবং অর্গানিক ট্রাফিক
বাড়াতে সহায়তা করে। সঠিকভাবে অল্টার টেক্সট ব্যবহার করলে সার্চ ইঞ্জিনে
দৃশ্যমানতা বাড়ানো সম্ভব এবং ভিজিটর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। সার্চ ইঞ্জিন
গুগল ইমেজের বিষয়বস্তু বুঝতে অল্টার টেক্সট ব্যবহার করে, যা ইমেজকে
র্যাঙ্ক করতে সহায়তা করে।
প্রসঙ্গিক এবং কিওয়ার্ড-সমৃদ্ধ অল্টার টেক্সট ব্যবহার করলে আপনার পেজ সার্চ রেজাল্টে আরো উচ্চস্থান পেতে পারে, যা ভিজিটর সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করে। অল্টার টেক্সট বিশেষত তখন জরুরি যখন একটি ইমেজ লোড না হয়। এটি ভিজিটরদের ইমেজের বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা দেয়। এছাড়া সার্চ ইঞ্জিন অল্টার টেক্সটকে একটি সিগন্যাল হিসেবে দেখে, যা বোঝায় যে পেজের বিষয়বস্তু কি এবং এটি কতটা প্রাসঙ্গিক। প্রাসঙ্গিক অল্টার টেক্সট সার্চ ইঞ্জিনের কাছে পেজের গুণগত মান বাড়ায় এবং ভিজিটর সংখ্যা বাড়াতে সহায়ক হতে পারে।
৮. ইন্টারনাল লিংকঃ ইন্টারনাল লিংক ভিজিটর বাড়ানোর জন্য অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ। এটি ওয়েবসাইটের মধ্যে ভেতরের পেজগুলোকে যুক্ত করার একটি
পদ্ধতি, যা ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উন্নত করে, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন
(এসইও) বাড়ায় এবং ভিজিটরদের ওয়েবসাইটে বেশি সময় কাটাতে সহায়তা করে। এটি
ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উন্নত করে, এসইও বৃদ্ধি করে, বাউন্স রেট কমায় এবং
ওয়েবসাইটে এনগেজমেন্ট বাড়াতে সহায়তা করে। নতুন কন্টেন্ট তৈরি করার পর
ইন্টারনাল লিংকের মাধ্যমে আপনি পুরনো পেজগুলোর সঙ্গে যুক্ত করতে পারেন। এটি
নতুন পেজগুলোকে দ্রুত সার্চ ইঞ্জিনে ক্রল করাতে সাহায্য করে এবং তাদের
র্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি ঘটায়।
৯. এক্সটার্নাল লিংকঃ এক্সটার্নাল লিংক বা বাহ্যিক লিংকগুলি অন্য
ওয়েবসাইটের সঙ্গে আপনার ওয়েবসাইটের পেজগুলোর সংযোগ স্থাপন করে, যা ভিজিটর
বাড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এক্সটার্নাল লিংক ভিজিটরদেরকে আরো গভীর ও বিশদ
তথ্য প্রদান করে, কনটেন্টের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ায় এবং সার্চ ইঞ্জিন
অপটিমাইজেশন (SEO)-এর ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এক্সটার্নাল লিংক
ভিজিটর বাড়ানোর জন্য অত্যন্ত কার্যকর একটি উপায়। এটি কনটেন্টের
বিশ্বাসযোগ্যতা ও গভীরতা বৃদ্ধি করে, SEO উন্নত করে এবং প্রাসঙ্গিক তথ্য
উৎসে ভিজিটরদের পরিচালিত করে।
যখন আপনি মানসম্মত ও প্রাসঙ্গিক ওয়েবসাইটগুলোর সাথে লিঙ্ক করেন, সার্চ
ইঞ্জিনগুলো ধরে নেয় যে আপনার কনটেন্ট ভালো মানের এবং গবেষণাভিত্তিক। সার্চ
ইঞ্জিন এক্সটার্নাল লিংককে কন্টেন্টের প্রাসঙ্গিকতা ও গভীরতার নির্দেশক
হিসেবে দেখে, যা সার্চ র্যাঙ্কিং উন্নত করতে সহায়ক। এটি ভিজিটরদের তাদের
প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে সাহায্য করে এবং তাদের কাছে আপনার ওয়েবসাইটকে একটি
মূল্যবান তথ্যের উৎস হিসেবে তুলে ধরে। ফলে, ভিজিটররা আপনার সাইটে থেকে আরও
বেশি সময় কাটায় এবং পুনরায় ফিরে আসার সম্ভাবনা বাড়ে।
১০. অ্যাংকর ট্যাগ অপ্টিমাইজেশনঃ অ্যাংকর ট্যাগ অপ্টিমাইজেশন ভিজিটর
বাড়ানোর জন্য একটি অত্যন্ত কার্যকর পদ্ধতি। অ্যাংকর ট্যাগ মূলত
হাইপারলিঙ্কের টেক্সট, যা ব্যবহারকারীদেরকে অন্য একটি পেজ বা ওয়েবসাইটে
নিয়ে যায়। এটি কনটেন্টের প্রাসঙ্গিকতা, ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা, এবং সার্চ
ইঞ্জিন র্যাঙ্কিং উন্নত করতে সাহায্য করে। অ্যাংকর ট্যাগ অপ্টিমাইজেশন
ভিজিটর বাড়ানোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। এটি ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা
উন্নত করে, SEO বৃদ্ধি করে, বাউন্স রেট কমায় এবং ক্লিক-থ্রু রেট বাড়াতে
সহায়তা করে।
সঠিকভাবে অপ্টিমাইজ করা অ্যাংকর ট্যাগ ভিজিটরদেরকে ওয়েবসাইটে ধরে রাখতে এবং
বিভিন্ন পেজে নেভিগেট করতে উৎসাহিত করে, যা ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বাড়াতে সহায়ক
হয়। সার্চ ইঞ্জিন বটগুলো অ্যাংকর ট্যাগের মাধ্যমে পেজের বিষয়বস্তু বোঝে
এবং সেই অনুযায়ী পেজ র্যাঙ্কিং নির্ধারণ করে। প্রাসঙ্গিক এবং কীওয়ার্ড
সমৃদ্ধ অ্যাংকর ট্যাগ ব্যবহার করলে সার্চ ইঞ্জিনের কাছে পেজটির
প্রাসঙ্গিকতা বৃদ্ধি পায়, যা সার্চ র্যাঙ্কিং উন্নত করে এবং আপনার
ওয়েবসাইটে ভিজিটরের সংখ্যা বাড়ায়।
১১. কি-ওয়ার্ড ডেনসিটিঃ কি-ওয়ার্ড ডেনসিটি বলতে বোঝায়, একটি
ওয়েব পেজে মোট শব্দের তুলনায় নির্দিষ্ট কীওয়ার্ড কতবার ব্যবহার করা
হয়েছে, অর্থাৎ কোনো নির্দিষ্ট কীওয়ার্ডের ঘনত্ব। এটি সাধারণত শতাংশে
প্রকাশ করা হয়। উদাহরণস্বরূপ-যদি ১০০ শব্দের কন্টেন্টে একটি নির্দিষ্ট
কীওয়ার্ড ৫ বার ব্যবহৃত হয়, তাহলে সেই কীওয়ার্ড ডেনসিটি হবে ৫ শতাংশ।
তবে, অতিরিক্ত কীওয়ার্ড ব্যবহার করলে, অর্থাৎ কীওয়ার্ড স্টাফিং হলে, সেটি
স্প্যাম হিসেবে গণ্য হতে পারে এবং সার্চ ইঞ্জিন পেনাল্টি দিতে পারে।
তাই সঠিক ব্যালান্স বজায় রাখা জরুরি।
সঠিক কীওয়ার্ড ডেনসিটি সার্চ ইঞ্জিনকে জানাতে সাহায্য করে যে, আপনার
কন্টেন্ট কোন বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সার্চ
ইঞ্জিন আপনার পেজকে প্রাসঙ্গিক সার্চের জন্য র্যাঙ্ক করতে পারে, ফলে
অর্গানিক ভিজিটর বাড়ে। যদি আপনার কন্টেন্টে কীওয়ার্ডগুলি প্রাসঙ্গিক এবং
সঠিক ডেনসিটিতে থাকে, তাহলে সার্চ ইঞ্জিন বুঝবে যে আপনার কন্টেন্ট
ব্যবহারকারীর সার্চের সঙ্গে মিলছে। এটি সার্চ ইঞ্জিনের র্যাঙ্কিং
অ্যালগরিদমে পজিটিভ প্রভাব ফেলে এবং আপনার পেজকে সার্চ রেজাল্টে উপরের দিকে
দেখানো হতে পারে। যা আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর সংখ্যা বাড়াতে সহায়ক।
১২. ইউআরএল অপ্টিমাইজেশন বা পার্মালিংকঃ ইউআরএল অপ্টিমাইজেশন বা
পার্মালিংক হলো একটি ওয়েবসাইটের প্রতিটি পেজ বা পোস্টের জন্য নির্দিষ্ট
এবং স্থায়ী URL বা লিংক। এটি এমনভাবে তৈরি করা হয় যাতে লিংকটি সংক্ষিপ্ত,
অর্থবোধক, এবং সার্চ ইঞ্জিনের জন্য সহজে পড়া যায়। সাধারণত, পার্মালিংক একটি
ওয়েবসাইটের ঠিকানা ও নির্দিষ্ট পেজের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে গঠন করা
হয়। ইউআরএল অপ্টিমাইজেশন বা পার্মালিংক এসইও এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং
এটি ভিজিটর বাড়াতে সরাসরি প্রভাব ফেলে।
পরিষ্কার, কীওয়ার্ড সমৃদ্ধ এবং সংক্ষিপ্ত ইউআরএল ব্যবহার করলে সার্চ
ইঞ্জিনের র্যাঙ্কিং উন্নত হয় এবং ব্যবহারকারীরাও সহজে আপনার পেজে পৌঁছাতে
পারে। সার্চ ইঞ্জিন যেমন Google সহজে অপ্টিমাইজড URL পড়তে পারে এবং এর
মাধ্যমে ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট সম্পর্কে ধারণা নিতে পারে। যদি URL গঠন
প্রাসঙ্গিক কীওয়ার্ডের মাধ্যমে করা হয়, তাহলে সার্চ ইঞ্জিন পেজটিকে
প্রাসঙ্গিক সার্চ রেজাল্টে বেশি গুরুত্ব দেবে, ফলে বেশি ভিজিটর আসবে।
১৩. ওয়েবসাইটের স্পিড অপ্টিমাইজেশনঃ ওয়েবসাইটের স্পিড অপ্টিমাইজেশন
হলো এমন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে ওয়েবসাইটের লোডিং টাইম কমানোর চেষ্টা করা
হয়, যাতে ব্যবহারকারীরা দ্রুত ও সহজে ওয়েবসাইটটি দেখতে পারেন। এর মাধ্যমে
ওয়েবসাইটের কার্যক্ষমতা এবং ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উন্নত হয়। সাইটের স্পিড
যত ভালো হবে, তত দ্রুত পেজ লোড হবে, যা ব্যবহারকারীদের আকর্ষণ ধরে রাখতে
সাহায্য করে। ওয়েবসাইটের গতি ভিজিটরদের অভিজ্ঞতার উপর বড় প্রভাব
ফেলে।
কারণ হলো, ধীরগতির সাইট ব্যবহারকারীদের বিরক্ত করে এবং তারা দ্রুত সাইট
ত্যাগ করতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, যদি একটি সাইট ৩ সেকেন্ডের বেশি
সময় নেয় লোড হতে, ৫৩ শতাংশ ভিজিটর সাইট ছেড়ে চলে যায়। এছাড়া গুগল সহ
অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনগুলি দ্রুত লোড হওয়া ওয়েবসাইটগুলিকে বেশি প্রাধান্য
দেয়। ওয়েবসাইটের স্পিড অপ্টিমাইজেশন করলে সার্চ র্যাংকিং উন্নত হয় এবং
অর্গানিক ট্রাফিক বাড়ে।
ওয়েবসাইটে ভিজিটর ধরে রাখার উপায়
ওয়েবসাইটে ভিজিটর ধরে রাখার উপায় সম্পর্কে জানতে হবে। তা না হলে ভিজিটর
আসবে কিন্তু ওয়েবসাইট থেকে আবার বের হয়ে যাবে। ওয়েবসাইটে ভিজিটর ধরে
রাখার জন্য কেবল ভিজিটরের সংখ্যা বাড়ানোই যথেষ্ট নয়, বরং তাদেরকে বেশি সময়
ওয়েবসাইটে রাখাই সফলতার অন্যতম প্রধান উপাদান। এজন্য প্রয়োজন সঠিক কৌশল ও
ব্যবহারকারী অভিজ্ঞতার উন্নয়ন। নিচে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হলো কীভাবে
ওয়েবসাইটে ভিজিটর ধরে রাখা যায়ঃ
১. লোডিং স্পিডঃ প্রথমেই, ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড খুব গুরুত্বপূর্ণ।
বর্তমান যুগে মানুষ দ্রুতগতির তথ্য চায়। যদি ওয়েবসাইট লোড হতে বেশি সময়
নেয়, তবে ব্যবহারকারী অন্য সাইটে চলে যাবে। এজন্য ইমেজ কমপ্রেশন, ক্যাশিং
এবং ভালো হোস্টিং ব্যবহার করতে হবে যাতে সাইট দ্রুত লোড হয়। ওয়েবসাইটের
লোডিং স্পিড অর্থাৎ কত দ্রুত একটি ওয়েব পেজ ব্রাউজারে পুরোপুরি লোড হয়,
সেটি ভিজিটর ধরে রাখার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একজন ব্যবহারকারী সাধারণত
৩ সেকেন্ডের বেশি অপেক্ষা করতে চায় না। যদি আপনার সাইট লোড হতে দেরি করে,
তবে সে আরেকটি সাইটে চলে যেতে পারে, এতে বাউন্স রেট বাড়ে, আর SEO
র্যাংকিং কমে।
২. ইউনিক কনটেন্ট পোস্ট করাঃ ওয়েবসাইটে ভিজিটর ধরে রাখার জন্য
অবশ্যই ওয়েবসাইটে থাকা কনটেন্ট হতে হবে মানসম্পন্ন ও প্রাসঙ্গিক। কারণ
পোষ্টের মধ্যে যদি কোন তথ্য না থাকে তাহলে ভিজিটর সেই পোস্ট পড়বে না। একজন
ভিজিটর যখন কোনো নির্দিষ্ট সমস্যার সমাধান খুঁজতে ওয়েবসাইটে আসে, তখন সে
চায় পরিষ্কার ও নির্ভরযোগ্য তথ্য। এই কারণে অনেক তথ্য দিয়ে আর্টিকেল লিখতে
হবে। এবং ভিজিটর পোস্টটি পড়ে যেন খুব সহজেই বুঝতে পারে। সেদিকেও খেয়াল
রাখতে হবে। এইভাবে কনটিন লিখে পোস্ট করলে ভিজিটরেরা ওয়েবসাইটে থাকবে।
ডিজিটাল ধরে রাখার প্রথম শর্তেই হলো ইউনিক কনটেন্ট। যদি কনটেন্ট ইউনিক,
ইনফরমেটিভ এবং পাঠকের জন্য উপযোগী হয়, তাহলে সে আরও কিছু পড়তে আগ্রহী হয়
এবং সাইটে বেশি সময় কাটায়।
৩. ইউজার ইন্টারফেস (UI) এবং নেভিগেশন ব্যবস্থাঃ একটি ভালো ইউজার
ইন্টারফেস (UI) এবং নেভিগেশন ব্যবস্থা ভিজিটর ধরে রাখার আরেকটি
গুরুত্বপূর্ণ দিক। ওয়েবসাইটের ডিজাইন অবশ্যই ইউজার ফ্রেন্ডলি হতে হবে। একটি
ওয়েবসাইটের ইউজার ইন্টারফেস (UI) এবং নেভিগেশন ব্যবস্থা ব্যবহারকারীর
অভিজ্ঞতার ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। যদি একটি ওয়েবসাইট দেখতে জটিল, এলোমেলো
অথবা ব্যবহার করতে অসুবিধাজনক হয়, তাহলে একজন ভিজিটর খুব দ্রুত তা ছেড়ে চলে
যায়। মোবাইল ফ্রেন্ডলি ডিজাইন থাকা উচিত, কারণ অধিকাংশ ভিজিটর এখন মোবাইল
থেকেই ওয়েবসাইট ব্রাউজ করে। সহজ নেভিগেশন, ক্লিয়ার মেনু ও ক্যাটাগরি
ব্যবস্থা থাকলে ব্যবহারকারী দ্রুত তার প্রয়োজনীয় তথ্য পায়। তাই ওয়েবসাইটে
ভিজিটর ধরে রাখার জন্য সহজ, সুন্দর ও সংগঠিত UI ও নেভিগেশন অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ।
৪. ইন্টারনাল লিংক যুক্ত করাঃ ইন্টারনাল লিংক অর্থাৎ কনটেন্টের
মধ্যে অন্য আর্টিকেলের লিংক সংযুক্ত করলে ভিজিটর বেশি সময় ওয়েবসাইটে থাকে।
সহজ ভাষায়, আপনার নিজের ওয়েবসাইটের এক পেজ থেকে আরেক পেজে পাঠককে পাঠানোর
ব্যবস্থা। ধরুন, আপনি একটি ব্লগে “ফল খাওয়ার উপকারিতা” লিখেছেন, সেখানে “আম
খাওয়ার উপকারিতা” নামের একটি পেজের লিংক দিলে ভিজিটর সেটিও পড়তে আগ্রহী
হবে। এভাবে পেজভিউ ও সময় বাড়বে। যখন পাঠক একটি পেজ থেকে অন্য আরেকটি
রিলেটেড কনটেন্টে যায়, তখন সে দীর্ঘ সময় ওয়েবসাইটে থাকে। এতে বাউন্স রেট
কমে এবং Engagement বাড়ে। Internal linking এর মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিন বুঝতে
পারে কোন কোন পেজ বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং কিভাবে কনটেন্টগুলো একে অপরের সাথে
সম্পর্কিত। এতে করে Google-এর ক্রল বট আপনার সব পেজ ভালোভাবে ইনডেক্স করতে
পারে।
৫. কি-ওয়ার্ড বাছাই করাঃ ওয়েবসাইটে পোস্ট করার সময় সর্বপ্রথম
কি-ওয়ার্ড বাছাই করতে হয়। কি-ওয়ার্ড বাছাই করার সময় অবশ্যই ইউনিক হতে
হবে। এবং ভিজিটররা যেন খুব সহজেই তা বুঝতে পারে। এতে করে খুব সহজেই
ওয়েবসাইটের রেংক বৃদ্ধি পায়। এবং ভিজিটর ধরে রাখা সম্ভব হয়।ওয়েবসাইট বা
ব্লগের জন্য কীওয়ার্ড নির্বাচন হলো SEO-এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপগুলোর
একটি। সঠিক কীওয়ার্ড বেছে নিতে পারলে আপনার কনটেন্ট সহজেই গুগলে র্যাংক
করবে এবং বেশি ভিজিটর পাবে। কীওয়ার্ড হলো সেই শব্দ বা বাক্যাংশ যা মানুষ
গুগলে সার্চ করে। আপনি যেই বিষয় নিয়ে কনটেন্ট লিখছেন, সেখানে এমন শব্দ
ব্যবহার করলে গুগল বুঝতে পারে যে আপনার কনটেন্ট সার্চারদের জন্য
প্রাসঙ্গিক। উদাহরণ: কোনো ব্যক্তি গুগলে লিখছে — ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুল পড়া
বন্ধ করার উপায়।
৬. কল টু একশন বাটন যুক্ত করাঃ ভিজিটরের দৃষ্টি আকর্ষণে Call to
Action (CTA) ব্যবহার করতে হবে। Call to Action (CTA) বাটন হলো একটি
ওয়েবসাইট বা ব্লগে এমন একটি বোতাম বা লিংক, যা ভিজিটরকে নির্দিষ্ট কোনো কাজ
করতে উৎসাহিত করে যেমন- আরও পড়ুন, এখনই সাবস্ক্রাইব করুন, বা এই পোস্টটিও
পড়ুন ইত্যাদি বোতাম ভিজিটরকে গাইড করে। এতে তারা ওয়েবসাইটে আরও ঘুরে বেড়ায়।
একটি ওয়েবসাইটে CTA বাটন না থাকলে ভিজিটর জানেই না পরবর্তী ধাপে কী করা
উচিত। তাই প্রতিটি প্রোডাক্ট, সার্ভিস বা পোস্টে কার্যকর একটি Call to
Action বাটন থাকা উচিত।
৭. ওয়েবসাইটে কমেন্ট বক্স রাখাঃ ওয়েবসাইটে অবশ্যই কমেন্ট বক্স
রাখতে হবে। ওয়েবসাইটে ভিজিটর ধরে রাখতে কমেন্ট বক্স রাখা একদম কার্যকর
কৌশল। কমেন্ট বক্স হলো ওয়েবসাইটের এমন একটি অংশ, যেখানে ভিজিটররা পোস্ট বা
কনটেন্ট সম্পর্কে কোন ধরনের সমস্যা থাকলে সেখানে মতামত, প্রশ্ন, বা
প্রতিক্রিয়া জানাতে পারেন। এতে করে ভিজিটর সাথে ভালো সম্পর্ক হয়। এবং
ভিজিটরের চাহিদা অনুযায়ী পোস্ট করা যায়। এতে করে কিছু ভিজিটর রেগুলার
হয়ে যায়। ভিজিটররা যখন তাদের মতামত বা প্রশ্ন লিখতে পারে, তখন তারা কেবল
তথ্য গ্রহণ করেন না, অংশগ্রহণও করেন। এতে তাদের ওয়েবসাইটে থাকার সময় বাড়ে।
এটি ওয়েবসাইটের ইউজার এনগেজমেন্ট বাড়াতে খুব কার্যকর।
বিডি টেকল্যান্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url