নতুন ওয়েবসাইটে ভিজিটর বা ট্রাফিক বাড়ানোর উপায়

নতুন ওয়েবসাইটে ভিজিটর বা ট্রাফিক বাড়ানোর উপায় রয়েছে। ওয়েবসাইটে ভিজিটর বা ট্রাফিক বাড়ানোর জন্য প্রথমেই ভালো মানের কিছু কনটেন্ট লিখতে হবে। নতুন একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার পর সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হয় সেটিতে ভিজিটর আনা। এজন্য প্রথমেই দরকার মানসম্মত ও প্রয়োজনীয় কনটেন্ট তৈরি করা, যা সত্যিই মানুষের কাজে লাগে।
নতুন-ওয়েবসাইটে-ভিজিটর-বা-ট্রাফিক-বাড়ানোর-উপায়
কনটেন্ট লেখার সময় জনপ্রিয় এবং প্রাসঙ্গিক কীওয়ার্ড ব্যবহার করলে গুগল সার্চ থেকে সহজেই অর্গানিক ভিজিটর পাওয়া যায়। ওয়েবসাইটটি যেন মোবাইল ও কম্পিউটারে দ্রুত লোড হয়, সেটাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ধীরগতির সাইটে ভিজিটর থাকতে চায় না। প্রতিটি ব্লগ বা পাতায় অভ্যন্তরীণ লিংক ব্যবহার করলে পাঠক আরও বেশি সময় সাইটে থাকে।

কনটেন্ট প্রকাশের পর তা ফেসবুক, টুইটার বা লিংকডইনে শেয়ার করে শুরুতেই কিছু ভিজিটর আনতে হয়। পাশাপাশি Google Analytics ব্যবহার করে বুঝে নিতে হবে কোন কনটেন্ট মানুষ বেশি দেখছে, আর কোনটিতে উন্নতির সুযোগ আছে। ধৈর্য ও ধারাবাহিকতার মাধ্যমে ধীরে ধীরে ভিজিটর বাড়ানো সম্ভব। ভিজিটর ছাড়া ওয়েবসােইট থেকে আয় করা সম্ভব না।

সূচিপত্রঃ নতুন ওয়েবসাইটে ভিজিটর বা ট্রাফিক বাড়ানোর উপায়

ওয়েবসাইটের ভিজিটর বা ট্রাফিক কি

ওয়েবসাইটের ভিজিটর বা ট্রাফিক হলো সেইসব মানুষ, যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করে আপনার ওয়েবসাইটে আসে এবং সেখানে কনটেন্ট দেখে, পড়ে, ভিডিও দেখে, কিছু কিনে, বা অন্য কোনো কার্যক্রম করে। এদেরই বলা হয় ভিজিটর, আর এদের আনাগোনার পরিমাণ বা পরিসংখ্যানকে বলা হয় ট্রাফিক (Traffic)। ভিজিটর বলতে বোঝায় সেই ব্যক্তি, যিনি আপনার ওয়েবসাইটের একটি বা একাধিক পেইজ ভিজিট করছেন।

ট্রাফিক হলো মোট ভিজিটর সংখ্যা বা পরিমাণ। এটি বোঝায়, নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কতজন মানুষ আপনার ওয়েবসাইটে এসেছে। ওয়েবসাইট এর ভিজিটর আত্মীয়োর মতো। আমাদের বাসায় যেমন আত্মীয় আসে ঠিক একইভাবে ওয়েবসাইটে ভিজিটর আসে। তারা ওয়েবসাইটে এসে সেবা নিয়ে যায়। কোন বিষয় জানার থাকলে তারা জেনে চলে যায়। এক কথায় বলতে গেলে যারা ওয়েবসাইটে ঢুকবে এবং সেবা বা তর্থ্য গ্রহন করবে তারাই ওয়েবসাইটের ভিজিটর বা ট্রাফিক।

ওয়েবসাইটে ভিজিটরের গুরুত্ব

ওয়েবসাইটে ভিজিটরের গুরুত্ব অনেক গভীর ও বহুমাত্রিক। এটি একটি ওয়েবসাইটের সফলতা, বিশ্বাসযোগ্যতা এবং বাণিজ্যিক সম্ভাবনার মূল মাপকাঠি হিসেবে বিবেচিত হয়।ওয়েবসাইট ভিজিটরের সংখ্যা ও গুণমান একটি ওয়েবসাইটের সফলতা এবং ব্যবসায়িক বৃদ্ধি নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যত বেশি ভিজিটর ওয়েবসাইটে আসবে তত বেশি সম্ভাবনা থাকে যে, তারা আপনার পণ্য বা সেবা গ্রহণ করবে। ওয়েবসাইট ভিজিটরদের কয়েকটি ভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করা যায়ঃ
অর্গানিক ভিজিটরঃ অর্গানিক ভিজিটর বলতে বোঝায় সেই ভিজিটর যারা কোনো প্রকার অর্থ প্রদান বা বিজ্ঞাপন ছাড়াই আপনার ওয়েবসাইট বা ব্লগে আসে। তারা সাধারণত সার্চ ইঞ্জিন (যেমন Google, Bing) থেকে বিভিন্ন কীওয়ার্ড ব্যবহার করে আপনার কন্টেন্টে পৌঁছায়। অর্গানিক ভিজিটর পেতে হলে আপনাকে কীওয়ার্ড রিসার্চ করতে হবে। আপনার কন্টেন্টের সঙ্গে সম্পর্কিত জনপ্রিয় কীওয়ার্ড খুঁজতে হবে এবং তা আপনার ওয়েবসাইটে যুক্ত করতে হবে। অন-পেজ এসইও ভালোভাবে করতে হবে। যেমন: সঠিকভাবে টাইটেল, মেটা ট্যাগ, হেডিং ও কীওয়ার্ড ব্যবহার করে আপনার কন্টেন্ট অপ্টিমাইজ করতে হবে।

ডাইরেক্ট ভিজিটরঃ ডাইরেক্ট ভিজিটর হলো সেই ভিজিটর বা দর্শক, যারা সরাসরি একটি ওয়েবসাইটের URL টাইপ করে বা বুকমার্ক থেকে ক্লিক করে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে। এ ধরনের ভিজিটর সাধারণত কোনো সার্চ ইঞ্জিন, সোশ্যাল মিডিয়া বা অন্য কোনো রেফারাল মাধ্যমের মাধ্যমে আসে না। তারা ওয়েবসাইটের ঠিকানা সম্পর্কে আগে থেকেই অবগত থাকে। ডাইরেক্ট ভিজিটর আনতে হলে ভালো এবং মানসম্মত কনটেন্ট তৈরি করতে হবে। যদি আপনার ওয়েবসাইটের কনটেন্ট প্রাসঙ্গিক ও আকর্ষণীয় হয়, তাহলে দর্শকরা প্রায়ই সরাসরি আপনার ওয়েবসাইটে আসতে পারে।

রেফারেল ভিজিটরঃ রেফারেল ভিজিটর হলো সেই ব্যবহারকারীরা, যারা অন্য কোনো ওয়েবসাইট থেকে লিঙ্কের মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটে আসে। অর্থাৎ, তারা সরাসরি সার্চ ইঞ্জিন বা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আসে না, বরং কোনো তৃতীয় পক্ষের ওয়েবসাইট, ব্লগ, বা ফোরাম থেকে লিঙ্কে ক্লিক করে আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে। রেফারেল ভিজিটররা সেই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনার সাইটের লিঙ্ক খুঁজে পায়, যেখানে আপনার সাইট উল্লেখ করা হয়েছে বা আপনার কোনো কনটেন্ট লিঙ্ক আকারে শেয়ার করা হয়েছে।

সোশ্যাল মিডিয়া ভিজিটরঃ সোশ্যাল মিডিয়া ভিজিটর হলো সেই ব্যবহারকারীরা, যারা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে। এই ধরনের ভিজিটররা সাধারণত ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম, লিংকডইন, ইউটিউব এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটের লিঙ্কে ক্লিক করে সাইটে আসে।

পেইড ভিজিটরঃ পেইড ভিজিটর হলো সেই ব্যবহারকারীরা, যারা পেইড বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটে আসে। এই ভিজিটররা সরাসরি এমন বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে, যা আপনি পণ্য বা সেবার প্রচারের জন্য বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে প্রদর্শন করেন। পেইড ভিজিটর আনতে বিভিন্ন ধরনের অনলাইন বিজ্ঞাপন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। যেমন: গুগল অ্যাডস, ফেসবুক অ্যাডস, ইনস্টাগ্রাম অ্যাডস, ইউটিউব অ্যাডস এবং অন্যান্য ডিজিটাল বিজ্ঞাপন প্ল্যাটফর্ম।

ওয়েবসাইটে ভিজিটর বা ট্রাফিকের কেন প্রয়োজন

ওয়েবসাইটে ভিজিটর বা ট্রাফিকের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। ওয়েবসাইট ট্র্যাফিক বলতে আপনার ওয়েবসাইট ভিজিটরের সংখ্যা বোঝায়, যা সাধারণত একটি নির্দিষ্ট সময়কাল ধরে গণনা করা হয়। ওয়েবসাইটে ট্রাফিক মানে শুধু সংখ্যা নয়, এটি আপনার প্রভাব, আয়, এবং সফলতার ইঙ্গিত। আমাদের ওয়েবসাইট চালানোর মূল উদ্দেশ্য হলো মানুষকে সেবা প্রদানের বিনিময়ে টাকা আয় করা। আর ওয়েবসাইট থেকে টাকা আয় করা সহজ না। 

আমরা চাইলেও অতি দ্রুত সফলও হতে পারবো না। কারণ সব কিছুর ‍নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। ওয়েবসাইট থেকে আয় করা প্রথম এবং প্রধান শর্ত হলো ভিজিটর বা ট্রাফিক বাড়ানো। ওয়েবসাইটে যতো বেশি ভিজিটর বা ট্রাফিক আসবে ওয়েবসাইট এর মান ততো বৃদ্ধি পাবে এবং ওয়েবসাইটের আয় ততো বৃদ্ধি পাবে। এই কারণে ওয়েবসাইটের ভিজিটর বা ট্রাফিক প্রয়োজন। ভিজিটর ছাড়া ওয়েবসাইট থেকে আয় করা সম্ভব না। আপনার ওয়েবসাইট কতটা জনপ্রিয় সেটা নির্ভর করবে আপনার ওয়েবসাইটে কত মানুষ দৈনিক ভিজিট করে তার উপরে।

নতুন ওয়েবসাইটে ভিজিটর বা ট্রাফিক বাড়ানোর উপায়

নতুন ওয়েবসাইটে ভিজিটর বা ট্রাফিক বাড়ানোর উপায় একটু চ্যালেঞ্জিং হলেও সঠিক কৌশল অনুসরণ করলে এটি সম্ভব। নতুন ওয়েবসাইটে সাধারণত শুরুতে খুব কম ভিজিটর আসে। কারণ গুগলে র‍্যাঙ্ক পেতে সময় লাগে এবং মানুষ এখনো আপনার সাইট সম্পর্কে জানে না। ওয়েবসােইটের ভিজিটর বাড়ানোর কিছু উপায় রয়েছে। সে গুলো মেনে চলে খুব সহজে ভিজিটর বা ট্রাফিক বাড়ানো সম্ভব। তবে নিচের কৌশলগুলো মেনে চললে দ্রুত ট্রাফিক বাড়ানো সম্ভব।
১. এসইও(SEO)ফ্রেন্ডলি রাইটিংসঃ ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়ানোর গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সার্চ ইঞ্জিল অপটিমাইজেশন (SEO) সার্চ ইঞ্জিন অষ্টমাইজেশন হলো একটি কৌশল যাতে আপনার পোস্ট গুগল রাঙ্কে সবার উপরে থাকে। এসিও ছাড়া ওয়েবসাইট রাঙ্ক করানো সম্ভব না। আপনার ওয়েবসাইটের পোস্টগুলো যদি প্রথম পেজে থাকে তাহলে ভিজিটর বাড়বে। আপনার পোষ্ট অবশেই SEO friendly হতে হবে। তাছাড়া আপনি গুগল সার্চ কনসোল এ রেজিস্ট্রেশন করলেও ভিজিটর পাবেন না। এসইও (SEO) ফ্রেন্ডলি রাইটিংস পোস্ট করলে খুব সহজে আপনার ওয়েবসাইট র‌্যাঙ্ক করবে।

২. সার্চ ইঞ্জিনঃ ওয়েবসাইটেএর ভিজিটর বা ট্রাফিক বাড়ানোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকারী উপায় হলো সার্চ ইঞ্জিন। বর্তমান সময়ে ইন্টারনেটে অনেক ধরনের সার্চ ইঞ্জিন রয়েছে। এদের মধ্যে জনপ্রিয় হলো: google, বিং এবং ইয়াহু। এদের মধ্যে গুগল সার্চ ইঞ্জিল ৬০০ কার্যকরী। আপনার ওয়েবসাইট গুগল সার্চ ইঞ্জিলে কানেক্ট থাকলে প্রতিদিন ভিজিটর বাট ট্রাফিক পাবেন। গুগল সার্চ ইঞ্জিন এর কিছু সেটিংস রয়েছে। যেগুলো সঠিকভাবে করলে ওয়েবসাইটের ভিজিটর বৃদ্ধি পায়।

৩. ফোরাম সাইটের ব্যবহারঃ ফোরাম সাইটের ব্যবহার করে খুব সহজে ওয়েবসাইটের ভিজিটর বা ট্রাফিক বাড়ানো যায়। ফর্ম ফাইট হলো একটি প্ল্যাটফর্ম। যেখানে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন করা হয়। কেউ প্রশ্নের উত্তর জানলে তার উত্তর দিতে হয়। আপনার ওয়েবসাইটে যদি প্রশ্নের উত্তর থাকে তাহলে সেখানে পোস্ট করতে পারেন। এভাবে পোস্ট করলে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর বা ট্রাফিক আসা শুরু করবে। প্রশ্ন কারীর আপনার ওয়েবসাইট সম্পর্কে ভালো ধারণা হবে। এইভাবে হয় ফোরাম সাইটের ব্যবহার করে ভিজিটর বাড়ানো যায়।

৪. সোশ্যাল মিডিয়াঃ ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়ানোর জন্য সোশ্যাল মিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সোশ্যাল মিডিয়া গুলো হল: ফেসবুক, টুইটার, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি। বর্তমান সময়ে মানুষ সোশ্যাল মিডিয়াতে সময় বেশি দেয়। এই কারণে আপনার ওয়েবসাইটের পোস্টগুলো সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করতে পারেন। সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করার ফলে আপনার ভিজিটর বাড়বে। কারণ, যদি কোন ব্যক্তির আপনার পোস্ট ভালো লাগে তাহলে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবে।

এতে করে আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর বৃদ্ধি পাবে। এই কারণে, ওয়েবসাইটের নতুন পোস্ট করলে সাথে সাথে সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে শেয়ার করতে হবে।এতে করে কম সময়ের মধ্যে ভিজিটর বাড়বে। এবং আপনার ওয়েবসাইট খুব সহজে র‍্যাংক করবে। এই কারণে সোশ্যাল মিডিয়া ভিজিটর এবং ট্রাফিক বাড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখ।

৫. নিয়মিত আর্টিকেল পাবলিশ করাঃ ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়ানোর জন্য নিয়মিত আর্টিকেল পোস্ট করতে হবে। কারণ, যদি আপনার ওয়েবসাইটে আর্টিকেল না থাকে তাহলে ভিজিটর কোন তথ্য পাবে না। যার কারণে ভিজা আর আসবেনা। যদি আপনার আর্টিকেল বেশি থাকে তাহলে গুগলে সার্চ করলে আপনার ওয়েবসাইট দেখাবে। এতে করে আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর ভিত্তি পাবে। এবং ইনকাম শুরু হবে। এই কারণে ওয়েবসাইটে নিয়মিত আর্টিকেল পাবলিশ করতে হবে।

৬. ওয়েবসাইট রেস্পন্সিভ বা ইউজার ফ্রেন্ডলি ডিজাইন করাঃ অনেকেই প্রশ্ন করে, ওয়েবসাইট রেস্পন্সিভ বা ইউজার ফ্রেন্ডলি ডিজাইন করা কি? একদম সহজভাবে বলতে গেলে ইউজার ফ্রেন্ডলি হচ্ছে ভিজিটরের পছন্দ মতন আর্টিকেল লেখা। এতে করে ওয়েবসাইটের আর্টিকেলগুলো খুব সহজেই ভিজিটরেরা পড়তে পারে। নিয়মিত ওয়েবসাইট রেস্পেন্সিভ বা ইউজার ফ্রেন্ডলি পোস্ট করলে ভিজিটর বৃদ্ধি পাবে। কারণ, পোস্টগুলো খুব সহজে ভিজিটররা বুঝতে পারবে। ওয়েবসাইট সবসময় পোস্ট ইউজার ফ্রেন্ডলি করতে হবে। কারণ ইউজার ছাড়া ওয়েবসাইট দিয়ে কোন আয় করা সম্ভব না।

৭. ওয়েবসাইটটি মোবাইল ফ্রেন্ডলি ডিজাইন করাঃ সারা বিশ্বে অসংখ্য মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করে। তাদের মধ্যে ৬০% মানুষ মোবাইল দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকে। এ কারণে ওয়েবসাইটের ভিজিটর গুলো মোবাইল থেকে আসে। যার কারণে মোবাইল থেকে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলে জানো সকল কিছু ভালোভাবে বুঝতে পারে। বিশেষ করে কিছু কিছু ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলো মোবাইলে লেখা বোঝা যায় না। এছাড়াও ওয়েব সাইটের মধ্যে ইমেজ গুলো শো করে না। এই কারণে, মোবাইল ইউজারদের দিকে লক্ষ্য রেখে কনটেন্ট এর লেখা সাইজ নির্ধারণ করতে হবে। এতে করে ভিজিটর বৃদ্ধি পাবে।

৮. ব্লগ কমেন্ট করাঃ ব্লগ কমেন্ট ওয়েবসাইটের ডিজিটর বা ট্রাফিক বাড়ানোর জন্য একটি জনপ্রিয় মাধ্যম। ব্লক কমান্ড হলো আপনার ওয়েবসাইট রিলেটেড কোন ব্লগ বা ওয়েবসাইটে গিয়ে তাদের কমেন্ট বক্সে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক দেয়া।এতে করে ওই ওয়েবসাইট বা ব্লগের ডিজিটাল গুলো আপনার পোস্ট সম্পর্কে জানতে পারবে। এবং সেখান থেকে আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর আসতে শুরু করবে। ব্লক কমান্ড কে ব্যাকলিংক বলা যায়। এখান থেকে ভিজিটর আসা সম্ভাবনা বেশি থাকে।

৯. ডেটা অ্যানালাইসিস করাঃ ডেটা অ্যানালাইসিস করা সাইটের ভিজিটর বাড়ানোর অন্যতম একটি মাধ্যম। ওয়েবসাইটের ডেটা অ্যানালাইসিস করার মাধ্যমে ভিজিটর সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। কোন সময় ভিজিটর ওয়েবসাইটে আসে এবং কত বয়সের মানুষ আসে সকল কিছু জানা যায়। এই কারণে ডেটা অ্যানালাইসিস করে ওয়েবসাইটে কন্টেন পোস্ট করতে হয়। যে সময় ভিজিটর বেশি থাকে সেই সময় পোস্ট করতে হয়। এতে করে ভিজিটর বাড়বে এবং ওয়েবসাইটের রিস বাড়বে।

১০. বাউন্স রেট এর ব্যাপারে যত্নশীল হওয়াঃ ওয়েবসাইট এর ভিজিটর বাড়ানোর জন্য বাউন্স রেট এর ব্যাপারে যত্নশীল হওয়া। অনেকে জানে না বাউন্স রেট কি? বাউন্স রেট হলোে একটি পার্সেন্টিজ পদ্ধতি যার মাধ্যমে ওয়েবসাইটের ভিজিটর দের মধ্যে কতজন হোম পেইজ ভিজিট করে ওয়েবসাইট থেকে বাহির হয়ে গেছে। অর্থাৎ ওয়েবসাইটের কোন পোস্টে প্রবেশ করেনি। বাউন্স রেট সবসময় পার্সেন্টেজ আকারে দেখানো হয়। । আপনার ওয়েবসাইটের বাউন্সের যত কম হবে ওয়েবসাইটের ভিজিটর তত বেশি হবে। ওয়েবসাইটের বাউন্স রেট কেমন হলে ভালো তুলে ধরা হলো : বাউন্স রেট এর নিচে হলে খুব ভালো। আর যদি ৫০ পার্সেন্ট এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে তাহলেও ভালো। আর যদি ৬০% অতিক্রম করে তাহলে ওয়েবসাইটের জন্য ভালো না।

১১. আর্টকেলের গুণগতমান বজায় রাখাঃ ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়ানোর জন্য আর্টিকারের গুণগতমান বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি। ডিজিটালরা আসে ওয়েবসাইট থেকে কোন কিছু জানার জন্য। এ কারণে ওয়েবসাইটের আর্টিকেলের মান ভালো হতে হবে। এতে করে ভিজিটরেরা তাদের কাঙ্খিত তথ্যগুলো পাবে। আর ভিজিটররা যদি আপনার ওয়েবসাইট থেকে গুণগত মানের আর্টিকেল পায় তাহলে তারা পুনরায় ওয়েবসাইটে আসবে। এবং অন্য আরটিকাল গুলো পড়ে দেখবে। এভাবে আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর বা ট্রাফিক বৃদ্ধি পাবে।

১২. পোস্টে আকর্ষণীয় টাইটেল বা শিরোনাম ব্যবহার করাঃ ওয়েবসাইটের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে পোষ্টের আকর্ষণীয় টাইটেল বা শিরোনাম ব্যবহার করা। এতে করে আপনার ওয়েবসাইটের শিরোনামগুলো দেখলেই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবে। এবং আপনার আর্টিকেলগুলো পড়া শুরু করবে। এ কারণে, পোস্টের আকর্ষণীয় টাইটেল বা শিরোনাম ব্যবহার করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এতে করে গুগলে সার্চ করলে সহজেই আপনার কনটেন্ট বা আর্টিকেল ভিজিটরদের সামনে দেখাবে। এতে করে আপনার ভিজিটর বৃদ্ধি পাবে।

১৩. বেশি বেশি গেস্ট পোস্ট করাঃ গেস্ট পোস্ট ওয়েবসাইটের ভিজিটর বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। গেস্ট পোস্ট হলো অন্য কোন ওয়েবসাইটে গিয়ে পোস্ট লিখে দেওয়া। পোস্ট লেখার সময় মাঝেমাঝে আপনার ওয়েবসাইটের কিছু পোস্টের লিংক রেখে আসা। এতে করে ভিজিটর ওই পোস্টে পড়ার সময় আপনার লিংক দেখতে পাবে। এবং সেখান থেকে আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবে। এই ভাবে আপনার ওয়েবসাইটের কিছু ভিজিটর বৃদ্ধি পাবে। এই কারণে বেশি বেশি গেস্ট পোস্ট করা ওয়েবসাইটের জন্য ভালো। এতে করে ভিজিটর আসবেই।

ওয়েবসাইটে অর্গানিক ভিজিটর বাড়ানোর উপায়

ওয়েবসাইটে অর্গানিক ভিজিটর বাড়ানোর জন্য কয়েকটি কার্যকর উপায় রয়েছে। ওয়েবসাইটে অর্গানিক ভিজিটর বলতে বোঝায় সেইসব ভিজিটর, যারা কোনো পেইড অ্যাড ছাড়াই গুগল বা অন্য সার্চ ইঞ্জিন থেকে আপনার সাইটে আসে। এটি সবচেয়ে সাশ্রয়ী এবং দীর্ঘমেয়াদে লাভজনক ট্রাফিক সোর্স। নিচে এমন কিছু প্রমাণিত কৌশল দেওয়া হলো, যা আপনার ওয়েবসাইটে অর্গানিক ভিজিটর বাড়াতে সাহায্য করবেঃ 

১. এসইও-সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশনঃ সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন (এসইও) হলো এমন একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে একটি ওয়েবসাইটকে সার্চ ইঞ্জিনের (যেমন গুগল, বিং, ইয়াহু) সার্চ রেজাল্টে ভালো র‌্যাঙ্কিংয়ে আনা যায়। এর মূল লক্ষ্য হলো ওয়েবসাইটের ভিজিবিলিটি বাড়ানো, যাতে মানুষ যখন নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড বা বিষয়বস্তু সার্চ করে, তখন সেই ওয়েবসাইটটি সবার আগে আসে। সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশনের মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনের (যেমন গুগল, বিং) র‌্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে থাকে। এটি মূলত দুইভাবে কাজ করেঃ

  • ক. অন-পেজ এসইওঃ অন-পেজ এসইও (On-Page SEO) হলো সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশনের একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে একটি ওয়েবসাইটের অভ্যন্তরীণ কনটেন্ট এবং উপাদানগুলোকে অপ্টিমাইজ করা হয়, যাতে সার্চ ইঞ্জিন যেমন গুগল, বিং, বা ইয়াহু সহজে ওয়েবসাইটটি ক্রোল করতে পারে এবং সার্চ রেজাল্টে ভালোভাবে দেখাতে পারে। অন-পেজ SEO হলো এমন কৌশল যা সরাসরি আপনার ওয়েবসাইটের কনটেন্টে ব্যবহার করা হয়। এর মধ্যে আছে সঠিক কিওয়ার্ড নির্বাচন, কন্টেন্টের শিরোনাম, মেটা ডিসক্রিপশন, এবং হেডিংগুলো সঠিকভাবে ব্যবহার করা। 
  • খ. অফ-পেজ এসইওঃ অফ-পেজ SEO হলো এমন কৌশল, যা আপনার ওয়েবসাইটের বাইরে থেকে প্রভাব ফেলে। এটি মূলত ব্যাকলিঙ্কের ওপর ভিত্তি করে। অন্যান্য ওয়েবসাইট থেকে আপনার সাইটে লিঙ্ক দিলে আপনার ওয়েবসাইটের বিশ্বাসযোগ্যতা এবং র‌্যাঙ্কিং বাড়ে। এছাড়া সোশ্যাল সিগন্যাল (যেমন ফেসবুক লাইক, শেয়ার) এবং গেস্ট পোস্টিংও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ প্রক্রিয়ায় আপনার ওয়েবসাইটের প্রতি অন্যান্য প্রভাবশালী ওয়েবসাইট বা সোর্সের সমর্থন বৃদ্ধি করা হয়, যা সার্চ ইঞ্জিনে আপনার ওয়েবসাইটের র‌্যাঙ্কিং উন্নত করতে সহায়তা করে। অফ-পেজ SEO ওয়েবসাইটের সার্বিক সফলতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
২. কি-ওয়ার্ড রিসার্চঃ কি-ওয়ার্ড রিসার্চ হলো সেই প্রক্রিয়া যেখানে আপনি এমন শব্দ বা বাক্যাংশ খুঁজে বের করেন, যা মানুষ ইন্টারনেটে কোনো নির্দিষ্ট তথ্য, পণ্য বা সেবা খুঁজতে ব্যবহার করে। এটি সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের (SEO) একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, যা আপনার ওয়েবসাইট বা কন্টেন্টকে সার্চ ইঞ্জিনের প্রথম দিকে নিয়ে আসতে সহায়তা করে। সঠিক কি-ওয়ার্ড ব্যবহার করলে সার্চ ইঞ্জিনগুলো আপনার ওয়েবসাইট বা কন্টেন্টকে প্রাসঙ্গিক খুঁজে পাবে এবং সেগুলোকে সার্চ রেজাল্টে উপরের দিকে দেখাবে, ফলে বেশি ভিজিটর পাবেন।

কিওয়ার্ড রিসার্স করার জন্য আপনি Google Keyword Planner, Ahrefs, SEMrush, Moz ও Ubersuggest টুলস ব্যবহার করতে পারেন। কি-ওয়ার্ড রিসার্চের সময় প্রতিটি কি-ওয়ার্ডের মাসিক সার্চ ভলিউম দেখুন। উচ্চ সার্চ ভলিউম মানে অনেকেই এটি খুঁজছে, কিন্তু বেশি প্রতিযোগিতা থাকলে আপনার র‌্যাংক করা কঠিন হতে পারে। কম প্রতিযোগিতার কি-ওয়ার্ডগুলো বেছে নিন যেগুলোর সার্চ ভলিউম তুলনামূলকভাবে ভালো। লং-টেইল কি-ওয়ার্ডগুলো সাধারণত তিন বা ততোধিক শব্দ নিয়ে তৈরি হয়। এগুলোতে কম প্রতিযোগিতা থাকে, কিন্তু নির্দিষ্ট অডিয়েন্সের কাছে পৌঁছাতে কার্যকরী। 

৩. টাইটেল ও সাব-টাইটেল অপ্টিমাইজেশনঃ টাইটেল ও সাব-টাইটেল অপ্টিমাইজেশন ভিজিটর বাড়ানোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এগুলো সার্চ ইঞ্জিন এবং ভিজিটরদের নজর কাড়ার প্রধান মাধ্যম। সঠিকভাবে অপ্টিমাইজড টাইটেল এবং সাব-টাইটেল ব্যবহার করলে আপনার ওয়েবসাইট বা কন্টেন্ট সার্চ ইঞ্জিনে উচ্চ র‌্যাংক পেতে পারে এবং ভিজিটরদের আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়। একটি ভালো টাইটেল কেবল সার্চ ইঞ্জিনে র‌্যাংকিং বাড়ায় না, এটি ব্যবহারকারীদেরও আকর্ষণ করে, ফলে আপনার ওয়েবসাইটে আরো ভিজিটর আসার সম্ভাবনা থাকে।

সার্চ ইঞ্জিনগুলো টাইটেল ট্যাগ দেখে নির্ধারণ করে কোন কন্টেন্ট প্রাসঙ্গিক, এবং সেটিকে প্রথম দিকে দেখাবে। যদি টাইটেল এবং সাব-টাইটেলে সঠিক কীওয়ার্ড ব্যবহার করা হয়, তাহলে সার্চ ইঞ্জিনে আপনার পেজ র‍্যাঙ্ক করার সম্ভাবনা বেড়ে যায়, ফলে অর্গানিক ট্র্যাফিক বৃদ্ধি পায়।গুগল সার্চ রেজাল্টে, ব্যবহারকারীরা প্রথমে টাইটেল দেখেন। একটি আকর্ষণীয় টাইটেল ভিজিটরদের ক্লিক করার প্রবণতা বাড়ায়। সাব-টাইটেল বা মেটা ডিসক্রিপশন আরো বিস্তারিত তথ্য দেয়, যা ব্যবহারকারীর আগ্রহ বাড়াতে পারে। ফলে ক্লিক-থ্রু রেট (সিটিআর) বাড়ে, যা আবার সার্চ র‍্যাংকিংয়ে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

৪. মেটা ডেসক্রিপশনঃ মেটা ডেসক্রিপশন হলো একটি সংক্ষিপ্ত সারাংশ, যা আপনার ওয়েবসাইটের পেজের বিষয়বস্তু সম্পর্কে সার্চ ইঞ্জিন রেজাল্ট পেজে (SERP) প্রদর্শিত হয়। যদিও এটি সরাসরি সার্চ ইঞ্জিন র‍্যাঙ্কিংয়ে প্রভাব ফেলে না, তবে ভিজিটরদের ক্লিক করার জন্য এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মেটা ডেসক্রিপশন ব্যবহারকারীদেরকে আপনার পেজে ক্লিক করার আগ্রহ বাড়াতে সাহায্য করে এবং ক্লিক-থ্রু রেট (CTR) উন্নত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

একটি ভালোভাবে লেখা মেটা ডেসক্রিপশন কেবলমাত্র ক্লিক-থ্রু রেট বাড়ায় না, এটি আপনার পেজকে প্রতিযোগীদের থেকে আলাদা করে তুলতে এবং দীর্ঘমেয়াদে ওয়েবসাইটের ট্র্যাফিক বাড়াতে সাহায্য করে। যদি মেটা ডেসক্রিপশনটি প্রাসঙ্গিক এবং আকর্ষণীয় হয়, তাহলে ব্যবহারকারীরা সেটি দেখে আপনার পেজে প্রবেশ করার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। উদাহরণ- এই ব্লগ পোস্টে আমরা ৫টি সহজ উপায়ে ওজন কমানোর সেরা কৌশলগুলো শেয়ার করেছি। জানুন কীভাবে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে দ্রুত ওজন কমাবেন।

৫. হেডিং ট্যাগ অপ্টিমাইজেশনঃ হেডিং ট্যাগ অপ্টিমাইজেশন ভিজিটর বাড়াতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ। এটি কন্টেন্টের গঠন ও প্রাসঙ্গিকতা স্পষ্ট করে তোলে, সার্চ ইঞ্জিনের কাছে আপনার পেজকে আরো গুরুত্বপূর্ণ করে এবং ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উন্নত করে। হেডিং ট্যাগগুলো (H1, H2, H3 ইত্যাদি) কন্টেন্টের জন্য একটি কাঠামো তৈরি করে এবং এটি সার্চ ইঞ্জিন ও ভিজিটর উভয়কেই সাহায্য করে কন্টেন্ট দ্রুত এবং সহজে বুঝতে। এর ফলে ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানো যায় এবং ভিজিটরদের এনগেজমেন্ট বজায় রাখা সহজ হয়। 

সঠিক কিওয়ার্ড-সমৃদ্ধ হেডিং ব্যবহার করলে সার্চ ইঞ্জিন সহজে বুঝতে পারে আপনার পেজটি কোন বিষয়ে এবং সেটিকে প্রাসঙ্গিক সার্চ রেজাল্টে উপরে নিয়ে আসে, যা ভিজিটর বাড়াতে সাহায্য করে। হেডিং ট্যাগ কন্টেন্টকে ভিজিটরদের জন্য সহজপাঠ্য ও সুসংগঠিত করে তোলে। ভিজিটররা পেজে প্রবেশ করার পর দ্রুত হেডিং দেখে কন্টেন্টের মূল পয়েন্টগুলো বুঝতে পারে। আকর্ষণীয় ও স্পষ্ট হেডিং দর্শকদেরকে ক্লিক করতে উত্সাহিত করে, যা আপনার ওয়েবসাইটে অর্গানিক ভিজিটর বাড়ায়।

৬. ইমেজ অপ্টিমাইজেশনঃ ইমেজ অপ্টিমাইজেশন ওয়েবসাইটের গতি বৃদ্ধি করে, সার্চ ইঞ্জিনে দৃশ্যমানতা বাড়ায়, এবং ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উন্নত করে। সঠিকভাবে অপ্টিমাইজ করা ইমেজগুলো ওয়েবসাইটের লোডিং টাইম কমিয়ে এনে বাউন্স রেট কমায় এবং ভিজিটরদের আকৃষ্ট করতে সাহায্য করে। এছাড়া, ইমেজ অপ্টিমাইজেশন এসইও-এর অংশ হিসেবে সার্চ ইঞ্জিনে ইমেজ র‍্যাঙ্কিং বাড়াতে সাহায্য করে, যা অর্গানিক ট্রাফিক বাড়ায়। সঠিকভাবে অপ্টিমাইজ করা ইমেজগুলো শুধু এসইও-তে সহায়তা করে না, বরং ভিজিটর ধরে রাখতে এবং ওয়েবসাইটের সামগ্রিক পারফরম্যান্স বাড়াতে সাহায্য করে।

ওয়েবসাইট যত ধীরে লোড হয়, তত বেশি ভিজিটররা সাইট ত্যাগ করে, যা বাউন্স রেট বাড়ায়। দ্রুত লোডিং ওয়েবসাইট ভিজিটরদের ধরে রাখতে এবং সার্চ ইঞ্জিনের র‌্যাঙ্কিংয়ে উপরে আসতে সাহায্য করে।কোনো ওয়েবসাইটের লোডিং টাইম যদি ৩ সেকেন্ডের বেশি হয়, তবে ৫৩ শতাংশ ভিজিটর ওয়েবসাইট ত্যাগ করে। সঠিকভাবে ইমেজ অপ্টিমাইজ করলে এই সমস্যা এড়ানো যায়। ইমেজ ফাইল নাম এবং Alt টেক্সটে প্রাসঙ্গিক কিওয়ার্ড ব্যবহার করলে ইমেজ সার্চ রেজাল্টেও আপনার পেজ উপরে আসবে, যা অর্গানিক ট্রাফিক বাড়াতে সাহায্য করে।

৭. অল্টার টেক্সট অপ্টিমাইজেশনঃ অল্টার টেক্সট অপ্টিমাইজেশন ভিজিটর বাড়ানোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি ইমেজের বিষয়বস্তু ও উদ্দেশ্য বোঝাতে সহায়তা করে। এটি ব্যবহারকারীদের জন্য একটি সহজলভ্য অভিজ্ঞতা তৈরি করে, সার্চ ইঞ্জিনের জন্য ইমেজ র‍্যাঙ্কিং উন্নত করে এবং অর্গানিক ট্রাফিক বাড়াতে সহায়তা করে। সঠিকভাবে অল্টার টেক্সট ব্যবহার করলে সার্চ ইঞ্জিনে দৃশ্যমানতা বাড়ানো সম্ভব এবং ভিজিটর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। সার্চ ইঞ্জিন গুগল ইমেজের বিষয়বস্তু বুঝতে অল্টার টেক্সট ব্যবহার করে, যা ইমেজকে র‍্যাঙ্ক করতে সহায়তা করে।

প্রসঙ্গিক এবং কিওয়ার্ড-সমৃদ্ধ অল্টার টেক্সট ব্যবহার করলে আপনার পেজ সার্চ রেজাল্টে আরো উচ্চস্থান পেতে পারে, যা ভিজিটর সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করে। অল্টার টেক্সট বিশেষত তখন জরুরি যখন একটি ইমেজ লোড না হয়। এটি ভিজিটরদের ইমেজের বিষয়বস্তু সম্পর্কে একটি স্পষ্ট ধারণা দেয়। এছাড়া সার্চ ইঞ্জিন অল্টার টেক্সটকে একটি সিগন্যাল হিসেবে দেখে, যা বোঝায় যে পেজের বিষয়বস্তু কি এবং এটি কতটা প্রাসঙ্গিক। প্রাসঙ্গিক অল্টার টেক্সট সার্চ ইঞ্জিনের কাছে পেজের গুণগত মান বাড়ায় এবং ভিজিটর সংখ্যা বাড়াতে সহায়ক হতে পারে।

৮. ইন্টারনাল লিংকঃ ইন্টারনাল লিংক ভিজিটর বাড়ানোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি ওয়েবসাইটের মধ্যে ভেতরের পেজগুলোকে যুক্ত করার একটি পদ্ধতি, যা ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উন্নত করে, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) বাড়ায় এবং ভিজিটরদের ওয়েবসাইটে বেশি সময় কাটাতে সহায়তা করে। এটি ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উন্নত করে, এসইও বৃদ্ধি করে, বাউন্স রেট কমায় এবং ওয়েবসাইটে এনগেজমেন্ট বাড়াতে সহায়তা করে। নতুন কন্টেন্ট তৈরি করার পর ইন্টারনাল লিংকের মাধ্যমে আপনি পুরনো পেজগুলোর সঙ্গে যুক্ত করতে পারেন। এটি নতুন পেজগুলোকে দ্রুত সার্চ ইঞ্জিনে ক্রল করাতে সাহায্য করে এবং তাদের র‍্যাঙ্কিংয়ে উন্নতি ঘটায়।

৯. এক্সটার্নাল লিংকঃ এক্সটার্নাল লিংক বা বাহ্যিক লিংকগুলি অন্য ওয়েবসাইটের সঙ্গে আপনার ওয়েবসাইটের পেজগুলোর সংযোগ স্থাপন করে, যা ভিজিটর বাড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এক্সটার্নাল লিংক ভিজিটরদেরকে আরো গভীর ও বিশদ তথ্য প্রদান করে, কনটেন্টের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ায় এবং সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (SEO)-এর ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। এক্সটার্নাল লিংক ভিজিটর বাড়ানোর জন্য অত্যন্ত কার্যকর একটি উপায়। এটি কনটেন্টের বিশ্বাসযোগ্যতা ও গভীরতা বৃদ্ধি করে, SEO উন্নত করে এবং প্রাসঙ্গিক তথ্য উৎসে ভিজিটরদের পরিচালিত করে।

যখন আপনি মানসম্মত ও প্রাসঙ্গিক ওয়েবসাইটগুলোর সাথে লিঙ্ক করেন, সার্চ ইঞ্জিনগুলো ধরে নেয় যে আপনার কনটেন্ট ভালো মানের এবং গবেষণাভিত্তিক। সার্চ ইঞ্জিন এক্সটার্নাল লিংককে কন্টেন্টের প্রাসঙ্গিকতা ও গভীরতার নির্দেশক হিসেবে দেখে, যা সার্চ র‍্যাঙ্কিং উন্নত করতে সহায়ক। এটি ভিজিটরদের তাদের প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে সাহায্য করে এবং তাদের কাছে আপনার ওয়েবসাইটকে একটি মূল্যবান তথ্যের উৎস হিসেবে তুলে ধরে। ফলে, ভিজিটররা আপনার সাইটে থেকে আরও বেশি সময় কাটায় এবং পুনরায় ফিরে আসার সম্ভাবনা বাড়ে। 

১০. অ্যাংকর ট্যাগ অপ্টিমাইজেশনঃ অ্যাংকর ট্যাগ অপ্টিমাইজেশন ভিজিটর বাড়ানোর জন্য একটি অত্যন্ত কার্যকর পদ্ধতি। অ্যাংকর ট্যাগ মূলত হাইপারলিঙ্কের টেক্সট, যা ব্যবহারকারীদেরকে অন্য একটি পেজ বা ওয়েবসাইটে নিয়ে যায়। এটি কনটেন্টের প্রাসঙ্গিকতা, ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা, এবং সার্চ ইঞ্জিন র‍্যাঙ্কিং উন্নত করতে সাহায্য করে। অ্যাংকর ট্যাগ অপ্টিমাইজেশন ভিজিটর বাড়ানোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। এটি ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উন্নত করে, SEO বৃদ্ধি করে, বাউন্স রেট কমায় এবং ক্লিক-থ্রু রেট বাড়াতে সহায়তা করে।

সঠিকভাবে অপ্টিমাইজ করা অ্যাংকর ট্যাগ ভিজিটরদেরকে ওয়েবসাইটে ধরে রাখতে এবং বিভিন্ন পেজে নেভিগেট করতে উৎসাহিত করে, যা ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বাড়াতে সহায়ক হয়। সার্চ ইঞ্জিন বটগুলো অ্যাংকর ট্যাগের মাধ্যমে পেজের বিষয়বস্তু বোঝে এবং সেই অনুযায়ী পেজ র‍্যাঙ্কিং নির্ধারণ করে। প্রাসঙ্গিক এবং কীওয়ার্ড সমৃদ্ধ অ্যাংকর ট্যাগ ব্যবহার করলে সার্চ ইঞ্জিনের কাছে পেজটির প্রাসঙ্গিকতা বৃদ্ধি পায়, যা সার্চ র‍্যাঙ্কিং উন্নত করে এবং আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটরের সংখ্যা বাড়ায়। 

১১. কি-ওয়ার্ড ডেনসিটিঃ কি-ওয়ার্ড ডেনসিটি বলতে বোঝায়, একটি ওয়েব পেজে মোট শব্দের তুলনায় নির্দিষ্ট কীওয়ার্ড কতবার ব্যবহার করা হয়েছে, অর্থাৎ কোনো নির্দিষ্ট কীওয়ার্ডের ঘনত্ব। এটি সাধারণত শতাংশে প্রকাশ করা হয়। উদাহরণস্বরূপ-যদি ১০০ শব্দের কন্টেন্টে একটি নির্দিষ্ট কীওয়ার্ড ৫ বার ব্যবহৃত হয়, তাহলে সেই কীওয়ার্ড ডেনসিটি হবে ৫ শতাংশ। তবে, অতিরিক্ত কীওয়ার্ড ব্যবহার করলে, অর্থাৎ কীওয়ার্ড স্টাফিং হলে, সেটি স্প্যাম হিসেবে গণ্য হতে পারে এবং সার্চ ইঞ্জিন পেনাল্টি দিতে পারে।
তাই সঠিক ব্যালান্স বজায় রাখা জরুরি। 

সঠিক কীওয়ার্ড ডেনসিটি সার্চ ইঞ্জিনকে জানাতে সাহায্য করে যে, আপনার কন্টেন্ট কোন বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিন আপনার পেজকে প্রাসঙ্গিক সার্চের জন্য র‌্যাঙ্ক করতে পারে, ফলে অর্গানিক ভিজিটর বাড়ে। যদি আপনার কন্টেন্টে কীওয়ার্ডগুলি প্রাসঙ্গিক এবং সঠিক ডেনসিটিতে থাকে, তাহলে সার্চ ইঞ্জিন বুঝবে যে আপনার কন্টেন্ট ব্যবহারকারীর সার্চের সঙ্গে মিলছে। এটি সার্চ ইঞ্জিনের র‌্যাঙ্কিং অ্যালগরিদমে পজিটিভ প্রভাব ফেলে এবং আপনার পেজকে সার্চ রেজাল্টে উপরের দিকে দেখানো হতে পারে। যা আপনার ওয়েবসাইটে ভিজিটর সংখ্যা বাড়াতে সহায়ক।

১২. ইউআরএল অপ্টিমাইজেশন বা পার্মালিংকঃ ইউআরএল অপ্টিমাইজেশন বা পার্মালিংক হলো একটি ওয়েবসাইটের প্রতিটি পেজ বা পোস্টের জন্য নির্দিষ্ট এবং স্থায়ী URL বা লিংক। এটি এমনভাবে তৈরি করা হয় যাতে লিংকটি সংক্ষিপ্ত, অর্থবোধক, এবং সার্চ ইঞ্জিনের জন্য সহজে পড়া যায়। সাধারণত, পার্মালিংক একটি ওয়েবসাইটের ঠিকানা ও নির্দিষ্ট পেজের বিষয়বস্তুর উপর ভিত্তি করে গঠন করা হয়। ইউআরএল অপ্টিমাইজেশন বা পার্মালিংক এসইও এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং এটি ভিজিটর বাড়াতে সরাসরি প্রভাব ফেলে।

পরিষ্কার, কীওয়ার্ড সমৃদ্ধ এবং সংক্ষিপ্ত ইউআরএল ব্যবহার করলে সার্চ ইঞ্জিনের র‌্যাঙ্কিং উন্নত হয় এবং ব্যবহারকারীরাও সহজে আপনার পেজে পৌঁছাতে পারে। সার্চ ইঞ্জিন যেমন Google সহজে অপ্টিমাইজড URL পড়তে পারে এবং এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট সম্পর্কে ধারণা নিতে পারে। যদি URL গঠন প্রাসঙ্গিক কীওয়ার্ডের মাধ্যমে করা হয়, তাহলে সার্চ ইঞ্জিন পেজটিকে প্রাসঙ্গিক সার্চ রেজাল্টে বেশি গুরুত্ব দেবে, ফলে বেশি ভিজিটর আসবে।

১৩. ওয়েবসাইটের স্পিড অপ্টিমাইজেশনঃ ওয়েবসাইটের স্পিড অপ্টিমাইজেশন হলো এমন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে ওয়েবসাইটের লোডিং টাইম কমানোর চেষ্টা করা হয়, যাতে ব্যবহারকারীরা দ্রুত ও সহজে ওয়েবসাইটটি দেখতে পারেন। এর মাধ্যমে ওয়েবসাইটের কার্যক্ষমতা এবং ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতা উন্নত হয়। সাইটের স্পিড যত ভালো হবে, তত দ্রুত পেজ লোড হবে, যা ব্যবহারকারীদের আকর্ষণ ধরে রাখতে সাহায্য করে। ওয়েবসাইটের গতি ভিজিটরদের অভিজ্ঞতার উপর বড় প্রভাব ফেলে। 

কারণ হলো, ধীরগতির সাইট ব্যবহারকারীদের বিরক্ত করে এবং তারা দ্রুত সাইট ত্যাগ করতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে যে, যদি একটি সাইট ৩ সেকেন্ডের বেশি সময় নেয় লোড হতে, ৫৩ শতাংশ ভিজিটর সাইট ছেড়ে চলে যায়। এছাড়া গুগল সহ অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনগুলি দ্রুত লোড হওয়া ওয়েবসাইটগুলিকে বেশি প্রাধান্য দেয়। ওয়েবসাইটের স্পিড অপ্টিমাইজেশন করলে সার্চ র‍্যাংকিং উন্নত হয় এবং অর্গানিক ট্রাফিক বাড়ে। 

ওয়েবসাইটে ভিজিটর ধরে রাখার উপায়

ওয়েবসাইটে ভিজিটর ধরে রাখার উপায় সম্পর্কে জানতে হবে। তা না হলে ভিজিটর আসবে কিন্তু ওয়েবসাইট থেকে আবার বের হয়ে যাবে। ওয়েবসাইটে ভিজিটর ধরে রাখার জন্য কেবল ভিজিটরের সংখ্যা বাড়ানোই যথেষ্ট নয়, বরং তাদেরকে বেশি সময় ওয়েবসাইটে রাখাই সফলতার অন্যতম প্রধান উপাদান। এজন্য প্রয়োজন সঠিক কৌশল ও ব্যবহারকারী অভিজ্ঞতার উন্নয়ন। নিচে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হলো কীভাবে ওয়েবসাইটে ভিজিটর ধরে রাখা যায়ঃ

১. লোডিং স্পিডঃ প্রথমেই, ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড খুব গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান যুগে মানুষ দ্রুতগতির তথ্য চায়। যদি ওয়েবসাইট লোড হতে বেশি সময় নেয়, তবে ব্যবহারকারী অন্য সাইটে চলে যাবে। এজন্য ইমেজ কমপ্রেশন, ক্যাশিং এবং ভালো হোস্টিং ব্যবহার করতে হবে যাতে সাইট দ্রুত লোড হয়। ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড অর্থাৎ কত দ্রুত একটি ওয়েব পেজ ব্রাউজারে পুরোপুরি লোড হয়, সেটি ভিজিটর ধরে রাখার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। একজন ব্যবহারকারী সাধারণত ৩ সেকেন্ডের বেশি অপেক্ষা করতে চায় না। যদি আপনার সাইট লোড হতে দেরি করে, তবে সে আরেকটি সাইটে চলে যেতে পারে, এতে বাউন্স রেট বাড়ে, আর SEO র‍্যাংকিং কমে।

২. ইউনিক কনটেন্ট পোস্ট করাঃ ওয়েবসাইটে ভিজিটর ধরে রাখার জন্য অবশ্যই ওয়েবসাইটে থাকা কনটেন্ট হতে হবে মানসম্পন্ন ও প্রাসঙ্গিক। কারণ পোষ্টের মধ্যে যদি কোন তথ্য না থাকে তাহলে ভিজিটর সেই পোস্ট পড়বে না। একজন ভিজিটর যখন কোনো নির্দিষ্ট সমস্যার সমাধান খুঁজতে ওয়েবসাইটে আসে, তখন সে চায় পরিষ্কার ও নির্ভরযোগ্য তথ্য। এই কারণে অনেক তথ্য দিয়ে আর্টিকেল লিখতে হবে। এবং ভিজিটর পোস্টটি পড়ে যেন খুব সহজেই বুঝতে পারে। সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। এইভাবে কনটিন লিখে পোস্ট করলে ভিজিটরেরা ওয়েবসাইটে থাকবে। ডিজিটাল ধরে রাখার প্রথম শর্তেই হলো ইউনিক কনটেন্ট। যদি কনটেন্ট ইউনিক, ইনফরমেটিভ এবং পাঠকের জন্য উপযোগী হয়, তাহলে সে আরও কিছু পড়তে আগ্রহী হয় এবং সাইটে বেশি সময় কাটায়।

৩. ইউজার ইন্টারফেস (UI) এবং নেভিগেশন ব্যবস্থাঃ একটি ভালো ইউজার ইন্টারফেস (UI) এবং নেভিগেশন ব্যবস্থা ভিজিটর ধরে রাখার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। ওয়েবসাইটের ডিজাইন অবশ্যই ইউজার ফ্রেন্ডলি হতে হবে। একটি ওয়েবসাইটের ইউজার ইন্টারফেস (UI) এবং নেভিগেশন ব্যবস্থা ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতার ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। যদি একটি ওয়েবসাইট দেখতে জটিল, এলোমেলো অথবা ব্যবহার করতে অসুবিধাজনক হয়, তাহলে একজন ভিজিটর খুব দ্রুত তা ছেড়ে চলে যায়। মোবাইল ফ্রেন্ডলি ডিজাইন থাকা উচিত, কারণ অধিকাংশ ভিজিটর এখন মোবাইল থেকেই ওয়েবসাইট ব্রাউজ করে। সহজ নেভিগেশন, ক্লিয়ার মেনু ও ক্যাটাগরি ব্যবস্থা থাকলে ব্যবহারকারী দ্রুত তার প্রয়োজনীয় তথ্য পায়। তাই ওয়েবসাইটে ভিজিটর ধরে রাখার জন্য সহজ, সুন্দর ও সংগঠিত UI ও নেভিগেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

৪. ইন্টারনাল লিংক যুক্ত করাঃ ইন্টারনাল লিংক অর্থাৎ কনটেন্টের মধ্যে অন্য আর্টিকেলের লিংক সংযুক্ত করলে ভিজিটর বেশি সময় ওয়েবসাইটে থাকে। সহজ ভাষায়, আপনার নিজের ওয়েবসাইটের এক পেজ থেকে আরেক পেজে পাঠককে পাঠানোর ব্যবস্থা। ধরুন, আপনি একটি ব্লগে “ফল খাওয়ার উপকারিতা” লিখেছেন, সেখানে “আম খাওয়ার উপকারিতা” নামের একটি পেজের লিংক দিলে ভিজিটর সেটিও পড়তে আগ্রহী হবে। এভাবে পেজভিউ ও সময় বাড়বে। যখন পাঠক একটি পেজ থেকে অন্য আরেকটি রিলেটেড কনটেন্টে যায়, তখন সে দীর্ঘ সময় ওয়েবসাইটে থাকে। এতে বাউন্স রেট কমে এবং Engagement বাড়ে। Internal linking এর মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিন বুঝতে পারে কোন কোন পেজ বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং কিভাবে কনটেন্টগুলো একে অপরের সাথে সম্পর্কিত। এতে করে Google-এর ক্রল বট আপনার সব পেজ ভালোভাবে ইনডেক্স করতে পারে।

৫. কি-ওয়ার্ড বাছাই করাঃ ওয়েবসাইটে পোস্ট করার সময় সর্বপ্রথম কি-ওয়ার্ড বাছাই করতে হয়। কি-ওয়ার্ড বাছাই করার সময় অবশ্যই ইউনিক হতে হবে। এবং ভিজিটররা যেন খুব সহজেই তা বুঝতে পারে। এতে করে খুব সহজেই ওয়েবসাইটের রেংক বৃদ্ধি পায়। এবং ভিজিটর ধরে রাখা সম্ভব হয়।ওয়েবসাইট বা ব্লগের জন্য কীওয়ার্ড নির্বাচন হলো SEO-এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপগুলোর একটি। সঠিক কীওয়ার্ড বেছে নিতে পারলে আপনার কনটেন্ট সহজেই গুগলে র‍্যাংক করবে এবং বেশি ভিজিটর পাবে। কীওয়ার্ড হলো সেই শব্দ বা বাক্যাংশ যা মানুষ গুগলে সার্চ করে। আপনি যেই বিষয় নিয়ে কনটেন্ট লিখছেন, সেখানে এমন শব্দ ব্যবহার করলে গুগল বুঝতে পারে যে আপনার কনটেন্ট সার্চারদের জন্য প্রাসঙ্গিক। উদাহরণ: কোনো ব্যক্তি গুগলে লিখছে — ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুল পড়া বন্ধ করার উপায়।

৬. কল টু একশন বাটন যুক্ত করাঃ ভিজিটরের দৃষ্টি আকর্ষণে Call to Action (CTA) ব্যবহার করতে হবে। Call to Action (CTA) বাটন হলো একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগে এমন একটি বোতাম বা লিংক, যা ভিজিটরকে নির্দিষ্ট কোনো কাজ করতে উৎসাহিত করে যেমন- আরও পড়ুন, এখনই সাবস্ক্রাইব করুন, বা এই পোস্টটিও পড়ুন ইত্যাদি বোতাম ভিজিটরকে গাইড করে। এতে তারা ওয়েবসাইটে আরও ঘুরে বেড়ায়। একটি ওয়েবসাইটে CTA বাটন না থাকলে ভিজিটর জানেই না পরবর্তী ধাপে কী করা উচিত। তাই প্রতিটি প্রোডাক্ট, সার্ভিস বা পোস্টে কার্যকর একটি Call to Action বাটন থাকা উচিত।

৭. ওয়েবসাইটে কমেন্ট বক্স রাখাঃ ওয়েবসাইটে অবশ্যই কমেন্ট বক্স রাখতে হবে। ওয়েবসাইটে ভিজিটর ধরে রাখতে কমেন্ট বক্স রাখা একদম কার্যকর কৌশল। কমেন্ট বক্স হলো ওয়েবসাইটের এমন একটি অংশ, যেখানে ভিজিটররা পোস্ট বা কনটেন্ট সম্পর্কে কোন ধরনের সমস্যা থাকলে সেখানে মতামত, প্রশ্ন, বা প্রতিক্রিয়া জানাতে পারেন। এতে করে ভিজিটর সাথে ভালো সম্পর্ক হয়। এবং ভিজিটরের চাহিদা অনুযায়ী পোস্ট করা যায়। এতে করে কিছু ভিজিটর রেগুলার হয়ে যায়। ভিজিটররা যখন তাদের মতামত বা প্রশ্ন লিখতে পারে, তখন তারা কেবল তথ্য গ্রহণ করেন না, অংশগ্রহণও করেন। এতে তাদের ওয়েবসাইটে থাকার সময় বাড়ে। এটি ওয়েবসাইটের ইউজার এনগেজমেন্ট বাড়াতে খুব কার্যকর।

গুগল ট্রেন্ডিং টপিক সম্পর্কে কীভাবে জানবেন

গুগল ট্রেন্ডিং টপিক সম্পর্কে কীভাবে জানবেন তা অনেকেই জানেন না। Google Trends ব্যবহার করে আপনি সহজেই জানতে পারবেন কোন টপিক বা কীওয়ার্ড বর্তমানে কতটা জনপ্রিয়। এটি নিয়মিত ব্যবহার করলে আপনি সময়ের সঙ্গে কনটেন্টের গুণগত মান ও ভিজিটর বাড়াতে পারবেন। ইন্টারনেটের বিশাল জগতে সময়ের সঙ্গে মানুষের আগ্রহ বদলায়। তাই আপনার ওয়েবসাইট, ব্লগ, বা সোশ্যাল মিডিয়া কনটেন্ট তৈরি করার সময় ট্রেন্ডিং টপিক জানা খুব জরুরি।

Google Trends হলো গুগলের একটি ফ্রি টুল, যেখানে আপনি দেখতে পাবেন কোন কীওয়ার্ড বা বিষয় বর্তমানে কতটা জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। এটি সময়ের ভিত্তিতে সার্চ ডেটার তুলনা করে ট্রেন্ডিং টপিক ও সার্চের বৃদ্ধির গতি দেখায়। এখান থেকে যেকোনো সাইড সম্বন্ধে বিস্তারিত তথ্য জানা যায়। মূলত কোন কিওয়ার্ড কতবার গুগলে ব্যবহার করা হয়েছে এই সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কতবার কিওয়ার্ড সার্চ করা হয়েছে, গুগল ট্রেন্ডিং থেকে জানা যায়। কারণ, নতুন ওয়েবসাইট খুললে গুগল ট্রেন্ডিং টপিক সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। তাহলে নতুন ওয়েবসাইট র‍্যাঙ্ক করানো সম্ভব হবে।

গুগল ট্রেন্ডস থেকে ট্রেন্ডিং টপিক জানার ধাপসমূহঃ প্রথমে https://trends.google.com/ এ যান। এখানে আপনি সহজেই যেকোনো টপিকের ট্রেন্ড দেখতে পারবেন। আপনি যদি বাংলাদেশের ট্রেন্ড দেখতে চান, তাহলে দেশের তালিকা থেকে Bangladesh নির্বাচন করুন। আপনার কাঙ্ক্ষিত লোকেশন না থাকলেও গ্লোবাল ট্রেন্ড দেখতে পারবেন। হোমপেজে “Trending Searches” বা “Realtime Search Trends” অপশন থাকবে। এখানে বিভিন্ন ক্যাটেগরির ট্রেন্ডিং টপিক দেখা যায়, যেমন:

  • দৈনিক জনপ্রিয় সার্চ
  • সাপ্তাহিক ট্রেন্ডিং
  • বা বিশেষ ইভেন্ট ভিত্তিক
আপনি যদি কোন নির্দিষ্ট বিষয় বা কীওয়ার্ড সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে সার্চ বারে তা লিখে সার্চ দিন। Google Trends সেই টপিকের জনপ্রিয়তা, সময় অনুযায়ী ওঠানামা, ও বিভিন্ন লোকেশনে জনপ্রিয়তা দেখাবে। Google Trends-এ একসাথে বেশ কয়েকটি কীওয়ার্ড লিখে তুলনা করতে পারেন। এতে আপনি বুঝতে পারবেন কোন কীওয়ার্ড বেশি জনপ্রিয় বা কোনটা ক্রমশ বাড়ছে। আপনি দেখতে পারেন গত ১ ঘণ্টা, ১ দিন, ৭ দিন, ১ মাস, বা ৫ বছর ধরে কী ট্রেন্ডিং ছিল। নতুন ট্রেন্ড খুঁজে পেতে ছোট সময়সীমা (যেমন ২৪ ঘণ্টা) বেছে নিতে পারেন।

বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন ও উত্তর সমূহ

নতুন ওয়েবসাইটে ভিজিটর বা ট্রাফিক বাড়ানোর উপায় নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন। নতুন ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বাড়ানো সময়সাপেক্ষ হলেও সঠিক কৌশল অনুসরণ করলে এটি সম্ভব। নিয়মিত কাজ, ধৈর্য এবং কনটেন্টই সফলতার চাবিকাঠি। নিচে এই বিষয়টি নিয়ে বহুল জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ) ও তাদের উত্তর দেওয়া হলো, যা নতুন ওয়েবসাইটের মালিকদের জন্য খুবই সহায়ক হতে পারে।

১. প্রশ্নঃ SEO কি এবং কিভাবে এটি ট্রাফিক বাড়াতে সাহায্য করে?

উত্তরঃ SEO (Search Engine Optimization) মানে গুগলের মতো সার্চ ইঞ্জিনে আপনার ওয়েবসাইটকে এমনভাবে তৈরি করা যেন ব্যবহারকারীরা সহজে খুঁজে পায়। সঠিক কীওয়ার্ড, গঠনমূলক কনটেন্ট, মোবাইল ফ্রেন্ডলি ডিজাইন ও লোডিং স্পিড SEO উন্নত করে এবং গুগলে র‍্যাংক বাড়ায়।

২. প্রশ্নঃ ওয়েবসাইটের ট্রাফিক কিভাবে দেখবো?

উত্তরঃ ওয়েবসাইটের ট্রাফিক দেখার জন্য আপনি গুগল অ্যানালিটিক্স বা অন্য কোনো ওয়েবসাইট বিশ্লেষণ টুল ব্যবহার করতে পারেন। এটি আপনাকে আপনার সাইটের ভিজিটর সংখ্যা, তাদের আচরণ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করবে।

৩. প্রশ্নঃ ব্লগে ট্রাফিক পেতে কতদিন লাগে?

উত্তরঃ ব্লগে ট্রাফিক পেতে সাধারণত ৩ থেকে ৬ মাস সময় লাগে ভালো ট্রাফিক আসতে, তবে এটি নির্ভর করে আপনার কনটেন্টের গুণমান, SEO প্রচেষ্টা, এবং মার্কেটিং কৌশলের উপর। ধারাবাহিক প্রচেষ্টা এবং সঠিক স্ট্রাটেজি প্রয়োগ করলে দ্রুত ফলাফল পাওয়া সম্ভব।

৪. প্রশ্নঃ সোশ্যাল মিডিয়া থেকে কীভাবে ট্রাফিক আনা যায়?

উত্তরঃ সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত কনটেন্ট শেয়ার করুন। আকর্ষণীয় ক্যাপশন, হ্যাশট্যাগ ও ভিজ্যুয়াল ব্যবহার করুন। ফেসবুক গ্রুপে সক্রিয় থাকুন, Reels বা Short ভিডিও তৈরি করুন, আর নিজের ওয়েবসাইটের লিংক যুক্ত করুন।

৫. প্রশ্নঃ কন্টেন্ট মার্কেটিং কি এবং তা কিভাবে কাজ করে?

উত্তরঃ কন্টেন্ট মার্কেটিং হলো আপনার টার্গেট দর্শকের জন্য মূল্যবান তথ্য বা বিনোদনমূলক কনটেন্ট তৈরি করা। এটি ব্যবহারকারীর আস্থা অর্জন করে এবং তাদের ওয়েবসাইটে আসতে উৎসাহিত করে।

শেষ কথাঃ নতুন ওয়েবসাইটে ভিজিটর বা ট্রাফিক বাড়ানোর উপায়

নতুন ওয়েবসাইটে ভিজিটর বা ট্রাফিক বাড়ানোর উপায় সহজ কাজ নয়, তবে সঠিক কৌশল অবলম্বন করলে এটি সম্ভব। লেখক হিসেবে আমি মনে করি, ওয়েবসাইটে ট্রাফিক আনার প্রথম ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপায় হচ্ছে মানসম্মত কনটেন্ট তৈরি। মানুষ যা জানতে চায়, তাদের সমস্যার সমাধান দিতে পারে এমন তথ্যভিত্তিক লেখা বেশি জনপ্রিয় হয়। সঠিক কীওয়ার্ড বাছাই করে SEO-বান্ধবভাবে কনটেন্ট তৈরি করলে তা গুগলে র‍্যাংক পায় এবং সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অর্গানিক ভিজিটর বাড়ে।

নতুনদের জন্য আমি বিশেষভাবে বলব, ওয়েবসাইটের লোডিং স্পিড এবং মোবাইল ফ্রেন্ডলি ডিজাইন নিশ্চিত করা জরুরি, কারণ এগুলো ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতার উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। এছাড়া, সোশ্যাল মিডিয়ায় কনটেন্ট শেয়ার করা, ফোরাম বা গ্রুপে অ্যাক্টিভ থাকা এবং Google Search Console ও Analytics ব্যবহার করে ট্রাফিক বিশ্লেষণ করাও ভিজিটর বাড়ানোর কার্যকর উপায়। আমার অভিজ্ঞতায় দেখেছি, যে ওয়েবসাইট নিয়মিত আপডেট হয় এবং পাঠকের সঙ্গে যুক্ত থাকে, সেটিতেই ভিজিটর ধরে রাখা ও বাড়ানো সহজ হয়।

সবশেষে বলব, বর্তমান সময়ে ওয়েবসাইট খুলে ব্লগিং করে টাকা আয় করা যায়। যার কারণে অনেকেই নতুন ওয়েবসাইট খুলছে। তবে নতুন ওয়েবসাইটে ভিজিটর বাড়ানোর উপায় অনেকেই জানে না। নতুন ওয়েবসাইটে ভিজিটর আনতে হলে ধৈর্য ও ধারাবাহিকতা অপরিহার্য। কনটেন্ট, মার্কেটিং এবং বিশ্লেষণ – এই তিনটি দিক ঠিকভাবে মেনে চললে ধীরে ধীরে সাফল্য আসবেই। আশা করছি, নতুন ওয়েবসাইটে ভিজিটর বা ট্রাফিক বাড়ানোর উপায় কি তা জানতে পেরেছেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বিডি টেকল্যান্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url