রুপচর্চায় কাঁচা হলুদের ফেসপ্যাক
মুখের নিষ্প্রাণ বিবর্ণভাব কাটিয়ে সতেজ উজ্জ্বলতা এনে দিতে, মুখের কালো
দাগছোপ হালকা করতে, ব্রণ-ফুসকুড়ি নির্মূল করার কাজে বা মুখের যে কোনো
প্রদাহ কমাতে হলুদের ব্যবহার প্রাচীন কাল থেকে। হলুদের অ্যান্টি-সেপটিক,
অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান ত্বকের বিভিন্ন
ইনফেকশন দূর করে। এছাড়া এর প্রাকৃতিক উপাদান ত্বককে ভিতর থেকে উজ্জ্বল
করে থাকে। আসুন আজ হলুদের কিছু কার্যকরী ফেসপ্যাকের সাথে পরিচিত হওয়া
যাক।
১. কাঁচা হলুদ, মধু এবং দুধের প্যাকঃ ১-৪ চা চামচ হলুদের গুঁড়ো, এক চা
চমচ মধু, এবং এক চা চামচ কাঁচা দুধ মিশিয়ে ফেসপ্যাক তৈরি করুন। এই
প্যাকটি ত্বকে ব্যবহার করুন। প্যাকটি ব্যবহারের আগে ত্বক ক্লেনজার দিয়ে
পরিষ্কার করে নিন। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এরপর
হলুদের প্যাক-টি ত্বকে ব্যবহার করুন। ১০-১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। প্যাক
শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
প্রতি সপ্তাহে একবার প্যাক-টি ব্যবহার করুন। মধু ত্বক হাইড্রেট করে নরম ও
কোমল করে তোলে। এর অ্যান্টি-সেপটিক এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান
ত্বকের ব্যাকটেরিয়া দূর করে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা হ্রাস করে। দুধে প্রচুর
পরিমাণ মিনারেল এবং ভিটামিন রয়েছে যা ত্বকের মৃত কোষ দূর করে ত্বক কোমল
করে থাকে। এছাড়া ত্বকের রিংকেল এবং মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে।
২. কাঁচা হলুদ, অ্যালোভেরা ও মধুর ফেসপ্যাকঃ একটি বাটিতে
কাঁচা হলুদের পেস্ট ১ চা চামচ, অ্যালোভেরা জেল ১ চা চামচ ও মধু ১/২ চা
চামচ পরিমাণে নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। এবার এটি
ত্বকে ১০ মিনিট রেখে, ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই ফেসপ্যাক
ব্যবহারে আপনার ত্বকর ব্রণ ও র্যাশ কমবে, উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পাবে ও
ত্বক থাকবে সতেজ।
৩. কাঁচা হলুদ, অ্যাভোকাডো এবং টকদইঃ ১/৪
চা চামচ হলুদের গুঁড়ো, এক টেবিল চামচ অ্যাভোকাডার পেস্ট এবং এক চা চামচ
টকদই একসাথে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। প্যাকটি ত্বকে ব্যবহার করুন। ১০
মিনিট পর শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। অ্যাভকোডার
ভিটামিন-ই, ন্যাচারাল অয়েল এবং ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বক হাইড্রেট করে। এর
অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি এবং অ্যান্টি-এজিং উপাদান ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে
সাহায্য করে।
৪. কাঁচা হলুদ, দুধ ও বেসনের ফেসপ্যাকঃ এই ফেসপ্যাকটি যেকোনো
অকেসন কিংবা ইভেন্টে অংশ নেওয়ার আগে ব্যবহার করলে ত্বকে আসবে
ইনস্ট্যান্ট উজ্জ্বলতা। এটা তৈরি করতে আমাদের লাগবে কাঁচা হলুদের পেস্ট ১
চা চামচ,বেসন – ১ চা চামচ ও কাঁচা দুধ পরিমাণমতো। এবার সবগুলো উপাদান
একসাথে মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। ফেসপ্যাকটি ফুল ফেইসে লাগিয়ে ১৫
মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
৫. কাঁচা হলুদ, লেবুর রস এবং মধুঃ লেবুর
রস ত্বকের কালো দাগ, ব্রণের দাগ দূর করতে সাহায্য করে। ত্বকের লোমকূপ
সংকুচিত করে থাকে। মধু প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার। শুধু তাই নয় মধু ব্রণ
হওয়ার প্রবণতা রোধ করে। ১/৪ চা চামচ হলুদের গুঁড়ো, ১/২ চা চামচ লেবুর রস
এবং ১ টেবিল চামচ মধু একসাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এই প্যাকটি
ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ১০ মিনিট। শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে
ফেলুন। এই প্যাকটি সপ্তাহে একবার ব্যবহার করুন। নিয়মিত ব্যবহারে এটি
ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করবে।
৬. কাঁচা হলুদ, বেসন এবং গোলাপ জলের প্যাকঃ বেসন ত্বকের অতিরিক্ত তেল
শুষে নিয়ে ত্বককে রাখে ব্যাকটেরিয়ামুক্ত এবং ব্রণ হওয়ার প্রবণতা হ্রাস
করে। এছাড়া বেসন প্রাকৃতিক এক্সফলিয়েট হিসেবে কাজ করে। ১ টেবিল চামচ হলুদ
গুঁড়ো, ২ টেবিল চামচ বেসন, ১ থেকে ২ টেবিল চামচ গোলাপ জল একসাথে মিশিয়ে
নিন। প্যাক-টি ব্যবহারের আগে মুখটি পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তারপর পেস্ট-টি
ত্বকে ব্যবহার করুন। ১০-১৫ মিনিট পর মুখ শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে
ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে এটি ত্বকের ব্রণ হওয়ার প্রবণতা হ্রাস করে।
৭. কাঁচা হলুদ, টকদই এবং টমেটোঃ ত্বকের
সানবার্ন দূর করতে এই প্যাকটি বেশ কার্যকর। ১/৪ টেবিল চামচ হলুদের গুঁড়ো,
১ টেবিল চামচ টকদই, ১ টেবিল চামচ টমেটোর পিউরি মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি
করে নিন। এটি ত্বকে ব্যবহার করুন। ১০-১৫ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা
পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
৮. কাঁচা হলুদ, চন্দনের গুঁড়া ও দুধের ফেসপ্যাকঃ এই প্যাকটি
তৈরি করতে আমাদের লাগবে কাঁচা হলুদের পেস্ট ১ চা চামচ,চন্দনের গুঁড়া ১ চা
চামচ,কাঁচা দুধ ২ চা চামচ। এবার এই উপকরণগুলো একসাথে মিশিয়ে একটি পেস্ট
তৈরি করে নিন। ফেসপ্যাকটি মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এই
ফেসপ্যাকটি ব্যবহারে ত্বকের কালো দাগ-ছোপ দূর হবে ও ত্বক হবে ফর্সা ও মসৃণ।
৯. কাঁচা হলুদ, টকদই, ও ময়দাঃ এই প্যাকটা
বানানোর জন্য এক টেবিল চামচ টকদই, এক টেবিল চামচ হলুদ, এক টেবিল চামচ ময়দা
মিশিয়ে পেস্ট করে নিন। এখন প্যাকটি মুখে মেখে ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন।
তারপর হারকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি ত্বক উজ্জ্বল করার
পাশাপাশি ত্বক টানটানও করে।
১০. কাঁচা হলুদ, টমেটোর রস ও চালের গুঁড়ার ফেসপ্যাকঃ এটি একটি
এক্সফোলিয়েটর ফেসপ্যাক। এটি তৈরি করতে, আমরা একটি বাটিতে কাঁচা হলুদের
পেস্ট ১ চা চামচ,টমেটোর রস ১ চা চামচ ও চালের গুঁড়া ১ চা চামচ নিয়ে
ভালোভাবে নেড়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। এবার মিশ্রণটি ঘষে ঘষে স্ক্রাবিং
করে ১০ মিনিট পর্যন্ত লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন। টমেটোতে থাকা আ্যন্টিঅক্সিডেন্ট
ফর্মূলা ত্বকের ট্যান দূর করতে সাহায্য করে ও আনইভেন স্কিন টোন ইভেন করে।
১১. কাঁচা হলুদ, কফি আর টকদইয়ের প্যাকঃ এক
টেবিলচামচ কফির গুঁড়োয় খানিকটা টকদই আর এক চাচামচ কাঁচা হলুদবাটা যোগ করে
ভালো করে মিশিয়ে নিন। মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখুন। তারপর হালকা গরম জলে
ধুয়ে ময়শ্চারাইজ়ার লাগিয়ে নিন। টকদই সেবাম নিয়ন্ত্রণ করে মুখের বাড়তি
তেলাভাব কমিয়ে দেবে, ফলে ব্রণও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। কফির গুঁড়ো ত্বক
এক্সফোলিয়েট করবে আর হলুদ রুখে দেবে ব্রণের বৃদ্ধি আর সংক্রমণ।
১২. কাঁচা হলুদ ,লেবুর রস ও ওটসের ফেসপ্যাকঃ এটিও একটি
এক্সফোলিয়েটর ফেসপ্যাক। এটা তৈরি করতে আমরা প্রথমেই একটি বাটিতে নিব কাঁচা
হলুদের পেস্ট ১ চা চামচ, লেবুর রস ২ ফোঁটা ও ওটস ১ চা চামচ। এবার এই মিশ্রণ
গুলো একসাথে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এবার এটি আপনার পুরো স্কিনে
স্ক্রাবের মতো করে লাগিয়ে, ৫-৭ মিনিট ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। এই
ফেসপ্যাকটি ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে ও স্কিন ব্রাইট করতে খুবই কার্যকর।
রূপচর্চায় দুধ ও কাঁচা হলুদের ব্যবহার
রূপচর্চায় দুধ ও কাঁচা হলুদের ব্যবহার যুগ যুগ ধরে হয়ে আসছে। ত্বকের
যেকোনো সমস্যা দূর করতে কাঁচা হলুদ খুবই গুরত্বপূর্ন একটি উপাদান।
ত্বকের সুস্থতার জন্য আমরা যেসব উপাদান ব্যবহার করি, সেগুলোর তালিকায়
প্রথমেই হলুদ রাখতে হবে। কারন হলুদ আমাদের ত্বকের অভ্যন্তরিন ও বাহ্যিক
দুই ধরনের সমস্যার সমাধান করে থাকে। হলুদে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি সহ
বিভিন্ন ঔষধি গুন রয়েছে, যা ত্বককে ভিতর থেকে সুস্থ রাখে।
কাঁচা হলুদের উপকারী উপাদান ত্বকের ব্রণ, র্যাশ, অ্যালার্জি এবং
ত্বকের পোড়া দাগ দূর করতে সাহায্য করে। তবে হলুদের সাথে যদি দুধ মিক্স
করে ব্যবহার করা যায়, তাহলে হলুদের গুনাগুন আরও বৃদ্ধি পায়। দুধ আমাদের
স্বাস্থের জন্য যেমন উপকারি তেমনি আমাদের ত্বকের জন্য বেশ উপকারি একটি
উপাদান। দুধ দিয়ে বিভিন্ন ভাবে ফেইসপ্যাক বানিয়ে ত্বকে লাগালেও ত্বক
উজ্জল ও মসৃন হয়। চলুন বিস্তারিত ভাবে জানা যাক রূপচর্চায় দুধ ও কাঁচা
হলুদের ব্যবহার সম্পর্কে।
- কাঁচা দুধের সাথে পরিমান মতো কাঁচা হলুদ গুড়ো যোগ করে, ভালোভাবে মিক্স করে নিন। এরপর আপনার মুখের ত্বকে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন, ত্বকের ব্রনের সমস্যা দূর হবে এবং ত্বক হবে উজ্জল। উজ্জল ত্বক পেতে সপ্তাহে দুদিন এই ফেইসপ্যাকটি ব্যবহার করবেন।
- কাঁচা হলুদকে বেটে তার সাথে এক চা চামচ মধু এবং এক চা চামচ কাঁচা দুধ ভালোভাবে মিশিয়ে মিশ্রন তৈরি করুন। এবার মিশ্রনটি আপনার ত্বকে লাগিয়ে কিছুক্ষন অপেক্ষা করুন, শুকিয়ে গেলে ধুয়ে নিন। এভাবে সপ্তাহে একদিন করবেন ত্বককে ব্রন থেকে মুক্ত করবে এবং উজ্জল দেখাবে।
- কাঁচা হলুদের পেস্ট তৈরি করে তার সাথে ১ চা চামচ টক দই মিশিয়ে, মিশ্রন তৈরি করুন। মিশ্রনটি আপনার ত্বকে লাগিয়ে, ১৫ মিনিট মতো অপেক্ষা করুন এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর হবে এবং ত্বক হবে কোমল ও উজ্জল।
- শুধু কাঁচা দুধ সরাসরি আপনার মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষন ম্যাসাজ করলে, ত্বকের মৃত কোষ দূর হয় এবং ত¦কের তৈলাক্ত ভাব দূর করে।
- কাঁচা দুধের সাথে পরিমান মতো দুধ মিশিয়ে ত্বকে ব্যবহার করুন। ত্বককে ভেতর থেকে ময়েশ্চারাইজার করে তুলবে।
- অর্ধেক পাকা কলার সাথে কাঁচা দুধ মিক্স করে ত্বকে ব্যবহার করবেন, ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করবে।
- দুই টেবিল চামচ দুধের সাথে এক টেবিল চামচ চিনি ও এক টেবিল চামচ বেসন একসাথে মিক্স করে স্ক্রাব বানিয়ে নিন। এরপর স্ক্রাবটি আপনার ত্বকে লাগিয়ে ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
ত্বকের বলি রেখার সমস্যা দূর করতে এবং হারিয়ে যাওয়া ত্বকের উজ্জলতা
ফিরিয়ে আনতে উপরে বলা কাঁচা দুধ ও হলুদের স্ক্রাবগুলো সপ্তাহে ১ থেকে ২
দিন ব্যবহার করবেন। হলুদ নিস্তেজ ত্বককে করে তোলে সতেজ, এছারাও ত্বককে
মসৃন, উজ্জল ও দাগহীন করে তোলে এই হলুদ।
রুপচর্চায় কাঁচা হলুদ ও নিম পাতার ব্যবহার
রুপচর্চায় কাঁচা হলুদ ও নিম পাতার ব্যবহার ও এর গুণের কথা প্রায় সকলেরই
জানা। এই দুইটির মিশ্রন একসাথে ব্যবহারের অনেক উপকারিতা রয়েছে। কাঁচা
হলুদ আমাদের ত্বকের জন্য খুবি প্রয়োজনীয় একটি উপাদান। ত্বকের
অ্যান্টি-এজিং ফ্যাক্টর হিসেবে কাঁচা হলুদ খুব ভালো কাজ করে। ডার্ক স্পট,
ফাইন লাইনস ও বলিরেখার মতো সমস্যা দূর করতে কাঁচা হলুদের ঝুড়ি মেলা ভার।
কাঁচা হলুদ ও নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে নিচে আলোচনা করা হলো-
১. দুই থেকে তিন টুকরো কাঁচা হলুদ ও কিছু নিমপাতা একসাথে সিদ্ধ করে পানি
ছেঁকে আলাদা করে নিন। সিদ্ধ করা পানিতে সামান্য পরিমাণ কাঁচা হলুদ বাটা
মিশিয়ে ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন। একটি তুলার সাহায্যে প্রতিদিন দুইবার চোখের
নিচে এপ্লাই করুন ডার্ক সাইকেল দূর হয়ে যাবে।
২. দুই চা চামচ কাঁচা হলুদ বাটা, এক টেবিল চামচ নিমপাতা বাটা, আধা চা
চামচ চন্দনের গুঁড়ো একসাথে ভালো করে মিশিয়ে নিন। তারপর এটি মুখে লাগিয়ে
২০ মিনিট আপেক্ষা করুন। এর পর পরিস্কার পানি দিয়ে মুখ ভালো করে ধূয়ে নিন।
সপ্তাহে অন্তত তিন দিন এভাবে ব্যবহার করলে ত্বক দুধের মত সাদা হবে।
৩. এক চা চামচ কাঁচা হলুদ বাটা, এক চা চামচ নিম পাতা বাটা ও পরিমাণ মতো
পানি নিয়ে একটি পেষ্ট তৈরি করে নিন। এরপর এই পেষ্টটি ভালো করে মূখে
লাগিয়ে নিন এবং ১০ মিনিট আপেক্ষা করুন। মূখের পেষ্টটি শুকিয়ে গেলে উষ্ণ
গরম পানি দিয়ে মুখ ভালো করে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে দুইদিন এভাবে ব্যবহার
করুন, ত্বকের উজ্জ্বলতা কয়েকগুণ বেড়ে যাবে।
৪. এক চা চামচ হলুদ বাটা, এক চা চামচ নিম পাতা বাটা, এক টেবিল চামচ লেবুর
রস ও পরিমাণ মতো মুলতানি মাটি নিয়ে একটি ঘন পেস্ট তৈরি করে নিন। তারপর
ভালো করে সারা মূখে মেখে নিন এবং ৩০ মিনিট আপেক্ষা করুন। তারপর পরিষ্কার
পানি দিয়ে ভালো করে মূখ ধুয়ে নিন। সপ্তাহে দুইদিন এভাবে ব্যবহার করুন,
ত্বকের রোদে পোড়া দাগ পুরোপুরি দূর হবে যাবে।
৫. পরিমাণ মতো কাঁচা হলুদ ও নিমপাতা বেটে নিয়ে তার সাথে দুই চা চামচ
এলোভেরা জেল ভালোভাবে মিশিয়ে একটি পেষ্ট বানিয়ে নিন। পেষ্টটি ত্বকে রোদে
পুড়ে যাওয়া কালো স্থান গুলোতে ভালো করে লাগিয়ে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট
আপেক্ষা করুন। তারপর পরিষ্কার পানি গিয়ে ধূয়ে নিন। এভাবে নিয়মিত ব্যবহার
করলে রোদে পুড়ে যাওয়া স্থানগুলো আবার আগের মতো সাদা হয়ে যাবে।
৬. কয়েক টুকরো কাঁচা হলুদ ও পরিমান মত সিদ্ধ করা নিমপাতা একসাথে বেটে
নিন বা ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। তারপর এর মধ্যে তিন চা চামচ মধু ও এক
টেবিল চামচ লেবুর রস দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে একটি পেষ্ট তৈরি করে নিন। এই
পেষ্টটি মুখ, ঘাড়, গলা সহ হাত-পায়েও লাগিয়ে নিন। তারপর শুকিয়ে যাওয়া
পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে যাওয়ার পর পরিষ্কার পানি দিয়ে গোসল করে
নিন। ত্বক সতেজ রাখার জন্য এই পেষ্টটি সপ্তাহে একবার ব্যবহার করুন। তবে
এটি ব্যবহার করার পর আবশ্যয় ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন।
৭. খোঁচ-পাচরা ধূর করতে নিম পাতা ও কাঁচা হলুদ এক সাথে বেটে মুখে ও সারা
শরীরে ভালো করে লাগিয়ে নিন। তারপর ৩০ থেকে ৪০ মিনিট আপেক্ষা করে মিশ্রনটি
শুকিয়ে নিন। এরপর গোসল করে নিন। নিয়মিত ৭ দিন এভাবে ব্যবহার করলে আপনার
শরীরের খোঁচ-পাচরা ভালো হয়ে যাবে।
উপরিউক্ত টিপস গুলোর মধ্য থেকে আপনি আপনার স্কিনের জন্য যে কোন একটি
ব্যবহার করতে পারেন। তবে আপনার স্ক্রিন কেমন সেটা আমরা জানি না। তাই যে
কোন কিছু ত্বকে ব্যবহার করার আগে আবশ্যয় ভেবে নিবেন এবং নিশ্চিত হয়ে
নিবেন যে ঐ উপাদানটি আপনার ত্বকের সাথে মানানসই হবে কিনা।
বিডি টেকল্যান্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url