মেছতা দূর করার ঘরোয়া উপায়

মেছতা দূর করার ঘরোয়া উপায় সহ বিস্তারিত জানতে পারবেন আজকের আর্টিকেলটি পড়ে। মেছতা হলো ত্বকের এমন একটি অবস্থা যেখানে ত্বকে বাদামী বা কালো দাগের আকারে পিগমেন্টেশন দেখা যায়। এটি সাধারণত মুখের ত্বকে বেশি দেখা দেয় যেমন- গালে, কপালে, নাকের উপরে, এবং ঠোঁটের উপরে।
মেছতা-দূর-করার-ঘরোয়া-উপায়
মেছতা নারী এবং পুরুষ উভয়ের মধ্যেই দেখা যায়, তবে এটি মহিলাদের একটু বেশি হয়ে থাকে। যাদের এ সমস্যা আছে তারা চিন্তা করবেন না। এ রোগের বিভিন্ন ঘরোয়া এবং ডাক্তারি চিকিৎসা রয়েছে, সেগুলো নিয়মিত মেনে চললে এ রোগের সমাধান মিলবে।এ রোগে যারা ভুগছেন তারা আমার আজকের আর্টিকেলটি ফলো করতে পারেন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ মেছতা দূর করার ঘরোয়া উপায়

মুখে মেছতা হওয়ার কারণ

মুখে মেছতা হওয়ার কারণ রয়েছে অনেক। মেছতা রোগ সাধারণত গালে বেশি হয়ে থাকে। ছেলে কিংবা মেয়ে উভয়েই এ সমস্যা নিয়ে ভোগে থাকেন। তবে মেয়েদের ক্ষেত্রে এ সমস্যা বেশি দেখা যায়। আপনি যতই সুন্দর হোক না কেন, মেছতার কারণে আপনার সঠিক সৌন্দর্য বোঝা যায় না। মানবদেহে এক ধরণের হরমোন রয়েছে যার নাম-ইস্ট্রোজেন ও প্রোজেস্টেরন হরমোন। এ হরমোনের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ফলে মেছতা রোগ দেখা যায়।
বিভিন্ন কারনে এ হরমোন বেড়ে যায়, ফলে বিভিন্ন কারণে মেছতার সমস্যা হয়ে থাকে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মেছতার প্রাদুর্ভাবের পেছনে বংশগত প্রবণতা দেখা যায়। শতকরা হিসাবে বলতে গেলে প্রায় ৯০ ভাগ ক্ষেত্রেই বংশগত ইতিহাস পাওয়া যায়। মুখে মেছতা কেন হয় যদি আমাদের জানা থাকে, তাহলে এ রোগে আক্রান্ত হওয়া থেকে আমরা দূরে থাকতে পারবো অনেকটাই। চলুন জেনে নিই মুখে মেছতা হওয়ার কারণগুলো কি কিঃ

  • সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকের মেলানিন উৎপাদন বৃদ্ধি করে, যা মেছতার দাগের সৃষ্টি করে। অতিরিক্ত সূর্যালোকে ত্বক মেলানিন উৎপাদন করে। যা মেছতা হওয়ার প্রধান কারণ। সানস্ক্রিন ছাড়া দীর্ঘ সময় রোদে থাকলে মেছতার ঝুঁকি বেড়ে যায়। এছাড়াও চুলার আগুনের কাছে থাকলে মেছতা হয়ে থাকে।
  • গর্ভাবস্থা, জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল, এবং হরমোন থেরাপি মেছতার প্রধান কারণ হতে পারে। বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় হরমোনের পরিবর্তনের কারণে অনেক নারীর মেছতা দেখা দেয়।
  • পরিবারের কারো মেছতার ইতিহাস থাকলে, আপনার মেছতা হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। এটি একটি বংশগত সমস্যা হতে পারে।
  • থাইরয়েডের সমস্যাই আক্রান্ত হওয়ার কারণে মেছতা হয়ে থাকে।
  • কিছু ওষুধ, যেমন হরমোনাল ওষুধ এবং কিছু এন্টিবায়োটিক মেছতা বাড়াতে পারে।
  • ত্বকের সঠিক যত্ন না নিলে, ত্বক অপষ্কিার থাকার কারণে মেছতার সমস্যা হতে পারে।
  • ডায়াবেটিস বা রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রনের ওষুধ সেবন করলে অনেক সময় মেছতা হতে দেখা যায়।
  • চিকিৎসকের মতে পর্যাপ্ত ঘুম ও পর্যাপ্ত পানির অভাবেও মেছতা হতে পারে।
  • মানসিক চাপ এবং অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ত্বকের বিভিন্ন সমস্যার কারণ হতে পারে, যার মধ্যে মেছতাও রয়েছে।
  • বিভিন্ন প্রসাধনী সামগ্রী ব্যবহারের প¦ার্শপ্রতিক্রিয়ায় এ সমস্যার হতে পারে।
  • ফর্সা হওয়ার ক্ষতিকারক ক্রিম ব্যাবহারে মেছতা হয়ে থাকে।

মেছতা দূর করার ঘরোয়া উপায়

মেছতা দূর করার ঘরোয়া উপায়গুলো নিচের আলোচনা থেকে জেনে নিন। মুখে মেছতা হওয়ার সমস্যা খুবই দুশ্চিন্তার একটি বিষয়। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় এ সমস্যা হতে দেখা যায়, তবে মুখে বেশি হয়। মেছতা কালো ও বাদামী রঙের হয়ে থাকে। মেছতার সমস্যা অল্প হলে ঘরোয়া উপায় নিলে প্রতিকার করা সম্ভব হয়। কিন্তু অতিরিক্ত মেছতা ঘরোয়া উপায়ে পুরোপুরি না সারলেও অনেকটাই কমানো যায়। জেনে নিন বিস্তারিতঃ
  • আপনার যে জায়গায় মেছতা রয়েছে, সে জায়গায় রাতে ঘুমানোর আগে অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে নিন। সারারাত রেখে সকালে ঘুম থেকে উঠে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
  • লেবুর রস ত্বক ব্লিচ করে। এ ছাড়া ত্বকের দাগ হালকা করতে সাহায্য করে। লেবু কেটে রস বের করে মুখের মেছতায় আক্রান্ত স্থানে সরাসরি মাখুন। এরপর ২০ মিনিট রেখে হালকা গরম পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুই দিন করে তিন সপ্তাহ লাগিয়ে দেখুন, মেছতা ঠিক হবে।
  • আলুর রস মেছতার দাগ দূর করতে ব্যবহার করতে পারেন। আক্রান্ত জায়গায় আলুর রস লাগিয়ে ১৫ মিনিট মতো রেখে ধুয়ে নিন, মেছতার দাগ ভালো হবে।
  • মেছতার দাগ দূর করতে কমলালেবুর খোসাকে ব্লেন্ড করে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে নিন। লাগানোর পর ১৫ মিনিট মতো অপেক্ষা করে ধুয়ে নিন, মেছতার দাগ অনেকটাই কমবে।
  • মেছতার দাগ দূর করতে, অ্যালোভেরা, শশা, ও মধু এ তিনটি উপাদান ভালোভাবে একসাথে মিশিয়ে মিশ্রন তৈরি করে নিন। এরপর মিশ্রনটি আপনার আক্রান্ত স্থানে ভালোভাবে লাগিয়ে ২০ মিনিট মতো রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
  • পেঁপেতে থাকা পেপেইন এনজাইম প্রাকৃতিক স্ক্রাব হিসেবে কাজ করে। এ ছাড়া ত্বকের ক্ষতিগ্রস্ত কোষকে সারিয়ে তোলে ও মৃত কোষ দূর করে। আধা কাপ পাকা পেঁপে থেঁতলে নিন। এবার দুই টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে ২০ মিনিট লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন একবার করে কয়েক মাস ব্যবহার করতে হবে।
  • মুলতানি মাটি গুড়ো করে তার সাথে গোলাপজল, শসার রস, লেবুর রস, পানি একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে মিশ্রন তৈরি করে নিন। এরপর মিশ্রনটি মেছতার দাগের উপর ভালোভাবে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে নিন। মেছতার দাগ দূর করতে এ মিশ্রন আপনাকে সাহায্য করবে।
  • টমেটো রস ও লেবুর রস একাসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে মেছতায় আক্রান্ত জায়গায় লাগিয়ে নিন। ১৫ মিনিট মতো রেখে ধুয়ে ফেলুন, মেছতা দূর করতে সাহায্য করবে।
  • মেছতার দাগ দূর করতে ডিম ও লেবুর রস একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে নিন। লাগানোর পর ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন, এরপর ধুয়ে ফেলুন।
  • টক দই মেছতা দূর করতে কার্যকারী ভূমিকা রাখে। তাই মেছতা দূর করতে টক দই আপনার মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে নিন।
  • মেছতার দাগ দূর করতে অ্যামন্ড অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। প্রতিদিন আক্রান্ত স্থানে ২ থেকে ৩ ফোটা অ্যামন্ড অয়েল নিয়ে ম্যাসাজ করবেন, মেছতার দাগ দূর করবে।
  • পেঁয়াজের রস ও আপেল সিডর ভিনেগার ভালোভাবে মিশিয়ে মেছতার জায়গায় লাগিয়ে নিন। এরপর ১৫ মিনিট মতো রেখে পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। নিয়মিত করলে মেছতার দাগ অনেকটায় কমে যাবে।
  • অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ন্যাচারাল স্কিন টোনার হিসেবে হলুদ পরিচিত। হলুদের মধ্যে থাকা নানা গুণাগুণ ত্বকের মেলানিন কমিয়ে মেছতা হালকা করতে সাহায্য করে। ১ চা চামচ হলুদের মধ্যে ৫ চা চামচ তরল দুধ দিন। এর মধ্যে দিন দুই চামচ বেসন। এবার পেস্টটি মেছতায় আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। হালকা গরম পানিতে মুখ ধুয়ে নিন। প্রতিদিন একবার করে ব্যবহার করুন।
  • মেছতা দূর করতে পাকা কলার খোসাকে ব্লেন্ড করে আপনার আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে নিন। লাগানোর পর ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন, এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
  • ত্বকের দাগ হালকা করে- এমন উপাদানগুলোর মধ্যে খুব ভালো হলো চন্দন। এটি ত্বকের যেকোনো দাগ দূর করতে সাহায্য করে। সমপরিমাণ চন্দন গুঁড়া, দুধ, লেবুর রস আর হলুদ মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে মেছতায় আক্রান্ত স্থানে মাখুন। এবার শুকাতে দিন। শুকিয়ে গেলে পানির ঝাপটা দিয়ে মাস্কটা নরম করে সার্কুলার মোশনে ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন করে করুন, যত দিন না কোনো উপকার পাচ্ছেন।
  • আপেল সিডর ভিনেগার শুধু পানির সাথে মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে ৩০ মিনিট পর ধুয়ে নিন, অনেকটায় উপকার পাবেন।
আপনার যদি মেছতা হয়ে থাকে, তাহলে উপরের বলা প্যাকগুলো মেছতার দাগে ব্যবহার করবেন। নিয়মিত করলে মেছতার দাগ সম্পূর্ন ভালো হয়ে যেতে পারে, আর ভালো না হলেও অতিরিক্ত দাগ অনেকটাই কমে আসবে। আশা করছি, মেছতা দূর করার ঘরোয়া উপায়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন।

মেছতা দূর করার প্রাকৃতিক উপায়

মেছতা দূর করার প্রাকৃতিক কিছু উপায় আছে। প্রত্যেক মেয়েই চায় তার সৌন্দর্য ধরে রাখতে। আর সৌন্দর্য ধরে রাখা মানেই কিন্তু চিরকাল যুবতী থাকা নয়। সৌন্দর্যের প্রথম শর্তই হচ্ছে ত্বক পরিষ্কার ও দাগ মুক্ত রাখা। অনেক মেয়েদের মুখে মেছতা দেখা যায়। এই মেছতাই হচ্ছে চেহারায় বয়সের ছাপ পড়ার প্রথম লক্ষন। মেছতা শরীরের যে কোন জায়গায় হতে পারে তবে সাধারণত যেসকল জায়গায় সূর্যের আলো বেশি পড়ে সেই জায়গায় বেশি হয়।

বিশেষ করে, গালে, নাকের উপরে, থুতনিতে, উপরের ঠোঁটের উপরের অংশে, গলায়, ঘাড়ে এমনকি হাতেও হতে পারে। বর্তমানে অনেকে মেছতা দূর করার জন্য লেজার ট্রিটমেন্ট করতে চান। তবে শুধু লেজার ট্রিটমেন্ট করালেই হয় না, এরপর প্রয়োজন পড়ে বাড়তি যত্নের। এদিকে বেশিরভাগই লেজার ট্রিটমেন্টের পরে ত্বকের সঠিক যত্ন নেন না। যে কারণে ত্বক আরও বেশি খারাপ হয়ে যায়। কয়েকটি প্রাকৃতিক উপাদানের তৈরী মাস্ক নিয়ে আলোচনা করা হলো।

১. টক দইঃ মেছতা দূর করতে অন্যতম কার্যকরী উপায় হলো টক দইয়ের ব্যবহার। টক দই আমরা সকলেই চিনি তবে টক দই রূপচর্চার কাজে অনেক বেশি ব্যবহার হয়ে থাকে কেননা টক দই আমাদের ত্বকের জন্য অনেক বেশি উপকারী। সামান্য টক দই ফেটিয়ে নিয়ে মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। এরপর অপেক্ষা করুন ১৫-২০ মিনিট। সময় হলে ধুয়ে নিন। নিয়মিত টক দইয়ের ব্যবহারে মেছতা দূর হবে, বাড়বে ত্বকের উজ্জ্বলতাও।

২. চন্দন গুঁড়াঃ ত্বকের দাগ হালকা করে- এমন উপাদানগুলোর মধ্যে খুব ভালো হলো চন্দন। এটি ত্বকের যেকোনো দাগ দূর করতে সাহায্য করে। সমপরিমাণ চন্দন গুঁড়া, দুধ, লেবুর রস আর হলুদ মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে মেছতায় আক্রান্ত স্থানে মাখুন। এবার শুকাতে দিন। শুকিয়ে গেলে পানির ঝাপটা দিয়ে মাস্কটা নরম করে সার্কুলার মোশনে ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন করে করুন, যত দিন না কোনো উপকার পাচ্ছেন।

৩. লেবুর রসঃ লেবুর রস ত্বক ব্লিচ করে। এ ছাড়া ত্বকের দাগ হালকা করতে সাহায্য করে। লেবুর রস কখনোই সরাসরি ত্বকে লাগাবেন না। কোনোকিছুর সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। সামান্য পানির সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এরপর ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিটের মতো। লেবুর রসে থাকে পর্যাপ্ত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান। এটি সূর্যের আলোর ক্ষতিকর রশ্নির থেকে বাঁচতে সাহায্য করে।

৪. অ্যালোভেরা জেলঃ তাজা অ্যালোভেরা পাতা কেটে ভেতর থেকে জেলটুকু বের করে নিন। তাজা অ্যালোভেরা মেছতার স্পটে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট ম্যাসাজ করুন। ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে হালকা গরম পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ত্বকে মানিয়ে গেলে আপনি সারারাতও অ্যালোভেরা জেল রেখে দিতে পারেন। প্রাকৃতিক এই উপাদান কোষের ডি-পিগমেন্টেশন করে মেছতার দাগ কমায়। প্রতিদিন দুবার করে টানা এক মাস করতে হবে।

৫. হলুদঃ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ন্যাচারাল স্কিন টোনার হিসেবে হলুদ পরিচিত। হলুদের মধ্যে থাকা নানা গুণাগুণ ত্বকের মেলানিন কমিয়ে মেছতা হালকা করতে সাহায্য করে। ১ চা চামচ হলুদের মধ্যে ৫ চা চামচ তরল দুধ দিন। এর মধ্যে দিন দুই চামচ বেসন। এবার পেস্টটি মেছতায় আক্রান্ত স্থানে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। হালকা গরম পানিতে মুখ ধুয়ে নিন। প্রতিদিন একবার করে ব্যবহার করুন।

৬. কাঠবাদামঃ কাঠবাদামে থাকা হাইপ্রোটিন ও ভিটামিন সি ত্বক মসৃণ করে। এ ছাড়া ত্বকে পুষ্টি জুগিয়ে ত্বক উজ্জ্বল করে। ২ চামচ বাদাম বাটা অথবা গুঁড়ার সঙ্গে ১ চামচ মধু মিশিয়ে মেছতার ওপর লাগিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। হালকা গরম পানিতে মুখ ধুয়ে মুছুন। সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন করুন, যতক্ষণ না কোনো উপকার পাচ্ছেন।

৭. আমন্ড অয়েলঃ আমন্ড অয়েলের অনেক উপকারিতা সম্পর্কে শুনেছেন নিশ্চয়ই? এটি আমাদের চুলের জন্য দারুণ কার্যকরী। শুধু চুলের ক্ষেত্রেই নয়, ত্বকের যত্নেও সমান উপকারী আমন্ড অয়েল। ২-৩ ফোঁটা আমন্ড অয়েল নিয়ে মেছতার স্থানে নিয়মিত ম্যাসাজ করতে হবে। এভাবে ঘণ্টাখানেক রেখে ধুয়ে ফেলবেন। নিয়মিত ব্যবহারে মেছতার দাগ দূর হবে।

৮. পেঁপেঃ পেঁপেতে থাকা পেপেইন এনজাইম প্রাকৃতিক স্ক্রাব হিসেবে কাজ করে। পাকা পেঁপে যেমন শরীরের জন্য উপকারী, তেমনি মেছতা দূর করতে সাহায্য করে কেননা পাকা পেঁপেতে রয়েছে ভিটামিন-ই। আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে এ ভিটামিন-ই খুব বেশি প্রয়োজন। যারা মেছতার দাগ দূর করতে চান তারা আধা কাপ পাকা পেঁপে থেঁতলে নিন। এবার দুই টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে আক্রান্ত স্থানে ২০ মিনিট লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন একবার করে কয়েক মাস ব্যবহার করতে হবে।

৯. ওটমিলঃ ওটমিল ত্বকের বাদামি দাগ ও মরা চামড়া দূর করে ত্বক উজ্জ্বল করে। দুই চা চামচ ওটমিল, দুই চা চামচ দুধ এবং এক চা চামচ মধু মিশিয়ে ত্বকের যে স্থান মেছতায় আক্রান্ত, সে জায়গায় লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। এরপর পানি দিয়ে হালকা ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন।

১০. হালকা গরম তেলঃ ত্বকে ব্যবহার উপযোগী যেকোনো তেল হালকা গরম করে মুখে ম্যাসাজ করুন। যতক্ষণ না ত্বক তেলটুকু শুষে নেয় ততক্ষণ ম্যাসাজ করতে হবে। এরপর এভাবে রেখে দিতে হবে অন্তত ঘণ্টাখানেক। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। নিয়মিত এভাবে ব্যবহার করলে মেছতা দূর হবে।

১১. সানস্ক্রিনঃ আমাদের মধ্যে অনেকেই সানস্ক্রিন ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারেন না। কিন্তু সূর্যের তাপ থেকে ত্বককে বাঁচাতে নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। প্রতিদিন বাইরে বের হওয়ার অন্তত ২০ মিনিট আগে মুখে সানস্ক্রিন ব্যবহার করে নিবেন। সেইসঙ্গে রোদে বের হলে সঙ্গে ছাতা, মাস্ক ও সানগ্লাস রাখবেন।

মেছতা প্রতিকারের উপায়

মেছতা প্রতিকারের কার্যকর কিছু উপায় রয়েছে। মেছতা পুরোপুরি প্রতিকার করা সম্ভর হয় না। তবে মেছতার অবস্থার উন্নতি করা যায়। মেছতা আমাদের দেশের খুবই সাধারণ একটি ত্বক সমস্যা। নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই এটি হতে পারে। তাই মেছতা হলে প্রথমেই একজন ভাল ডার্মাটোলজিস্টকে দেখাতে হবে। সাধারণত চিকিত্‍সকেরা উডস ল্যাম্পের সাহায্যে মেছতা নির্ণয় করে থাকেন। এরপর মেছতার জন্য তারা বিভিন্ন ওষুধের ক্রীম বা জেল দিয়ে থাকেন যেমন-
মেছতা-প্রতিকারের-উপায়
১. হাইড্রোকুইনোনঃ হাইড্রোকুইনোন একটি রাসায়নিক পদার্থ যা স্কিনের ডিপিগমেন্টিংয়ে দারুণ কার্যকরী! মূলত মেছতার দাগ নির্মূলে হাইড্রোকুইনোন ব্যবহারের কথা বলে থাকেন ডাক্তার ও স্কিন বিশেষজ্ঞরা। হাইড্রোকুইনোন টাইরোসিনেজ নামক এনজাইমকে বাঁধা দেয়, যা মেলানিন তৈরী করে। ফলে ত্বকের যে জায়গায় মেছতা হয়েছে, সেই জায়গাটি সাদা করতে সাহায্য করে। তাই এটি ডাক্তারদের প্রথম পছন্দ।

২. ট্রেটিনোইন ও কর্টিকসটরয়েডঃ এটি ডাক্তারদের ২য় পছন্দের ওষুধ। মাঝে মাঝে একটি মেডিসিন ৩টি ড্রাগস নিয়ে তৈরী হয়। একে ট্রিপল ক্রীম বলে। এই ট্রিপল ক্রীমে hydroquinone, tretinoin & corticosteroid থাকে।

৩. অ্যাজেলেইক এসিড বা রেটিনয়েডঃ যদিও এটি ব্রণের চিকিত্‍সায় ব্যবহৃত হয়, তারপরও এটি মাঝে মাঝে মেছতার জন্যও ডাক্তাররা দিয়ে থাকেন। মনে রাখবেন, এগুলো কিন্তু ক্রীম বা জেল হিসেবে মুখে মাখতে হয়। খাওয়ার জন্য নয়। যদি এই ওষুধগুলো দেয়ার পর নিম্নোক্ত উপসর্গগুলো দেখা দেয় তবে ডাক্তারকে দেখাবেন।

৪. কোজিক এসিডঃ যেহেতু হাইড্রোকুইনোন একটি ভারী উপাদান এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে এটি ব্যবহার করা যায় না। তাই এর বিকল্প হিসেবে রয়েছে কোজিক এসিড। এই রাসায়নিক উপাদানটিও মেছতা নির্মূলে দারুণ কার্যকরী। কেননা, এই রাসায়নিক উপাদান স্কিনের মেলেনোসাইটের অতিরিক্ত উৎপাদন কমিয়ে দেয় এবং ত্বকে মেছতা হওয়া প্রতিরোধ করে।

৫. এজিলেক এসিডঃ মেছতার দাগ নিমূর্লে এজিলেক এসিড আরো একটি কার্যকরী উপাদান। এটিও স্কিনের রঞ্জক পদার্থ তৈরি করা মেলেনোসাইটসকে নিয়ন্ত্রণ করে স্কিন থেকে মেছতা ও মেছতার দাগ নির্মূলে সহায়তা করে।

৬. গ্লাইকোলিক এসিডঃ গ্লাইকোলিক এসিড মূলত ফেসিয়াল পিলিংয়ে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আলফা হাইড্রক্সি এসিডের একটি পানীয় উপাদান হিসেবে গ্লাইকোলিক এসিড ব্যবহৃত হয়। মূলত মেছতার জেদি দাগ নির্মূলে এই এসিড কাজ করে থাকে।

৭. মেডিক্যাল ট্রিটমেন্টঃ মেছতার ট্রিটমেন্ট নিতে চাইলে অবশ্যই একজন ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শ নেয়া অত্যন্ত জরুরী! কেননা, এসব ট্রিটমেন্ট নিলে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াসহ সকল সতর্কতা আগে থেকেই জেনে নেয়া ভালো। যেসব মেডিক্যাল ট্রিটমেন্ট মেছতার জন্য কার্যকরী তা হচ্ছে –মাইক্রোডার্মাব্রেশন, কেমিক্যাল পিলস, লেজার ট্রিটমেন্ট, লাইট থেরাপি, ডার্মাব্রেশন ইত্যাদি।

মেছতা প্রতিরোধের উপায়

মেছতা প্রতিরোধের উপায় রয়েছে অনেক। বলা হয়ে থাকে প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম। তাই মেছতা হওয়ার আগেই প্রতিরোধ মূলক ব্যবস্থা নিতে হবে যেনো মেছতা না হয়। মুখের ত্বকের জটিল একটি সমস্যা হলো মেছতা। মুখে মেছতার কালো দাগ সত্যিই বিব্রতকর একটি অবস্থা। তাই এ জটিল সমস্যা থেকে রেহায় পাওয়ার জন্য আমাদের প্রতিকারের আগে প্রতিরোধ করায় উত্তম কাজ। জেনে নিন মেছতা প্রতিরোধে কি কি উপায় অবলম্বন করবেন।

  • অতিরিক্ত রোদে মেছতা হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়, তাই ত্বককে সবসময় রোদ থেকে প্রোটেকশনে রাখবেন। এজন্য সানস্ক্রিন ছাড়া রোদে বের হওয়া যাবে না।
  • সানস্ক্রিন ছাড়া একদমই রোদে বের হবেন না। সানস্ক্রিন যাতে ব্রড প্রোটেকশন-যুক্ত হয়। (যা স্কিন-এর প্রতি ব্লক তৈরী করে) এবং তা যেন-.SPF 30,.zincoxide,.titanium oxide সমৃদ্ধ হয়। এ উপাদানগুলো ভালো সান প্রোটেকশন দেয়।
  • বাইরে যাওয়ার কমপক্ষে ২০ মিনিট আগে লাগাতে হবে এবং পরে প্রতি ২ ঘন্টা পর পর আবার লাগাতে হবে। মেছতা হবার পরও এই নিয়মে চলতে হবে।
  • ছাতা ও স্কার্ফ বা ওড়না বা হ্যাট ব্যবহার করুন। কেননা কোন সানস্ক্রিন-ই ১০০ ভাগ প্রোটেকশন দিতে পারেনা। তাই সানস্ক্রিন লাগানোর পরেও এগুলো ব্যবহার করুন।
  • সকাল ১০ টা থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত পারতপক্ষে কোন জরুরি কাজ না থাকলে বাইরে বের হবার চেষ্টা করবেন না। বের হলেও প্রোপার প্রোটেকশন নিয়ে বের হবেন।
  • ত্বকের সঠিকভাবে যত্ন নিবেন কোনোভাবেই ত্বক অপরিষ্কার রাখবেন না। পরিষ্কার ত্বকে মেছতার সমস্যা বাসা বাঁধেনা।
  • মেছতা প্রতিরোধে জন্ম নিয়ন্ত্রন পিল খাওয়া থেকে বিরত থাকুন, পরিবর্তে অন্য মাধ্যম বেছে নিন।
  • পুষ্টিকর ফলমূল ও শাকসবজি প্রতিদিন খাবার তালিকায় রাখবেন। অনেক সময় পুষ্টির অভাবে মেছতা হতে পারে। পুষ্টিকর খাবার নিয়মিত খাদ্যতালিকায় রাখলে মেছতা থেকে রেহায় পাওয়া যায়।
  • মেছতা প্রতিরোধে পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুমাবেন। অনেকের রাত জাগার অভ্যাস আছে, যা মেছতা হওয়ার সম্ভাবনাকে বাড়িয়ে দেয়,অতিরিক্ত রাত জাগার ফলে মেছতার সমস্যা হতে পারে। তাই অতিরিক্ত রাত জাগার অভ্যাস থাকলে সে অভ্যাস থেকে বের হয়ে আসুন।
  • মেছতা প্রতিরোধে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। শরীরে পানির ঘাটতি থাকলে আপনার মেছতার সমস্য হতে পারে, তাই দৈনিক পর্যাপ্ত পানি পান করার চেষ্টা করুন।
  • মেছতা প্রতিরোধে অতিরিক্ত মিষ্টি ও ঝাল খাবার দূরে রাখুন।

এলোভেরা দিয়ে মেছতা দূর করার উপায়

এলোভেরা দিয়ে মেছতা দূর করার উপায় খুবই জনপ্রিয় ও প্রাকৃতিক একটি উপাদান। আমাদের দেশের আবহাওয়ার তারতম্যের কারণে ৩০-৩৫ বছর অতিক্রম করলে অনেকের চেহারায় মেছতার ছাপ পড়ে। চেহারায় সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে এবং চেহারার শুষ্ক ভাব দূর করতে এলোভেরা খুব কার্যকরী উপাদান। এছাড়াও চেহারার মেছতা দূর করতে এলোভেরা খুব কার্যকরী ও সহজলভ্য একটি প্রাকৃতিক ভেষজ। জেনে নিন এলোভেরা দিয়ে মেছতা দূর করার উপায়।

  • এলোভেরার পাল্প ত্বকের দাগ দূর করতে অনেক উপকারী। মুখের মেছতা দূর করার জন্য প্রথমে আপনাকে এলোভেরা সংগ্রহ করতে হবে। এরপর অ্যালোভেরা থেকে এলোভেরা জেল বের করে নিতে হবে।
  • সামান্য পরিমাণ মধু মিশিয়ে একটি জেল তৈরি করতে হবে। তারপর এলোভেরা ও মধুর মিশ্রণে তৈরি জেলটি মুখের যে স্থানে মেছতা আছে সেখানে আঙ্গুলের সাহায্যে ভালোভাবে লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে দিতে হবে। তারপর হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
  • তাই এলোভেরা জেল ব্যবহার করে আপনি আপনার ত্বকে খসখসে ও শুষ্কতা ভাব দূর করে ত্বককে মসৃণ ও উজ্জল করতে পারেন। এভাবে মেছতা দূর করতে এলোভেরা ব্যবহার করলে খুব অল্প সময়ের মধ্যে ভালো ভালো ফল পাওয়া সম্ভব হয়। তাই মেছতা দূর করতে হলে আপনাকে একটু সময় নিয়ে বেশ কয়েক মাস ধরে এলোভেরা ব্যবহার করতে হবে।

মেছতা দূর করার ফেসওয়াশ

মেছতা দূর করার ফেসওয়াশ এর নাম জানতে চেয়েছেন অনেকেই। ত্বক দীর্ঘক্ষন পরিষ্কার রাখতে ঘরোয়া উপায়ের পাশাপাশি ফেসওয়াশ ব্যবহার করেন অনেকে। ত্বক পরিষ্কার রাখলে ত্বকের বিভিন্ন দাগ ছোপ এবং মেছতার সমস্যা থেকে ত্বককে সুরক্ষা করতে পারবেন। আর মেছতাযুক্ত ত্বকে ফেসওয়াশ ব্যবহার করলে মেছতা সম্পূর্ন ভালো না হলেও দাগ অনেকটাই কমবে। তাই কয়েকটি ফেসওয়াশের নাম জেনে নিন যেগুলো মেছতা দূর করতে ভূমিকা রাখে।

১. মেয়েদের মেছতা দূর করার ফেসওয়াশ

  • Pears oil Clear Glow
  • Simple purifying facial wash
  • Dermamate  Face Wash 
  • Lakme Blush Glow face wash
  • Derma Lazica Break Out Clear Toning Facewash
২. ছেলেদের মেছতা দূর করার ফেসওয়াশ

  • Neotrogena Men Skin Clearing Acne Wash
  • Ponds Men Energy Bright Face Wash
ত্বকে মেছতার দাগসহ, ত্বকের বিভিন্ন সমস্যা দূর করতে এ ফেসওয়াশগুলো কার্যকারী ভূমিকা রাখে। আপনারা যারা মুখের ত্বকের বিভিন্ন সমস্যাই ভুগছেন তারা উপরের বলা ফেসওয়াশগুলো ব্যবহার করতে পারেন।

চিরতরে মেছতা দূর করার ক্রিম

চিরতরে মেছতা দূর করার ক্রিম সম্পর্কে নিচের আলোচনা থেকে জেনে নিন। মেছতা আমাদের শরীরের স্বাভাবিক রঙকে পরিবর্তন করে দেয়। প্রায় সব বয়সের ছেলে অথবা মেয়ের ওপর এটি প্রভাবিক করে। মেছতার দাগ দূর করতে অনেকেই ত্বকের সঠিক যত্ন ও ঘরোয়া উপায়ের পাশাপাশি ক্রিম ব্যবহার করতে চান। তবে কোন ক্রিম ব্যবহার করবেন সেটা বুঝে উঠতে পারছেন না। তাহলে বিস্তারিত জেনে নিন মেছতা দূর করার ক্রিমের নাম সম্পর্কেঃ
চিরতরে-মেছতা-দূর-করার-ক্রিম
মেছতার চিকিৎসা সময়সাপেক্ষ। তাই তাড়াহুড়া না করে ধৈর্য ধরে চিকিৎসা নিন। বর্তমানে মেছতার দাগ ওঠানোর আধুনিক চিকিৎসা এসেছে। আপনি চাইলে Fruit of the Wokali Collagen Anti Spot Fairness Cream টি ব্যবহার করতে পারেন। এটি মেছতা দূর করার প্রাকৃতিক পদ্ধতি । ক্লিনিক্যালি প্রমাণিত, কালো দাগ এবং ত্বকের বিবর্ণতা হ্রাস করে। ত্বকের স্বচ্ছতা পুনরুদ্ধার করে এবং ত্বকের নতুন কোষগুলিকে মেরামত করতে সহযোগীতা করে

ত্বককে ময়শ্চারাইজ করে এবং ত্বককে হাইড্রেট করার জন্য তীব্র হাইড্রেশন সরবরাহ করে। এটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ভাবে তৈরি এবং কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। চিকিৎসকেরা মেছতার চিকিৎসার প্রথম লাইন হিসাবে হাইড্রোকুইনোন ব্যবহার করেন। হাইড্রোকুইনোন লোশন, ক্রিম বা জেল হিসাবে পাওয়া যায়। হাইড্রোকুইন পণ্যটি সরাসরি ত্বকের মেছতায় প্রয়োগ করতে পারেন। হাইড্রোকুইনোন ত্বকের মেছতার রঙ হালকা করতে কাজ করে।

কিছু ক্ষেত্রে, একজন চর্ম বিশেষজ্ঞ সংমিশ্রণ ক্রিম লিখতে পছন্দ করতে পারেন যার মধ্যে একটিতে হাইড্রোকুইনোন, কর্টিকোস্টেরয়েড এবং ট্র্রেটিনইন থাকতে পারে। এগুলিকে ট্রিপল ক্রিম (Triple Cream) বলা হয়। ত্বকের যত্নে স্কিন কেয়ার রুটিন মেনে চললে মেছতা প্রতিরোধ করা সম্ভব। প্রতিকার হিসেবে বেশি বেশি পানি পান করতে হবে, ত্বক নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে, রোদে বের হবার পূর্বে অবশ্যই Sun Cream ব্যবহার করতে হবে।

তবে এ ক্রিমগুলো ব্যবহারের আগে অবশ্যই চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিতে হবে। কারণ একেক ব্যক্তির ত্বকের এবং মেছতার ধরণ একেক রকম হয়ে থাকে। এছারাও এ ক্রিমগুলো সব ব্যক্তির জন্য প্রযোজ্য নয়, অনেক ব্যক্তির এ ক্রিমগুলো ব্যবহারে ত্বকের চামড়া উঠে যেতে পারে, মৃদু জ্বালা পোড়া হতে পারে এবং ত্বক চুলকাতে পারে। তবে খুব কম ব্যক্তির ক্ষেত্রে এ সমস্যগুলো দেখা দিতে পারে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করবেন।

শেষকথাঃ মেছতা দূর করার ঘরোয়া উপায়

মেছতা দূর করার জন্য নিয়মিত ত্বকের সঠিক যত্ন এবং উপযুক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করা জরুরি। যেকোনো প্রোডাক্ট ব্যবহার করার আগে তা আপনার ত্বকের জন্য মানানসই কিনা তা যাচাই করে নিন এবং প্রয়োজনে ডার্মাটোলজিস্টের পরামর্শ নিন। নিয়মিত যত্ন এবং সঠিক পদ্ধতি অবলম্বন করলে মেছতার দাগ অনেকাংশে হালকা করা সম্ভব। সঠিক জীবনযাপন এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষা করা সম্ভব। মেছতা দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আজকের এই ব্লগে সকল তথ্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আশা করছি, কিভাবে মেছতা দূর করা যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

বিডি টেকল্যান্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url