নতুন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম
নতুন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম খুব সহজ। জাতীয় পরিচয়পত্র হচ্ছে দেশের
একজন স্থায়ী বাসিন্দা এবং বাংলাদেশের নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র। এটি একজন ব্যক্তির
রাষ্ট্রীয় সরকারি, বেসরকারি সেবা নিতে সহায়তা করে। পাসপোর্ট, ড্রাইভিং
লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্স সহ গুরুত্বপূর্ণ সব ক্ষেত্রেই ভোটার আইডি কার্ডের
প্রয়োজন হয়।
তাছাড়া মোবাইলের সিম কার্ড, বিকাশ, নগদ ও রকেট একাউন্ট খুলতেও ভোটার আইডি কার্ডের
প্রয়োজন হয়। জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য আবেদন করে ছবি ও হাতের ছাপ দিয়ে এসেছেন
কিন্তু ভোটার আইডি কার্ড এখনো হাতে পাননি। তারা এখন অনলাইন থেকেই ভোটার আইডি
কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ নতুন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম
- নতুন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম
- নতুন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে যা প্রয়োজন
- ভোটার স্লিপ দিয়ে আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম
- মোবাইল নাম্বার দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড বের করার নিয়ম
- মোবাইল দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড চেক করার নিয়ম
- নতুন ভোটার আইডি কার্ড চেক করার নিয়ম
- ফরম নম্বর দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম
- ভোটার স্লিপ হারিয়ে গেলে করণীয়
- সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্নের উত্তর
- শেষকথাঃ নতুন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম
নতুন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম
নতুন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম এখন অনেক সহজ, কারণ বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন অনলাইনে ডিজিটাল এনআইডি (e-NID) ডাউনলোড করার সুযোগ দিয়েছে। অনেকে আছেন যারা ইতোমধ্যে ভোটার হিসেবে নিবন্ধন করে ছবি ও আঙ্গুলের ছাপ দিয়েছেন, কিন্তু এখনো স্মার্ট এনআইডি কার্ড হাতে পাননি। তাদের জন্য অনলাইনে জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি ডাউনলোড করার সুযোগ রয়েছে।
নতুন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার জন্য আপনার প্রথমে নিশ্চিত হতে হবে যে আপনি ইতোমধ্যে ভোটার তালিকায় নাম নিবন্ধন করেছেন এবং আপনার এনরোলমেন্ট (তথ্য নিবন্ধন) সম্পন্ন হয়েছে। যদি আপনি নতুন ভোটার হন বা পুরনো কার্ড হারিয়ে ফেলে থাকেন, তাহলে অনলাইন থেকে একটি ডিজিটাল কপি (e-ID) ডাউনলোড করতে পারবেন। নিচে ধাপে ধাপে নতুন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম আলোচনা করা হলোঃ
১. নিবন্ধনের তথ্য প্রাপ্তিঃ প্রথমে আপনাকে নিশ্চিত করতে হবে যে আপনার ভোটার নিবন্ধন হয়েছে। আপনার যদি আগে থেকেই ভোটার তালিকায় নাম না থাকে, তবে প্রথমে আপনাকে ভোটার নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধনের সময় আপনি একটি ফর্ম নম্বর পাবেন (যাকে স্লিপ নম্বর বা Enrollment Slip Number-ও বলা হয়)। এই নম্বর পরবর্তীতে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনের সময় খুব গুরুত্বপূর্ণ।
২. ওয়েবসাইটে প্রবেশঃ জাতীয় পরিচয়পত্র সম্পর্কিত সকল অনলাইন সেবা দেয় বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (EC)। ভোটার আইডি কার্ড সংক্রান্ত সকল তথ্য এবং ডাউনলোড করার জন্য অফিসিয়াল ওয়েবসাইট হলো– www.nidw.gov.bd। ব্রাউজারে এই ঠিকানাটি লিখে ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন। এই ওয়েবসাইটেই আপনি NID কার্ড রেজিস্ট্রেশন, তথ্য যাচাই, কার্ড ডাউনলোড, সংশোধন, আবেদন ইত্যাদি করতে পারবেন।
৩. রেজিস্ট্রেশন বা নতুন অ্যাকাউন্ট তৈরি করাঃ প্রথমবার e-NID ডাউনলোড করতে হলে আপনাকে ওয়েবসাইটে রেজিস্টার বা নতুন অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন অপশনে ক্লিক করে একটি একাউন্ট খুলতে হবে। অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে যে তথ্যগুলো দরকার হবে-ফর্ম নম্বর / ভোটার স্লিপ নম্বর, জন্ম তারিখ, মোবাইল নম্বর (যেখানে OTP যাবে),পাসওয়ার্ড সেট করা। সব তথ্য ঠিক থাকলে, আপনার মোবাইলে একটি OTP (One-Time Password) যাবে। এটি দিয়ে আপনি আপনার অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করবেন।
৪. লগইন ও তথ্য যাচাইঃ রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হলে, আপনি আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর (NID Number) এবং পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লগইন করতে পারবেন। লগইনের পর আপনার পরিচয় যাচাইয়ের জন্য কিছু অতিরিক্ত তথ্য দিতে হতে পারে, যেমন: নিজের নাম, পিতা ও মাতার নাম, জন্মস্থান, বর্তমান ঠিকানা, পূর্বের ছবি ও স্বাক্ষর। যদি তথ্যের সাথে আপনার দেওয়া তথ্য মিলে যায়, তবে আপনি e-NID সিস্টেমে সম্পূর্ণভাবে লগইন করতে পারবেন।
৫. NID কার্ড ডাউনলোডঃ যদি সব তথ্য সঠিকভাবে মিলে যায়, তাহলে আপনি লগইনের পর আপনি দেখতে পাবেন একটি “Download NID” বা “e-NID ডাউনলোড” অপশন। এখানে ক্লিক করলে একটি PDF ফাইল আকারে আপনার ডিজিটাল জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করা যাবে এবং প্রয়োজনে প্রিন্ট করে ব্যবহার করতে পারবেন।
নতুন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে যা প্রয়োজন
নতুন ভোটার আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) ডাউনলোড করতে হলে
কিছু নির্দিষ্ট তথ্য ও কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়। এই প্রক্রিয়াটি এখন পুরোপুরি
অনলাইনভিত্তিক, তাই মোবাইল বা কম্পিউটার এবং একটি সক্রিয় মোবাইল নম্বর
থাকলেই আপনি ঘরে বসে আপনার ডিজিটাল আইডি কার্ড (e-NID) সংগ্রহ করতে পারেন।
এখানে ধাপে ধাপে বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হলো, নতুন ভোটাররা কী কী
কাগজপত্র বা তথ্য জমা দিতে হবেঃ
১. ভোটার নিবন্ধন ফরম বা স্লিপ নম্বরঃ আপনি যদি নতুন ভোটার হয়ে
থাকেন, তাহলে ভোটার তালিকায় নাম তোলার সময় বায়োমেট্রিক তথ্য যেমন- ছবি,
আঙুলের ছাপ, চোখের স্ক্যান দেওয়া হয়। এরপর আপনাকে একটি স্লিপ বা ভোটার
নিবন্ধন ফর্ম নম্বর দেওয়া হয়। এই ফর্ম নম্বর বা Enrollment ID-টি জাতীয়
পরিচয়পত্র ডাউনলোডের ক্ষেত্রে প্রথম ও সবচেয়ে জরুরি তথ্য। আপনি এই নম্বর
ছাড়া e-NID রেজিস্ট্রেশন শুরুই করতে পারবেন না। আপনি যদি এই স্লিপ হারিয়ে
ফেলেন, তাহলে আপনাকে স্থানীয় উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিস থেকে পুনরায়
সংগ্রহ করতে হবে।
২. জন্মতারিখঃ আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রে যে জন্মতারিখ ব্যবহার করেছেন,
সেটি সঠিকভাবে জানতে হবে। রেজিস্ট্রেশনের সময় ও অনলাইন লগইনের সময়
জন্মতারিখ যাচাই করা হয়। জন্মতারিখ ভুল দিলে OTP বা লগইন পাওয়া সম্ভব নাও
হতে পারে। ভোটার ফরম অনুযায়ী সঠিক তারিখ মনে রাখুন- দিন, মাস, বছর সহ।
৩. সক্রিয় মোবাইল নম্বরঃ অনলাইন NID ডাউনলোড করতে গেলে ওয়েবসাইট OTP
(One-Time Password) পাঠায়, যা মোবাইলে আসে। এজন্য আপনাকে একটি সচল ও
ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর দিতে হবে। এই নম্বরটিই আপনার অ্যাকাউন্ট
ভেরিফিকেশনের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। আপনি মোবাইল হারিয়ে ফেললে
বা নম্বর বন্ধ হয়ে গেলে OTP না পেয়ে সমস্যায় পড়তে পারেন। এই মোবাইল নম্বরটি
আগে নির্বাচন কমিশনের কাছে সংরক্ষিত না থাকলেও সমস্যা নেই—আপনি
রেজিস্ট্রেশনের সময় এটি সংযুক্ত করতে পারবেন। মোবাইল নম্বর ছাড়া আপনি লগইন
বা রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন না। তাই যে নম্বরটি এখন ব্যবহার করছেন, সেটি
ব্যবহার করাই ভালো।
৪. পাসওয়ার্ডঃ অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের সময় আপনাকে একটি পাসওয়ার্ড
তৈরি করতে হবে, যেটি দিয়ে আপনি ভবিষ্যতে e-NID সিস্টেমে লগইন করবেন।
পাসওয়ার্ডটি অবশ্যই নিরাপদ এবং মনে রাখার মতো হতে হবে। পাসওয়ার্ড হতে হবে
অন্তত ৮ অক্ষরের এবং নিরাপদ (অক্ষর + সংখ্যা মিলিয়ে)। অনেক সময় লগইন করার
পরে পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য কিছু অতিরিক্ত তথ্য চাওয়া হয়, যেমন: নিজের নাম
(বাংলা ও ইংরেজিতে), পিতা ও মাতার নাম, স্থায়ী ঠিকানা, জন্মস্থান। এই
তথ্যগুলো আপনার ভোটার ফরম অনুযায়ী দিতে হবে। তাই আগে থেকে আপনার ভোটার
স্লিপ বা রেজিস্ট্রেশনের কপি হাতে রাখলে ভালো হয়।
ভোটার স্লিপ দিয়ে আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম
ভোটার স্লিপ দিয়ে আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে
NID Portal
ভিজিট করুন। এরপর, NIDFN লিখে স্পেস না দিয়ে ফরম নাম্বার লিখুন যেমন
NIDFNXXXXXX। অতঃপর, দিন-মাস-বছর ফরম্যাটে জন্ম তারিখ লিখুন এবং ক্যাপচা
কোড লিখে সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন। সবশেষে Face Verification করে লগইন করার
পর আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন। ভোটার স্লিপ দিয়ে আইডি কার্ড ডাউনলোড
করার জন্য নিচের সহজ ধাপগুলো অনুসরণ করুন
ধাপ-১.ফরম পূরণঃ এনআইডি একাউন্ট রেজিস্টার করতে ভিজিট করুন
NID Portal
বা
https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/claim-account
এ প্রবেশ করুন। এরপর, NIDFN লিখে কোনো স্পেস না দিয়ে ফরম নাম্বার লিখুন।
যেমন – NIDFN123456789 । অতঃপর, দিন-মাস-বছর ফরম্যাটে জন্ম তারিখ লিখুন।
ছবিতে দেখানো কোডটি লিখুন। সাবমিট বাটনে ক্লিক করুন। পপআপ আসলে বহাল বাটনে
ক্লিক করুন। এই পদ্ধতিতে ভোটার আইডি কার্ড চেক করে যদি পপআপ না এসে ইরোর
দেখায়, তাহলে বুঝতে হবে আপনার আইডি কার্ড এখনো তৈরি হয়নি।
ধাপ-২. ঠিকানা নির্বাচনঃ বর্তমান এবং স্থায়ী ঠিকানা (বিভাগ, জেলা,
উপজেলা) নির্বাচন করুন। ভোটার নিবন্ধনের সময় যে ঠিকানা দিয়েছিলেন, উক্ত
ঠিকানা নির্বাচন করতে হবে। ভুল ঠিকানা সিলেক্ট করলে পরবর্তী ধাপে যেতে
পারবেন না। তিনবারের বেশি ভুল ঠিকানা প্রদান করলে একাউন্ট লক হয়ে যাবে।
ধাপ-৩. মোবাইল নাম্বার ভেরিফাইঃ ভোটার নিবন্ধনের সময় যে মোবাইল
নাম্বার দিয়েছিলেন, উক্ত নাম্বারটি এখানে দেখতে পারবেন। অথবা আপনি নতুন
একটি সচল মোবাইল নম্বর দিয়ে আপনার Account Verify করতে হবে। এই নম্বরের
একটি Verification OTP পাঠানো হবে। মোবাইল নম্বরটি সঠিকভাবে লিখে বার্তা
পাঠান বাটনে ক্লিক করুন। আপনার মোবাইলে ৬ ডিজিটের একটি Verification Code
পাঠানো হবে। কোডটি উপরের ছবিতে দেখানো ঘরে লিখুন এবং বহাল বাটনে ক্লিক
করুন।
ধাপ-৪. ফেস ভেরিফিকেশনঃ মোবাইল ভেরিফিকেশনের পর আপনার ফেইস
ভেরিফিকেশন করতে হবে। এজন্য আপনি এখন যে মোবাইল বা কম্পিউটারে আছেন, সেটি
ছাড়া অন্য একটি মোবাইলে Google Play Store থেকে NID Wallet অ্যাপটি ইনস্টল
ও চালু করুন। তারপর Face Verification QR কোডটি NID Wallet App দিয়ে Scan
করুন। QR কোড স্ক্যান করার পর আপনার Face Verification করার অপশন আসবে।
ফেইস স্ক্যান চালু করার জন্য Start Face Scan বাটনে ক্লিক করুন। এরপর
মোবাইলে দেখানো নির্দেশনা অনুযায়ী ফেস ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করে নিন।
ধাপ-৫. ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড সেটঃ Face Verification সফল হলে,
ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড সেট করার অপশন এবং এড়িয়ে যাওয়ার অপশন পাবেন। এড়িয়ে
গেলে আপনার এনআইডি প্রোফাইলে লগইন হবে। ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড সেট করলে
অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত থাকবে। ইউনিক একটি ইউজারনেম এবং শক্তিশালী একটি
পাসওয়ার্ড দুইবার লিখে সেট করুন। তাহলে এনআইডি প্রোফাইলে লগইন হবে।
ধাপ-৬. আইডি কার্ড ডাউনলোডঃ অ্যাকাউন্টে লগইন হলে প্রোফাইল থেকে
ডাউনলোড অপশন পাবেন। এখানে আপনার ছবি, নাম ও এনআইডি নম্বর দেখতে পাবেন। ডান
পাশ থেকে ডাউনলোড লিংকে ক্লিক করে আইডি কার্ড ডাউনলোড করুন। ডাউনলোড লিংকে
ক্লিক করার সাথে সাথে একটি PDF File ডাউনলোড হবে। এখানে আপনার আইডি
কার্ডের সামনের ও পিছনের দিক পাশাপাশি দেয়া থাকবে।
এটিই হচ্ছে ভোটার আইডি কার্ডের অনলাইন কপি। এই অনলাইন কপিটি প্রিন্ট করে
লেমিনেটিং করে নিন। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে শুধুমাত্র নতুন ভোটাররা তাদের
জাতীয় পরিচয়পত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। আপনি যদি পুরাতন ভোটার হয়ে থাকেন এবং
নির্বাচন কমিশন থেকে ইতোমধ্যে একবার ভোটার আইডি কার্ড পেয়ে থাকেন, তাহলে
আবারও ভোটার আইডি কার্ড পেতে ভোটার আইডি কার্ড রি-ইস্যু আবেদন করতে হবে।
এজন্য, রি-ইস্যু ফি প্রযোজ্য হবে।
মোবাইল নাম্বার দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড বের করার নিয়ম
মোবাইল নাম্বার দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড বের করার নিয়ম খুবই
সহজ। মোবাইল নাম্বার দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড বের করা জন্য
প্রথমে services.nidw.gov.bd এর ওয়েবসাইট এ প্রবেশ করতে হবে। তারপর ভোটার স্লিপ নাম্বার কিংবা
আইডি কার্ড এর নাম্বার এবং জন্ম তারিখ দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। তারপর
আপনার মোবাইল নাম্বার দিয়ে হবে। মোবাইল নাম্বারে একটি OTP কোড যাবে, যার
মাধ্যমে ভোটার আইডি কার্ড বের করা যাবে।
পুরো বিষয়টি আসলেই একদম সহজ। আপনাদের সুবিধার জন্য বলি যে, আপনার কাছে
যদি আপনার ভোটার আইডি কার্ড নাম্বার কিংবা স্লিপ নাম্বার কিংবা টোকেন
নাম্বার না থাকে তবে কখনোই শুধুমাত্র মোবাইল নাম্বার দিয়ে ভোটার আইডি
কার্ড বের করা যাবে না। তাহলে কি মোবাইল ফোন ব্যবহার করে আইডি কার্ড বের
করতে পারবেন না? জি পারবেন, আপনার হাতে থাকা মোবাইল দিয়েই নিজেই নিজেই
ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।
মোবাইল নাম্বার দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড বের করার নিয়মঃ প্রথমে
মোবাইল এর ম্যাসেজ অপশন থেকে টাইপ করতে হবে SC তারপর স্পেস দিয়ে F তারপর
ভোটার আইডি কার্ড এর নাম্বার এবং স্পেস দিয়ে D লিখে জন্ম সাল লিখতে হবে।
তারপর যেকোনো মোবাইল নাম্বার দিয়ে ১০৫ এ ম্যাসেজ পাঠালে ফিরতি ম্যাসেজে
ভোটার আইডি কার্ড এর তথ্য পেয়ে যাবেন। যা দিয়ে সহজেই আইডি কার্ড বের করা
যাবে।
মোবাইল দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড চেক করার নিয়ম
মোবাইল দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড চেক করার নিয়ম হলো মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করা। আপনি আপনার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আপনার ভোটার আইডি বা জাতীয় পরিচয়পত্র টি খুব সহজেই চেক করতে পারেন। এর জন্য আপনাকে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কিছু ধাপ অনুসরণ করতে হবে। নীচে আমি আপনাকে প্রক্রিয়ার ধাপগুলি বর্ণনা করব। মোবাইল দিয়ে ভোটার আইডি চেক করতে যেই জিনিসগুলা আপনার প্রয়োজন হবে সেগুলো হলোঃ
- NID Wallet মোবাইল অ্যাপ
- আপনার NID নাম্বার
- আপনার জন্ম তারিখ
- বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা
- আপনার মোবাইল নাম্বার
- আপনার ফেস স্কান
মোবাইল দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র চেক করার জন্য প্রথমে আপনি আপনার
প্লেস্টোর থেকে NID Wallet অ্যাপ টি ডাউনলোড করুন। এখন গুগলে গিয়ে সার্চ
করুন এনআইডি বিডি/ NIDBD। নির্দিষ্ট সার্চ রেজাল্ট থেকে বাংলাদেশ
নির্বাচন কমিশন এর অফিসিয়াল ওয়েব সাইট টিতে প্রবেশ করুন। প্রথমে আপনি
এখানে দুইটা অপশন দেখতে পাবেন যার প্রথমটি তে রেজিস্ট্রেশন করার জন্য
রেজিস্ট্রেশন এর অপশন এবং দ্বিতীয় টিতে আপনি যদি নতুন নিবন্ধন এর জন্য
আবেদনের অপশনটি পাবেন।
এরপরে আপনি যদি আগে থেকে রেজিস্ট্রেশন করে থাকেন তাহলে লগইনের অপশন
পাবেন। এখানে আগে থেকে একাউন্ট তৈরি করা না থাকলে রেজিস্ট্রেশন বাটনে
ক্লিক করুন। এখানে আপনার বিস্তারিত তথ্য প্রদান করুন যেমন জাতীয় পরিচয়
পত্রের নাম্বার, জন্ম তারিখ, বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা। এরপর আপনার
মোবাইল নাম্বার টি প্রদান করুন। এবার আপনার মোবাইল এ যাচাই করণ কোড
সম্বলিত একটি বার্তা আসবে।
কোড টি সাবমিট করার মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করুন। এবার ওয়েবসাইটটি
থেকে NID Wallet মোবাইল অ্যাপটি ওপেন করার জন্য লাল বাটন ওয়ালা এক লিংক
পাবেন। সেখানে ক্লিক করলে NID Wallet মোবাইল অ্যাপ টি ওপেন হবে। এবার
অ্যাপটি আপনার ফেস স্কান করবে। ফেস স্কান সম্পন্ন হলে আপনি আপনার জাতীয়
পরিচয়পত্র টি ডাউনলোড করার একটি অপশন পাবেন সেখানে ক্লিক করুন। এখন
আপনার জাতীয় পরিচয়পত্র টি পিডিএফ ফর্মেটে ডাউনলোড হবে।
নতুন ভোটার আইডি কার্ড চেক করার নিয়ম
আপনি কি নতুন ভোটার আইডি কার্ড চেক করার নিয়ম খুঁজছেন? তাহলে আপনি একদম
সঠিক জায়গাতে এসেছেন অনেকেই জিজ্ঞাসা করে ভোটার আইডি কার্ড চেক করার নিয়ম
কি?? ভোটার আইডি কার্ড অনলাইনে চেক করার জন্য nid card থাকতে হবে এবং সে এন
আইডি কার্ডের নিচে একটি নাম্বার দেওয়া রয়েছে সেই নাম্বারের সাহায্যে
আপনারা google করে ভোটার আইডি কার্ড চেক করতে পারবেন।
জন্ম নিবন্ধন নাম্বার দিয়েও এনআইডি কার্ড চেক করতে পারবেন। মনে করুন আপনি
অনলাইনে একটি এনআইডি কার্ড তৈরির জন্য আবেদন করেছেন এই অবস্থায় যেহেতু
আমরা জন্ম নিবন্ধনের নাম্বার দিয়ে এনআইডি কার্ড তৈরির জন্য এপ্লাই করে
থাকি সেক্ষেত্রে আপনি এই জন্ম নিবন্ধন নাম্বার এবং জন্ম তারিখ লিখে গুগলে
এনআইডি চেক করতে পারবেন।
- জন্ম নিবন্ধন নাম্বারের সাহায্যে এনআইডি চেক করার জন্য গুগলে officially NID website সার্চ করুন।
- ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে আপনার ইউজার আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন।
- এরপর জন্ম নিবন্ধন নাম্বার এর শুরুতেই NIDFN লিখে জন্ম নিবন্ধন নাম্বার উল্লেখ করুন। উদাহরণ: NIDFN025775678।
- তারপর আপনার জন্ম তারিখ এবং জন্ম সাল উল্লেখ করুন। যদি এনআইডি কার্ড প্রস্তুত হয়ে যায় তাহলে একটি ঠিকানা সিলেক্ট করার অপশন পেয়ে যাবেন।
- ঠিকানা উল্লেখ করে তারপর ফেস ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করে আইডি কার্ড দেখতে পারবেন। যদি আইডি কার্ড আপনার হয় তাহলে অবশ্যই আপনার ফেস ভেরিফিকেশন প্রয়োজন।
ওপরের এই নিয়ম অনুসরণ করে নতুন ভোটার আইডি কার্ড চেক করতে পারবেন। প্রিয়
পাঠক বৃন্দ আশা করছি আপনারা সকলে বুঝতে পেরেছেন নতুন ভোটার আইডি কার্ড চেক
এবং ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড প্রক্রিয়া সম্পর্কে। ওপরে আমরা আলোচনা করলাম
জাতীয় পরিচয় পত্র ডাউনলোড করার নিয়ম জাতীয় পরিচয় পত্র পাওয়ার জন্য
অনলাইনে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে।
ফরম নম্বর দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম
ফরম নম্বর দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম খুব সহজ। ফরম নম্বর
ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয়পত্র (NID Card) অনলাইনে ডাউনলোড করার জন্য
নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত ওয়েবসাইটের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট
প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। এই পদ্ধতিটি বিশেষভাবে নতুন ভোটারদের জন্য
উপযোগী, যাদের এখনো স্মার্টকার্ড হাতে আসেনি কিন্তু তারা অনলাইন কপি
ডাউনলোড করে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে চান। নিচে ধাপে ধাপে নিয়ম দেওয়া
হলো:
ধাপ ১ঃ ওয়েবসাইটে প্রবেশঃ প্রথমে মোবাইল বা কম্পিউটারের যেকোনো
ইন্টারনেট ব্রাউজার ব্যবহার করে https://services.nidw.gov.bd ওয়েবসাইটে
প্রবেশ করুন। এটি নির্বাচন কমিশনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট।
ধাপ ২ঃ নতুন নিবন্ধন শুরুঃ ওয়েবসাইটে গেলে “নতুন নিবন্ধন করুন”
(Create Account) অপশনে ক্লিক করতে হবে। এরপর একটি ফর্ম আসবে যেখানে
আপনাকে “ফরম নম্বর” (যা ভোটার রেজিস্ট্রেশনের সময় প্রাপ্ত হয়েছিল), আপনার
জন্মতারিখ, এবং ক্যাপচা কোড দিয়ে সাবমিট করতে হবে।
ধাপ ৩ঃ মোবাইল নম্বর যাচাইঃ পরবর্তী ধাপে আপনাকে একটি সক্রিয়
মোবাইল নম্বর প্রদান করতে হবে, যা আপনি পূর্বে ফরমে ব্যবহার করেছিলেন
(ভোটার রেজিস্ট্রেশনের সময়)। সেই নম্বরে একটি OTP (One-Time Password)
পাঠানো হবে, যা নির্দিষ্ট ঘরে বসিয়ে যাচাই করতে হবে।
ধাপ ৪ঃ ব্যক্তিগত তথ্য যাচাইঃ OTP ভেরিফিকেশনের পর আপনি আপনার নাম
ও ছবি দেখতে পাবেন। নিশ্চিত করুন যে এই তথ্যগুলো আপনার নিজের সঙ্গে মিল
রয়েছে। এটি সিস্টেমে আপনার পরিচয় নিশ্চিত করার একটি ধাপ।
ধাপ ৫ঃ অ্যাকাউন্ট তৈরিঃ যদি সব তথ্য সঠিক থাকে, তবে আপনাকে একটি
ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড তৈরি করতে বলা হবে। এই অ্যাকাউন্ট ভবিষ্যতে লগইনের
জন্য ব্যবহার করা যাবে।
ধাপ ৬ঃ NID অনলাইন কপি ডাউনলোডঃ লগইন সফলভাবে সম্পন্ন হলে, আপনি
আপনার প্রোফাইল বা ড্যাশবোর্ডে প্রবেশ করতে পারবেন। সেখানে “Download NID
Online Copy” নামক একটি অপশন থাকবে। এই অপশনে ক্লিক করলে আপনার জাতীয়
পরিচয়পত্রের একটি PDF কপি ডাউনলোড করা যাবে। এটি আপনি মোবাইল বা প্রিন্ট
কপি হিসেবে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করতে পারবেন।
ভোটার স্লিপ হারিয়ে গেলে করণীয়
ভোটার স্লিপ হারিয়ে গেলে করণীয় কি এ সম্পর্কে অনেকেই জানেন না। ভোটার স্লিপ
হারিয়ে গেলে চিন্তার কিছু নেই। আপনি কিছু সহজ ধাপ অনুসরণ করে ভোটার স্লিপ
সংগ্রহ করতে পারবেন। নতুন ভোটার নিবন্ধিত হওয়ার পরে ভোটার নিবন্ধন ফরম এর
একটি অংশ যেখানে ইউনিক একটি নাম্বার সম্বলিত টোকেন দেওয়া হয় আর যখন
স্মার্ট কার্ড বিতরণ কর্মসূচি হয় তখন ভোটার স্লিপ জমা দিয়ে স্মার্ট কার্ড
সংগ্রহ করতে হয়।
এছাড়াও স্মার্ট কার্ড পাওয়ার পূর্বে নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী ১৮ বছর
পরিপূর্ণ হলে সাধারণ ভোটার গন উক্ত ভোটার স্লিপ নাম্বার দিয়ে অনলাইনে NID
একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করে ভোটার আইডি কার্ড এর অনলাইন কপি ডাউনলোড করা
যায়। চিন্তার বিষয় হলো অসাবধানতাবশত ভোটার স্লিপটি অনেক সময় নষ্ট হয়ে
যায় কিংবা হারিয়ে যায়। আবার অধিকাংশ সময়ে ভোটার তালিকায় ব্যক্তির নাম
আসা পর্যন্ত অনেক অপেক্ষা করে এর মধ্যে ভোটার স্লিপ তারা কোথায় সংরক্ষণ
করে রেখেছে তা ভুলে যায়।
এখন কথা হলো ভোটার স্লিপ হারিয়ে গেলে করণীয় কি কিভাবে ভোটার স্লিপ
পুনরুদ্ধার করা যাবে। অথবা আদৌ ভোটার স্লিপ ব্যতীত স্মার্ট কার্ড সংগ্রহ
কিংবা ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করা যাবে কিনা। জি হ্যাঁ, ভোটার স্লিপ আপনি
চাইলে পুনরায় উদ্ধার করতে পারবেন, এছাড়াও ভোটার স্লিপ ছাড়াই অনলাইন থেকে
ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন। আপনি কিছু সহজ ধাপ অনুসরণ করে ভোটার
স্লিপ সংগ্রহ করতে পারবেন যেমনঃ
১. এসএমএস এর জন্য অপেক্ষা করাঃ ভোটার স্লিপ হারিয়ে গেলে ভোটার আইডি
কার্ড পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। কারণ, ভোটার আইডি কার্ড তৈরি হলে
নিবন্ধনের সময় দেয়া মোবাইল নাম্বারে এসএমএস করে এনআইডি নাম্বার জানিয়ে দেয়া
হয়। উক্ত এনআইডি নাম্বার এবং জন্ম তারিখ দিয়ে অনলাইনে ভোটার অ্যাকাউন্ট
নিবন্ধন করা যায়। ভোটার নিবন্ধন করার কিছুদিনের মাঝে যদি আপনার ভোটার
স্লিপটি হারিয়ে যায়, তাহলে দুশ্চিন্তা না করে অপেক্ষা করুন।
আপনার ভোটার আইডি কার্ড তৈরি হয়ে গেলে এসএমএস এর মাধ্যমে এনআইডি নাম্বার
জানিয়ে দেয়া হবে। যদি এসএমএস এর মাধ্যমে এনআইডি নাম্বার না পেয়ে থাকেন,
তাহলে ম্যাসেজ চেক করে দেখুন ১০৫ নাম্বার থেকে কোনো এসএমএস এসেছে কিনা।
আপনার অজান্তে এসএমএস এসে থাকতে পারে। যদি এসএমএস না আসে, তাহলে ভোটার
স্লিপের নাম্বার ছাড়া আইডি কার্ড ডাউনলোড করা যাবেনা। সেক্ষেত্রে আমাদেরকে
ভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে।
২. নির্বাচন কমিশন অফিস থেকে ভোটার স্লিপ সংগ্রহ করাঃ ভোটার স্লিপ হারিয়ে গেলে নির্বাচন কমিশন অফিসে যোগাযোগ করতে হবে। আপনার
থানা/উপজেলা নির্বাচন কমিশন অফিসে যাবেন। এরপর, কর্মরত কাউকে জানাতে হবে
যে আপনি ভোটার স্লিপ সংগ্রহ করতে চাচ্ছেন বা ফরম নাম্বার জানতে চাচ্ছেন।
তাহলে, তারা আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, ঠিকানা সহ বেশ কিছু তথ্য জানতে চাইবে।
এসব তথ্য সঠিকভাবে দিতে হব।
এছাড়াও, তারা যদি কোনো ডকুমেন্ট চেয়ে থাকে, সেসব ডকুমেন্ট নিয়ে যেতে হবে।
এজন্য, জন্ম নিবন্ধন সনদ, পিতা-মাতার এনআইডি কার্ডের ফটোকপি ইত্যাদি
ডকুমেন্ট সাথে নিয়ে যেতে হবে। অতঃপর, তারা আপনার আঙ্গুলের ছাপ বা চোখের
আইরিশ যাচাই করার মাধ্যমে আপনার তথ্যের সত্যতা যাচাই করবে। এরপর, আপনাকে
ভোটার স্লিপ নাম্বার দেয়া হবে। উক্ত স্লিপ নাম্বার দিয়ে আপনার NID Card
Download করতে পারবেন।
সচরাচর জিজ্ঞাসিত প্রশ্নের উত্তর
প্রশ্নঃ নতুন ভোটার হতে কতদিন সময় লাগে?
উত্তরঃ নতুন ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন সম্পন্ন করার ৩ মাস পর্যন্ত সময় লেগে থাকে
ভোটার হওয়ার জন্য। সাধারণত ভোটার নিবন্ধন করার এক মাসের মাঝেই এসএমএস এর
মাধ্যমে এনআইডি কার্ডের নাম্বার জানিয়ে দেয়া হয়। তবে, কিছু ক্ষেত্রে ৩ মাস
পর্যন্ত সময় লেগে থাকে। এই সময়ের মাঝে এসএমএস এর মাধ্যমে যারা ভোটার
নিবন্ধন করেছেন, তাদেরকে এনআইডি কার্ডের নাম্বার জানিয়ে দেয়া হয়।
প্রশ্নঃ আইডি কার্ড করতে কি কি লাগে?
উত্তরঃ আইডি কার্ড পেতে হলে আপনাকে এদেশের ভোটার হতে হবে। নতুন ভোটার হওয়ার জন্য
অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ, নাগরিক সনদ / চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট, স্কুল
সার্টিফিকেট, পিতা-মাতার এনআইডি কার্ডের ফটোকপি, ট্যাক্স টোকেন এবং বিদ্যুৎ
বিলের কপি প্রয়োজন হয়।
প্রশ্নঃ নতুন ভোটার নিবন্ধন করার জন্য কোথায় যেতে হবে?
উত্তরঃ ২ বছর পর পর বাড়ি বাড়ি গিয়ে নির্বাচন কমিশন থেকে ভোটারের জন্য নিবন্ধন
করে থাকে। আর যদি কোন কারণে আপনি বাদ পড়ে থাকেন, তাহলে অবশ্যই আপনাকে
উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে যোগাযোগ করতে হবে। অবশ্যই আপনাকে অনলাইনে
আবেদন করতে হবে যদি নির্বাচন অফিসে গিয়ে ভোটার হতে চান।
প্রশ্নঃ ১৮ বছর হওয়ার পূর্বে NID Card করা যাবে?
উত্তরঃ বর্তমানে আপনার বয়স ১৬ বছর হলেই আইডি কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
আবেদন করার ৩০-৬০ দিনের মধ্যে NID Card পেয়ে যাবেন। যখন আপনার বয়স ১৮ বছর
হবে তখন ভোটার তালিকায় নাম আসবে এবং ভোট দিতে পারবেন।
প্রশ্নঃ এনআইডি একাউন্ট লক হয়ে গেলে করণীয় কী?
উত্তরঃ তিনবার ঠিকানা ভুল দিলে বা এনআইডি একাউন্ট রেজিস্ট্রেশন করার সময় ভুল তথ্য
দিলে এনআইডি একাউন্ট লক হয়ে যায়। লক হলে নির্বাচন কমিশন অফিসে যোগাযোগ করতে
হবে।
শেষকথাঃ নতুন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম
নতুন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম বা পদ্ধতি এখন অনেকটাই সহজ ও
ডিজিটাল হয়েছে। আগের মতো দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করার দিন শেষ। নির্বাচন
কমিশনের ওয়েবসাইট বা NID সার্ভিস পোর্টাল (https://services.nidw.gov.bd/) এর
মাধ্যমে নাগরিকরা সহজেই অনলাইনে আবেদন করে ও যাচাইকরণের পর নিজ নিজ আইডি
কার্ডের সফটকপি ডাউনলোড করতে পারছেন। এই ডিজিটাল উদ্যোগ নাগরিক সেবা
ব্যবস্থাকে আরও কার্যকর, স্বচ্ছ ও জনবান্ধব করেছে।
তবে প্রযুক্তি ব্যবহারে অনেক নাগরিক বিশেষ করে বয়স্ক বা গ্রামাঞ্চলের মানুষ
এখনো পিছিয়ে। তাই এই বিষয়ে সরকারি সহায়তা কেন্দ্র, ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার
এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সচেতনতামূলক কর্মসূচি চালানো জরুরি। পাশাপাশি সাইবার
নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, ব্যক্তিগত তথ্য গোপন রাখা ও ব্যবহারে স্বচ্ছতা বজায়
রাখার দিকেও নজর দেওয়া দরকার। আশা করছি, নতুন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার
নিয়ম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।
বিডি টেকল্যান্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url