ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স কি
    
      ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স বা IDP হলো একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত
      বৈধ ডকুমেন্ট যা আপনাকে বিদেশে গাড়ি চালানোর অনুমতি দেয়। এটি মূলত আপনার
      দেশের ড্রাইভিং লাইসেন্সের একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত অনুবাদ, যেটি
      বিভিন্ন ভাষায় তৈরি করা হয় এবং বিভিন্ন দেশে বৈধভাবে গাড়ি চালানোর সুবিধা
      দেয়। আন্তর্জাতিক পরিসরে এটিকে ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং পারমিটবলা হয়।
      এছাড়াও সংক্ষেপে IDP বলা হয়ে থাকে।
    
    
      
        IDP আপনার নিজ দেশের লাইসেন্সকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত করে তোলে, যাতে
        আপনি বিদেশে গাড়ি চালাতে পারেন। IDP সাধারণত ১০–১২টি ভাষায় তথ্য প্রদান
        করে (যেমন: ইংরেজি, ফরাসি, স্প্যানিশ, রুশ, জার্মান, আরবি ইত্যাদি)। এটা
        খুবই কার্যকর যখন আপনি এমন কোনো দেশে যান যেখানে ইংরেজি প্রচলিত ভাষা নয়।
        যদি আপনি বিদেশে ভ্রমণে যান এবং রেন্টাল কার ব্যবহার করতে চান, তাহলে
        বেশিরভাগ দেশের রেন্টাল কোম্পানি IDP চায়।
      
      
        বাংলাদেশে ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম
        
          বাংলাদেশে ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম হলো, সর্বপ্রথম
          আপনার দরকার পড়বে আপনার নিজের বাংলাদেশি ড্রাইভিং লাইসেন্স। এরপরে
          নির্ধারিত ফরম পূরণ করে এরসাথে উপরে বর্ণিত প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংযুক্ত
          করতে হবে। এরপর ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য নির্ধারিত ফি
          জমা প্রদান করে অটোমোবাইল অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ অফিসে গিয়ে আবেদন
          ফরম এবং কাগজপত্র জমা দিতে হবে।
        
        
        
          ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স এর ফরম পূরণের নিয়ম হচ্ছে সর্ব প্রথম
          আপনাকে 
AA Bangladesh এর নির্ধারিত আবেদন ফরম পূরণ করে প্রয়োজনীয় সমস্ত কাগজ সহ প্রদান
          করতে হবে। ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য পূরণকৃত ফরম এবং
          উপরে বর্ণিত প্রয়োজনীয় সকল কাগজ পত্র অবশ্যই সকাল ১০ঃ৩০ থেকে বিকাল ৩ঃ০০
          টার মধ্যে জমা দিতে হবে। তবে আবেদনকৃত ফরমের কোনো তথ্য যেন ভুল না হয় এবং
          প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের তথ্য যেন নির্ভুল হয়।
        
 
        
        
          তা না হলে অনেক সমস্যার সম্মূখীন হতে হবে। আপনি যদি সঠিক ভাবে সমস্ত
          নথিপত্র প্রদান করেন তাহলে আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে আপনি আপনার কাঙ্ক্ষিত
          ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স হাতে পেতে সক্ষম হবেন। তবে যদি অনেক
          সময় কোন সমস্যা হতে পারে সেক্ষেত্রে ২ থেকে ৩ মাস পর্যন্ত সময় লাগতে
          পারে। ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স সংগ্রহের দিন আপনার ফোনে
          এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে। 
        
        
        
          আবেদন ফরমে আপনাকে যেগুলো তথ্য প্রদান করতে হবে তা হলো-বাংলাদেশি
          ড্রাইভিং লাইসেন্সের তথ্যঃ নাম, জন্ম-তারিখ, ঠিকানা স্থায়ী ও বর্তমান,
          রক্তের গ্রুপ। নিবন্ধিত চিকিৎসক কতৃক ফিজিক্যাল ফিটনেস সম্পর্কে বিভিন্ন
          তথ্য যেমন- পেশা, পাসপোর্ট এর তথ্য, মোবাইল নাম্বার। আশা করছি বাংলাদেশে
          ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম বা ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং
          লাইসেন্স করতে হলে আপনাকে কি কি নিয়ম অনুসরণ করতে হবে তা জানতে পেরেছেন।
        
       
     
    
      ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে যেসব কাগজপত্র লাগবে
    
    
      ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে যেসব কাগজপত্র লাগবে বা কি কি
      প্রয়োজনীয় নথিপত্র দরকার হবে সেই বিষয়ে অনেকের সঠিক ধারনা নেই।
      ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স করার খুব বেশি কাগজ পত্রের প্রয়োজন হয় না।
      শুধু নির্দিষ্ট কিছু কাগজ পত্রের মাধ্যমে খুবই সহজে ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং
      লাইসেন্স করতে পারবেন। ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে যা যা লাগবে তা
      নিচে উল্লেখ করে দেয়া হলঃ
    
    
    
      
        - সর্বপ্রথম যেটা লাগবে সেটা হলো আপনার পাসপোর্ট এর ফটোকপি।
 
        - তারপর লাগবে আপনার নিজের বাংলাদেশি ড্রাইভিং লাইসেন্সের ফটোকপি।
 
        - 
          তারপরে আপনার নিজের পাসপোর্ট সাইজের ১ কপি এবং স্ট্যাম্প সাইজের ৫ কপি
          ছবি।
        
 
        - ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য নির্ধারিত আবেদন ফরম।
 
        - তারপরে পরিশেষে লাগবে সর্বশেষ আবেদন ফি রশিদ এর কপি।
 
      
     
   
  
    
      আশা করছি আপনারা যদি এই অংশটুকু মনযোগ দিয়ে পড়ে থাকেন, তাহলে হয়তো এতক্ষণে এই
      থেকে ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কি কি কাগজপত্র বা আপনার
      ব্যক্তিগত কি কি নথিপত্র লাগবে সেই সম্পর্কে একেবারে তালিকাবদ্ধভাবে জানতে
      পেরেছেন। এবার আসুন, ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স করার সঠিক নিয়ম বা
      ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে হলে আপনাকে কি কি নিয়ম অনুসরণ করতে
      হবে তা জেনে নেওয়া যাক।
    
   
  
    
      বাংলাদেশে ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন করার নিয়ম
    
    
      
        বাংলাদেশে ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স নবায়ন (Renew) করার আলাদা কোনো
        প্রক্রিয়া নেই।মেয়াদ শেষ হলে আপনাকে আবার নতুনভাবে আবেদন করে IDP করতে হয়।
        IDP হলো একটি আন্তর্জাতিক স্বীকৃত অনুবাদিত ডকুমেন্ট, যা একটি নির্দিষ্ট
        মেয়াদের জন্য নির্দিষ্ট তারিখ থেকে বৈধ। এটি সাধারণত নির্দিষ্ট দেশ বা
        অঞ্চলে গাড়ি চালানোর সাময়িক অনুমতি এটি স্থায়ী ড্রাইভিং লাইসেন্স নয়, বরং
        মূল ড্রাইভিং লাইসেন্সের একটি অনুবাদ ও স্বীকৃতি।
      
      
      
        ফলে, মেয়াদ শেষে IDP-এর কার্যকারিতা শেষ হয়ে যায় এবং নতুন করে ডেট-সহ IDP
        ইস্যু করতে হয়। যেহেতু IDP নবায়ন হয় না, তাই পুরোপুরি নতুন আবেদন হিসেবেই
        করতে হবে, আগের নিয়ম অনুসারে। International Driver’s Association নামক এই
        ওয়েবসাইটে অথবা আপনারা ডিরেক্ট
        
এই লিংকে
        ক্লিক করে আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং লাইসেন্স ১ থেকে ৩ বছরের জন্য নবায়ন করতে
        পারবেন। তবে আপনি চাইলে সরাসরি বাংলাদেশ অটোমোবাইল এসোসিয়েশন এর কার্যালয়
        গিয়ে নবায়ন করে নিতে পারবেন।
      
 
     
    
      বাংলাদেশে ইন্টারন্যাশনাল
      ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু করে কোন প্রতিষ্ঠান
    
    
      বাংলাদেশে ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু করার একমাত্র অনুমোদিত
      প্রতিষ্ঠান হলো-অটোমোবাইল এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ। এটি ফেডারেশন
      ইন্টারন্যাশনাল ডি ল’অটোমোবাইল (FIA)-এর সদস্য সংস্থা এবং বাংলাদেশে IDP
      ইস্যুর জন্য অনুমোদিত একমাত্র সংস্থা। ফেডারেশন ইন্টারন্যাশনাল ডি
      ল’অটোমোবাইল (FIA) একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা। এটিই বাংলাদেশে IDP বা
      আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং পারমিট ইস্যু করে থাকে।
    
    
    
      মূলত সারা বিশ্বের মধ্যে তাদের সদস্য সংস্থা যেসকল দেশগুলোতে আছে, সেসব
      সংস্থার মাধ্যমে ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু করে থাকে। আপনার যদি
      নিজের বাংলাদেশি একটি স্মার্ট ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকে, তাহলে প্রয়োজনীয়
      সঠিক কাগজপত্র ও ফি প্রদান করে আবেদন সম্পন্ন করার পরে অতি সহজে একটি
      ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে পারেন। উল্লেখ্য ফেডারেশন
      ইন্টারন্যাশনাল ডি ল’অটোমোবাইল (FIA) ১৯০৪ ইং সনে বিশ্বের ১৪৫ টি দেশের ২৪৬টি
      সংস্থা নিয়ে গঠিত হয়।
    
    
    
      আপনি যদি রাজশাহী থেকে আবেদন করতে চান, তবে সরাসরি AAB-এর অফিসে উপস্থিত হয়ে
      আবেদন করতে হবে। তবে, আপনি চাইলে তাদের হোয়াটসঅ্যাপ বা ইমো নম্বরে যোগাযোগ
      করে বিস্তারিত তথ্য ও সহায়তা পেতে পারেন: +৮৮০১৬০১৯০৩০৪৮। বিআরটিএ শুধুমাত্র
      জাতীয় ড্রাইভিং লাইসেন্স ইস্যু করে, আন্তর্জাতিক ড্রাইভিং পারমিট নয়। IDP
      ইস্যু করার ক্ষেত্রে শুধুমাত্র AAB-কে বিশ্বাস করুন এবং কোনো অননুমোদিত
      এজেন্ট বা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আবেদন করবেন না।
    
    
      
        ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে কোন কোন দেশে গাড়ি চালানো যাবে
      
    
    
      ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স দিয়ে কোন কোন দেশে গাড়ি চালানো যাবে-এ
      সম্পর্কে অনেকেই জানতে চেয়েছেন। বাংলাদেশ থেকে ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং
      লাইসেন্স দিয়ে, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জাপান, সিঙ্গাপুর, পাকিস্তান,
      সৌদি আরব, আরব আমিরাত সহ বিশ্বের প্রায় ১৫০ টি দেশে গাড়ি চালানোর অনুমতি
      রয়েছে। এসব দেশে IDP ব্যবহার গাড়ি চালানোর অনুমতি দেয়। আপনি যেসকল দেশে
      গাড়ি চালাতে পারবেন সেগুলো হলোঃ
    
    
    - ইউরোপঃ অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, ফ্রান্স, জার্মানি, ডেনমার্ক,
      ফিনল্যান্ড, ক্রোয়েশিয়া, আইসলেন্ড, ইটালি, নরওয়ে, পোল্যান্ড, স্পেন,
      রোমানিয়া, সুইডেন, পর্তুগাল, সুইজারল্যান্ড ইত্যাদি।
 - উত্তর আমেরিকাঃ কানাডা, মেক্সিকো, আমেরিকা।
 - দক্ষিণ আমেরিকাঃ আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে, পেরু, চিলি, কলম্বিয়া,
      ব্রাজিল।
 - এশিয়াঃ চীন, ইন্দোনেশিয়া, জাপান,সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, নেপাল,
      কোরিয়া, তুর্কি, ভিয়েতনাম।
 - আফ্রিকাঃ আলজেরিয়া, মিশর, মরক্কো, নামিবিয়া, তুনিশিয়া ইত্যাদি।
 
 
    
      এছাড়াও আরো বিভিন্ন দেশে IDP ব্যবহার করে গাড়ি চালানো সম্ভব তবে অবশ্যই
      উক্ত দেশের কর্তৃপক্ষের সাথে পূর্বে আলোচনা করে নেওয়া উচিত। ড্রাইভিং
      লাইসেন্স বিহীন দেশে বা বিদেশে কোন রকমের মোটরযান চালানো দন্ডনীয় অপরাধ। এটি
      ছাড়া গাড়ি চালানো উচিৎ নয়। তাই যার বিদেশে গিয়ে গাড়ি চালাতে চান, তাদের উচিৎ
      বাংলাদেশ থেকে ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স বা International Driving
      Permit নিয়ে যাওয়া।
    
    
      
        
বাংলাদেশে ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কত টাকা লাগে
      
      
        বাংলাদেশে ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে কত টাকা লাগে তা নির্ভর
        করে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্সের ক্যাটাগরি ও ডেলিভারি সময়ের উপর।
        ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে মূলত আবেদন ফি বাবদ মাত্র ২৫০০ টাকা
        খরচ হয়। কিন্তু আপনি যদি অনেক তাড়াতাড়ি অল্প সময়ের মধ্যে বা এক সপ্তাহের
        মধ্যে ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে চান তাহলে এক্ষেত্রে আপনাকে
        ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন ফি বাবদ ৩৫০০ টাকা প্রদান করতে
        হবে।
      
      
      
        অটোমোবাইল এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (AAB) বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ফি ধার্য করে।
        এক্ষেত্রে A ক্যাটাগরি ৩,০০০ টাকা, B ক্যাটাগরি ৪,০০০ টাকা, C ক্যাটাগরি
        ৬,০০০ টাকা, D ক্যাটাগরি ৮,০০০ টাকা এবং E ক্যাটাগরি ১০,০০০ টাকা। দ্রুত
        ডেলিভারির জন্য অতিরিক্ত ফি যেমন- ১০ কর্মদিবস +৩,০০০ টাকা, ৫ কর্মদিবস
        +৬,০০০ টাকা। উদাহরণস্বরুপ আপনি যদি B ক্যাটাগরির IDP চান ৫ দিনের মধ্যে,
        তাহলে মোট ফি হবে = ৪,০০০ + ৬,০০০ = ১০,০০০ টাকা।
      
     
    
      ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স এর মেয়াদ কতদিন
    
    
      বাংলাদেশে ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স (International Driving Permit -
      IDP) এর মেয়াদ সাধারণত ১ বছর। অর্থাৎ, IDP ইস্যু করার তারিখ থেকে এটি ১ বছর
      পর্যন্ত বৈধ থাকে। IDP শুধুমাত্র বিদেশে গাড়ি চালানোর জন্য বৈধ এটি
      বাংলাদেশে কোনো বৈধতা রাখে না। বিদেশে গিয়ে IDP নবায়ন করা যায় না, আপনাকে
      আবার বাংলাদেশে এসে আবেদন করতে হবে। IDP শুধুমাত্র তখনই বৈধ থাকবে, যদি আপনার
      মূল দেশের ড্রাইভিং লাইসেন্স বৈধ থাকে।
    
    
    
      উদাহরণস্বরুপ আপনার মূল লাইসেন্সের মেয়াদ যদি ৬ মাস পর শেষ হয়, তাহলে IDP
      হলেও সেটি আর বৈধ থাকবে না। ১ বছর পরে চাইলে আবার নতুন করে IDP-এর জন্য আবেদন
      করতে হবে (রিনিউ করা যায় না, আবার নতুন করে আবেদন করতে হয়), পুরনো IDP দিয়ে
      নবায়ন করা যাবে না। কিছু দেশে (বিশেষ করে ইউরোপে) আপনার IDP ৬ মাস বা ১ বছরের
      বেশি ব্যবহার করতে পারবেন না, দেশভেদে এই নিয়ম পরিবর্তিত হয়।
    
    
    
      কিছু দেশে IDP ব্যবহার করা যাবে মাত্র ৬ মাসের জন্য, এরপর আপনাকে স্থানীয়
      ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে হতে পারে (যেমন: জার্মানি, জাপান, অস্ট্রেলিয়া)।
      অন্যান্য অনেক দেশে আপনি পুরো ১ বছর পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবেন (যেমন:
      যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, মালয়েশিয়া)। আপনার IDP মেয়াদ শেষ হওয়ার পর যেকোনো
      সময় আপনি আবার নতুন IDP এর জন্য আবেদন করতে পারেন। নতুন IDP করতে আবার আগের
      মতই সব ডকুমেন্ট, ছবি ও ফি লাগবে।
    
    
    
      বাংলাদেশে ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম সম্পর্কে লেখকের
      মতামত
    
    
      বাংলাদেশে ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম মোটামুটি সরল এবং
      কাঠামোগত হলেও, এটি এখনো অনেকের কাছে অপরিচিত এবং এই প্রক্রিয়াটি আরও সহজ,
      প্রযুক্তিনির্ভর এবং সবার জন্য প্রবেশযোগ্য করে তোলা প্রয়োজন। এই
      গুরুত্বপূর্ণ সেবাটি নিয়ে আরও পরিকল্পিত উদ্যোগ, জনসচেতনতা বৃদ্ধি, এবং
      প্রশাসনিক স্বচ্ছতা সময়োপযোগী ও প্রয়োজনীয়। সরকার এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর
      উচিত-এই সেবাকে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার অংশ হিসেবে আরও উন্নত ও নাগরিকবান্ধব
      করে তোলা।
    
    
    
      বাংলাদেশে ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স করার নিয়ম মোটামুটি স্বচ্ছ হলেও,
      এর আরও ডিজিটালায়ন, বিকেন্দ্রীকরণ, এবং প্রচার দরকার। আধুনিক বিশ্বের সঙ্গে
      তাল মিলিয়ে চলতে হলে, প্রযুক্তি-নির্ভর, দ্রুত ও সহজ সেবার পথে এগোতে হবে।
      অনেক ভ্রমণকারীই জানেন না এটি কী বা কোথা থেকে করতে হয়। আবেদন ও ফি জমার
      প্রক্রিয়া এখনো পুরোটাই ম্যানুয়াল, যা সময়সাপেক্ষ ও অপ্রযুক্তিবান্ধব। AAB-এর
      অফিস একমাত্র ঢাকায়, ফলে অন্য জেলার মানুষকে কুরিয়ার বা সরাসরি এসে কাগজ জমা
      দিতে হয়।
    
   
  
বিডি টেকল্যান্ডের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটা কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url